ন্যায় বিচারের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

সুলতান মাহমুদ ছিলেন একজন পরাক্রমশালী শাসক এবং অতুলনীয় বিত্তবৈভবের মালিক। কিন্তু শক্তি ও বিত্ত তাকে স্বেচ্ছাচারী করে তোলেনি। ন্যায় বিচারকে তিনি ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছার উর্ধ্বে স্থান দিতেন।

একবার এক ব্যক্তি সুলতান মাহমুদের কাছে নালিশ করল, তার সুন্দরী স্ত্রীর প্রতি আসক্ত হয়ে সুলতানের ভ্রাতুষ্পুত্র প্রায়ই তার গৃহে হানা দেয় এবং তাকে প্রহার করে বের করে দিয়ে তার স্ত্রীর উপর অবৈধ কামনা চরিতার্থ করে। অভিযোগ শুনে ক্রোধে সুলতানের চোখ থেকে অশ্রুপাত হতে লাগলো। তিনি বললেন, আবার যখন সে যাবে আমাকে খবর দিও।

 

তিন দিন পর এক রাতে লোকটি ছুটে এসে খবর দিলেন সুলতানকে। সুলতান একাই তার সাথে ছুটে গেলেন। গিয়ে দেখলেন, ঘরে একটি মোমবাতি জ্বলছে আর তার ভ্রাতুষ্পুত্র লোকটির স্ত্রীর পাশে ঘুমিয়ে আছে। সুলতান মোমবাতি নিভিয়ে দিয়ে তলোয়ারের এককোপে তার ভ্রাতুষ্পুত্রের শিরচ্ছেদ করলেন। তারপর সুলতান আলো আনিয়ে দ্রুত এক গ্লাস পানি ঢক ঢক করে পান করে ফেললেন। লোকটি বিস্ময়ে সুলতানের কাছে জানতে চাইলেন কেন তিনি বাতি নিভিয়ে দিয়ে ছিলেন এবং কেনইবা পানি পানের জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠলেন।

 

সুলতান বললেন, ঐ যুবককে আমি খুব স্নেহ করতাম। ভয় হয়েছিল তার মুখ দেখলে আমি তার প্রতি স্নেহ প্রবল হয়ে পড়বো। তাই বাতি নিভিয়ে দিয়েছিলাম। আর পানি পান করলাম কারন, তোমার অভিযোগ পেয়ে আমি শপথ করছিলাম অপরাধীকে শাস্তি না দিয়ে আমি আহার করবো না। আমি তিন দিন ধরে আহার করিনি।

উৎসঃ আমরা সেই সে জাতি, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠাঃ ৮৬

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!