আজব কান্ড !!

আজ আমি আমাদের পরিবারে ঘটে যাওয়া একটি সত্য ঘটনা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। যা অনেক লোমহোসক কাহিনী ঘটনাটি শুরু হয় আমার ছোট চাচির সাথে তাদের তখন নতুন বিয়ে হয়। আমি কোনো দিন জিন_ ভুত বলে কিছু আছে তা বিস্বাস করতাম না কিন্তু আমার জীবনে এবং আমাদের পরিবারে যা ঘটেছে তার ফলে আমি বিস্বাস করেছি। তো চাচার নতুন বিয়ে, তারা দুজন মিলে তাই চিটাগং বেড়াতে যায়, সেখানে এক অদ্ভুদ হোটেলে তারা রুম পারমিট নেয়। যখন থেকে তারা সেই হোটেলে স্থান করে তখন থেকে তাদের মধ্যে এক অদ্ভুদ ঘটনা ঘটতে থাকে, তারা সেখানে প্রতিরাতে এক বাচ্চার বিকট কন্ঠ অনুভব করত । দিনদিন তারা তাদের রুমের জিনিস সব ওলট পালট দেখছে এমনকি দিনেও সেখানে নানা অদ্ভুদ ঘটনা ঘটতে থাকে। একদিন আমার চাচি রুমে কাজ করছিল ,কিছু কাপড় ঘুচাচ্ছিল আর আমার চাচা একটু নিচে হোটেল ম্যানেজারের সাথে কথা বলছিল। তখন চাচি কিছু শব্দ অনুভব করল সে শুনলো তার পিছনে কিছু আওয়াজ যেমন, গুমগুম এমন টাইপের কিছু আওয়াছ,তখন সে পিছন চেয়ে দেখে এক কালো বিড়াল কিন্তু বিড়ালটির এক চোখ অতি সাদা এবং আর চোখ অতি লাল এমন বিড়াল তো সচারোচয় হয়না, আবার তার দিকে ঘুরে বিকট আওয়াজ করছে, তখন সে চিৎকার করে উঠে এবং সেন্সলেস হয়ে যায় পড়ে পাশের রুমের মানুষ এবং নিচ থেকে চাচ্চু আর ম্যানেজার এসে তার গ্যান ফেরায় তখন সেই ঘটনা চাচ্চু ব্যতিত আর কাউকে চাচি বলেনি। তখন তারা আর সময় দেরি না করে তারা সেইদিন রাতের গাড়িতে ঢাকায় রোওনাহয় কিন্তু ঢাকায় রওনা হতে হতে চাচির শরীর অনেক ভার অনুভব হয়, তারা যাওয়ার আগে একটু পাহাড় পরিদর্শন করে যায়। কিন্তু ঢাকা আসার পড় চাচির দিনদিন আরো খারাপ হতে থাকে , চাচিকে একদিন চাচ্চু বাসায় অদ্ভুদ কিছু করতে দেখে, যে একটি আস্ত কাচা মুরগি সে খাচ্ছে তখন চাচ্চু চাচির গাড়ে হাত দিলে সে অদ্ভুদ গলায় যেমন বাচ্চা আর বড় পুরুষের কন্ঠ মিসরিত এক গলায় তাকে বলে, তুই অনেক ভুল করছস তোর আর নিস্তার নাই তোর পরিবারের কেউ রেহাই পাইবনা। এই বলে চাচি তারে এক হাত দিয়ে তুলে মুখের ভিতর থেকে বিসরি থুথু ছুড়ে মারে। ঠিক সেই সময় চাচির চোখ লাল ছিল এবং মাথার চচুল উলট পালট হয়ে আর মুখ দিয়ে লাল লালা ঝরছিল , তাকে এক অদ্ভুদ রুপ ধারন করা পিচাসের মতো লাগছিল। তখন পাশের ঘর থেকে দাদি এসে এবং আমার বাবা এসে তাকে বাঁচাড় এতে বাবাও গুরুতর আহত হয় চাচির ছোড়া ফ্রিজের ঢাকনা ছুটে এসে লেগে বাবার মাথা ফেটে যায়। যখন চাচি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে তখন চাচির কিছু মনে থাকে না। কিন্তু যখন সে সেই অবস্থায় ফিরে আসে তার মধ্যে এক অজানা শক্তি ভর করে দশ জন মিলে ও তার সাথে শক্তিতে পারা যায় না। আমরা বড় আতন্কে ছিলাম তাকে দরজা তালা মেরে রাখা যেত না তা ভেঙে ফেলতো। ডাক্তার দেখিয়েছি সে বলেছে সাইকো পভলেম তাকে মানসিক ভাবে চিকিৎসা করতে হবে , কিন্তু অজানা শক্তি সম্পকে কেউ কিছু বলতে পারেনি এবং সাত রকমের কন্ঠের ব্যাপারে। পড়ে এক হুজুরের কাছে নিয়ে গেলে, সে বলে সাতটি খারাপ জিন চাচির উপর ভর করেছে এতে তার জিবন নাসের আসন্কা বেশি। ফলে সবাই চাচির আসেপাসে তো দুরের কথা তাকে একটি সম্পুন্ন ফ্লাটে রেখে অন্ন ফ্লাটে আমরা থাকতাম আর সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে খবর নিতাম, কারন তার চেয়ে আমাদের প্রানের ঝুকি বেশি ছিল, খাবার দেওয়ার সময় হুজুর সহ দশ থেকে বারো জন মিলে যেতাম, আমাদের সেখানে যাওয়া বারন ছিল ।আপনারা বিস্বাস করবেন না এভাবেই ১০– ১৫ দিন অতিক্রম হয়েছে। চাচি মুহুত্তের মধ্যে খারাপ এবং ভালো রুপধারন করত জেন তাকে আমাদের পাশে রাখি। ফলে একদিন অনেক প্রতিক্খার পর কুস্ঠিয়া থেকে আগত এক হুজুরের মাধ্যমে তা থেকে মুক্তি পাই , এতে চাচির অনেক শারিরীক ভাবে অসুস্থ হয় এবং ৬ মাস বিরাম রোগে ভুগে, এবং তার স্বাস্থ অনেক পরিবর্তন হয়, ,

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!