সুবিশাল কবর
কাফন চোর তৃতীয় ঘটনা বর্ণনা করল। একদিন আমি একটি কবর খনন করে সে কবরকে ভিতর অনেক প্রশস্ত দেখলাম। এর ভিতর সুন্দর একটি বাগান দেখলাম, যা আমি পৃথিবীর কোথাও দেখিনি। যার মধ্যে ঝর্ণা প্রবাহিত ছিল। আর তাতে এক অপূর্ব সুন্দর যুবক দেখলাম। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি কোন আমলের বিনিময়ে এ পুরস্কার পেয়েছে? সে বলল, আমি এক মাহফিল শুনেছিলাম, যে ব্যক্তি গুনাহ থেকে বেঁচে থাকবে, আল্লাহ তায়ালা তাঁর কবরকে জান্নাতের বাগান বানিয়ে দিবেন। এরপর থেকে আমি সর্ব প্রকার গুনাহ ছেড়ে দিলাম। এসব নিয়ামত সেসব কাজেরই উত্তম বিনিময়।
তাইতো কবি বলেন, এ পুরস্কার তাঁর জন্য, যে গুনাহ থেকে বাচলো। আর সে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দিল।
সাইয়্যেদুনা হযরত আবু বকর (রাঃ)-এর খেলাফতকালে এক ব্যক্তি মারা গেল। যখন তাঁর জানাজা দেওয়ার জন্য সবাই তৈরি হল, তখন দেখল কাফনের ভিতর কি যেন নড়াচড়া করছে। তাঁর কাফন খোলা হলে দেখা গেল, এক ভয়ংকর সাপ বিষাক্ত কুণ্ডলী পাকিয়ে ছোবল মারছে। লোকজন সাপটি মারতে উদ্যত হল। তখন সাপ কালেমা পড়ে বলল, হে লোক সকল! তোমরা আমাকে কেন মারতে চাও। আমি এখানে আমার ইচ্ছায় আসিনি। আমাকে আল্লাহ তায়ালা পাঠিয়েছেন এবং কিয়ামত পর্যন্ত তাঁকে দংশন করতে থাকবো। মানুষজন জানতে চাইল। ওরে সাপ তাঁর অপরাধ কি ছিল, যার জন্য তাঁকে এ আযাব দেয়া হচ্ছে? তখন সাপ আল্লাহর হুকুমে বলল, হে লোক সকল, এর তিনটি অপরাধ ছিল।
১. সে আযান শুনে মসজিদে যেত না।
২. সে যাকাত দিত না।
৩. সে উলামায়ে কেরামগণের কথা শুনতো না।