উস্তাদহীন লোক সাধারণতঃ ঢিলা প্রকৃতির হয়ে থাকে। কারণ তারা কোন মুহাক্কেক আলেমের সান্নিধ্যে থেকে ইলম অর্জন করেনি। তাদের রুহানী শক্তি তাদের থাকে না। সুযোগ পেলেই গুনাহ করে বসে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যে গায়েবী কোন সাহায্য তারা প্রাপ্ত হয় না। সকল তাকওয়া ও পরহেজগারী একদিকে পড়ে থাকে আর লোভী বিড়ালের মত তারা অন্য দিকে ছুটে চলে।
এক বাদশাহ একটি বিড়ালকে শিক্ষা দিয়েছিলেন। রাত্রে বিড়ালটি মাথায় বাতি নিয়ে বসে থাকতো। বাদশাহ বাতির আলতে বসে কাজ করতেন। বাদশাহ যখন নিশ্চিত হলেন যে বিড়ালের শিক্ষা পরিপূর্ণ হয়েছে এখন একদিন মন্ত্রীর কাছে বলেন, বিড়ালটি শিক্ষিত খুব শান্ত, প্রদীপ মাথায় ঠাঁয় বসে থাকে ইত্যাদি।
মন্ত্রী বললেন, বাদশাহ নামদার, বিড়ালের পরীক্ষা করা প্রয়োজন। বাদশাহ বললেন, বিড়ালের আবার পরীক্ষা কেমন?
মন্ত্রী একটি ইদুর ধরে লুকিয়ে রাখলেন। বাদশাহ রাত্রে বাতির আলোতে বসে কাজ করছেন, মন্ত্রী তখন বাদশাহ্র কক্ষে ইঁদুর ছেড়ে দিলেন।
বিড়ালটি ইঁদুর দেখার সঙ্গে সঙ্গে কোথায় চেরাগ আর কোথায় বিড়াল। একদম সব ওলট পালট করে ফেললো। বাতি ফেলে দিয়ে বিড়াল ছুটলো ইঁদুরের পিছে।
বাতির আগুনে বাদশাহের নথিপত্র পুড়ে শেয় হয়ে গেলো। বিড়ালের দুই বছরের প্রশিক্ষণ মুহূর্তের মধ্যে শেষ হয়ে গেলো।
উস্তাদ ছাড়া এবং তরবিয়তহীনদের অবস্থাও ঠিক সে রকম। এদের কোণ কাজের উপর নির্ভরযোগ্য হতে পারে না। এদের কোন কাজের উপর ভরসা করা যায় না।
(আল-এফাযাতুল য়্যাওমিয়্যাহ)
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।