বনু কোরাইযার ঘটনা – ৩য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, কয়েক দিব পর তাহার ইন্তেকাল হইয়া গেল এবং ইন্তেকালের সময় রাসূল (সাঃ) হযরত আবু বকর (রাঃ) ও হযরত ওমর (রাঃ) তাহার নিকট উপস্থিত ছিলেন। তাহার ইন্তেকালে ইহারা সকলে কাঁদিতেছিলেন। সেই পাক যাতের কসম, যাঁহার হাতে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর প্রাণ রহিয়াছে, আমি নিজের হুজরা হইতে হযরত আবু বকর (রাঃ) ও হযরত ওমর (রাঃ) উভয়ের কান্নার আওয়াজ পৃথক পৃথকভাবে চিনিতে পারিতেছিলাম। প্রকৃতপক্ষে রাসূল (সাঃ)-এর সাহাবা (রাঃ) পরস্পর এরূপ রহম দিল ছিলেন, যেরূপ আল্লাহ তায়ালা তাহাদের সম্পর্কে বলিয়াছেন, رحماء بينهم অর্থাৎ নিজেদের মধ্যে সদয়।
হযরত আলকামা (রাঃ) বলেন, আমি আরজ করিলাম, হে আম্মাজান, এরূপ শোকের সময় রাসূল (সাঃ) কি করিতেন? তিনি বলিলেন, কাহারো জন্য তাঁহার চক্ষু হইতে অশ্রু নির্গত হইত না ঠিক, তবে কাহারো ব্যাপারে অধিক শোক দুঃখ হইলে তিনি নিজের দাড়ি মোবারক ধরিতেন। অধিকাংশ এরূপ হইলেও কখনও কখনও চক্ষু অশ্রুও নির্গত হইত।
হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, হযরত সা’দ ইবনে মুআয (রাঃ) এর ইন্তেকালে রাসূল (সাঃ) কাঁদিলেন এবং তাঁহার সাহাবা (রাঃ) ও কাঁদিলেন। অথচ রাসূল (সাঃ) সাধারণত খুব বেশী দুঃখের সময় আপন দাড়ি মোবারক ধরিতেন। আমি সেদিন আমার পিতা ও হযরত ওমর (রাঃ) এর কান্নার আওয়াজ পৃথক পৃথকভাবে চিনিতে পারিতেছিলাম। হযরত আয়েশা (রাঃ) আরো বলেন যে, রাসূল (সাঃ) যখন হযরত সা’দ ইবনে মুআয (রাঃ) এর জানাজা হইতে ফিরিলেন তখন তাঁহার দাড়ি মোবারকের উপর অশ্রু গড়াইয়া পড়িতেছিল।
সূত্রঃ হায়াতুস সাহাবা
বনু কোরাইযার ঘটনা – প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।