এক লোকের সৌন্দর্য চর্চ্চার সাধ জেগেছিল। সে তার দেহে বাঘের ছবি আঁকতে ইচ্ছা করলো।
একজন শিল্পীর কাছে গিয়ে বলল, আমার কোমরে একটি বাঘের ছবি উল্কি করে এঁকে দাও।
শিল্পি উল্কির সুঁই তার কোমরে ফুটিয়ে দিল। লোকটি যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠলো, ওরে বাবারে মরে গেলাম, ভাই তুমি কি আঁকছে যে এত ব্যথা?
শিল্পী বললো, বাঘের লেজ আঁকছি।
লোকটি বলল, লেজ ছাড়া বাঘ হয় না। আমার জান বের হয়ে যাবে। লেজ ছাড়া অন্য কিছু আঁক।
শিল্পি এবার অন্য যায়গায় সুঁই ফোটালো। লোকটি চিৎকার করে বললো, ” ভাই শিল্পী তুমি কি আঁকছো?”
শিল্পীরা বলল, বাঘের পেট আঁকছি।
লোকটি বলল, পেট আবার কি প্রয়োজন? এ বাঘ তো কোন কিছু খাবে না।
শিল্পী পেট আকা বাদ দিয়ে অন্য যায়গায় সুঁই ফুটালো। লোকটি আবার যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে জিজ্ঞেস করলো, এবার কি আঁকা হচ্ছে? এত যন্ত্রণা কেন?
লোকটি বলল, মাথা আঁকছি।
লোকটি বলল, মাথা আঁকতে হবে না। জান বের হয়ে যাচ্ছে। অন্য কিছু আঁক।
“কিন্তু যে বাঘের লেজ নেই, পেট নেই, মাথাও নেই সে বাঘটি কেমন বাঘ হবে?
এরূপ বাঘতো আল্লাহও কখনো সৃষ্টি করেননি। আমি করে বানাবো?
সুতরাং তুমিও ওলীয়ে কালেম হতে পারবে না, যতক্ষণ না তুমি পীরে কামেলের কাছ থেকে দুঃখ কষ্ট সহ্য করেছো।
কে কী বলছে, কে কী করছে সেদিকে দেখিও না, হাল বিশিষ্ট মুমিন হয়ে যাও। আর কোন কামেল ওলীর খেদমতে নিজেকে সঙ্গে দাও।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।