হযরত শায়খ আবুল আব্বাস নেহাবন্দী (রঃ) – পর্ব ১

তাপস সমাজের একজন জ্যোতির্ময় পুরুষ হলেন হযরত আবুল আব্বাস নেহাবন্দী (রঃ)। তাঁর ধর্মনিষ্ঠা, জ্ঞান ও সদাচরণের জন্য তিনি দুনিয়াখ্যাত।

তিনি আল্লাহর ধ্যানে দীর্ঘ বারো বছর ধরে সর্বদা মাথা নিচু করে থাকতেন। ফলে তাঁর হৃদয়ে আধ্যাত্মজ্ঞান অঙ্কুরিত হয়। প্রত্যেকে চান, পলকের জন্য হলেও আল্লাহ তাঁর সঙ্গী হয়ে যান। কিন্তু তাঁর আশা, আল্লাহ তাঁকে এমন জ্ঞানের আলো দিন, যার সাহায্যে তিনি নিজেকে খুব ভালভাবে চিনতে পারেন।

তিনি সর্বদা বলতেন, আল্লাহর সঙ্গে বেশী ও মানুষের সঙ্গে কম সময় ব্যয় কর। শোনা যায়, তিনি নিজে টুপি সেলাই করে দুটাকা দামে বিক্রি করতেন। তার এক টাকা দিয়ে রুটি কিনে কোন দরবেশকে সাথে নিয়ে নির্জনে খেতেন। বাকী টাকাটা দান করতেন। একটি টুপির টাকা এভাবে খরচ করে আর একটি টুপি সেলাই করতেন।

হযরত আবুল আব্বাস (রঃ)-এর এক ধনী মুরীদ তাঁর নির্দেশক্রমে এক অন্ধকে যাকাতস্বরূপ একটি সোনার মোহর দান করেন। পথে ঐ পথ দিয়ে যাবার সময় মোহরদাতা শুনলেন, অন্ধ লোকটি অন্য এক অন্ধকে বলছে, কাল একটি লোক আমাকে একটি মোহর দেয়। তা দিয়ে আমি শরাব পান করে এক বীরঙ্গনার ঘরে গিয়ে ফুর্তি করেছি। বলাবাহুল্য, মুরীদ একথা শুনে খুবই ক্ষুব্ধ হলেন। আর পীরের কাছে গেলেন ঘটনার বিবরণ দিতে। কিন্তু কিছু বলার আগেই হযরত আবুল আব্বাস নেহাবন্দী (রঃ) তাঁর হাতে একটি দিরহাম দিয়ে বললেন, পথে প্রথম যার সাথে দেখা হবে, তাকেই এটি দিয়ে এস। দিরহামটি তাঁর টুপি বিক্রির।

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

হযরত শায়খ আবুল আব্বাস নেহাবন্দী (রঃ) – শেষ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!