একজন ডাক্তার স্বপ্নে দেখেন ব্যভিচারীর পুরুষাঙ্গে চাবুক ঢুকানো হচ্ছে
একজন ডাক্তারের জীবনীতে তার দেখা এক ভয়ানক স্বপ্নের বিবরণ এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ১৯৬১ সালে আমি হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে রেজিষ্ট্রারার হিসেবে কাজ করছিলাম। এক রাতে ভয়ানক স্বপ্ন দেখলাম। সেই স্বপ্ন দেখার পর আমি ৬ মাস অসুস্থ ছিলাম। স্বপ্নে দেখি, আমাকে এক কবরস্থানে নেওয়া হয়েছে। সেখানে দেখি, এক কবরে লাশ ছটফট করছে। মনে হচ্ছিল, তাকে ভয়ানক শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। লাশের মুখ ছিল খোলা কিন্তু মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছিল না। দুই হাতের বাহু এবং উরু যন্ত্রণায় নড়ে উঠছিল। দীর্ঘ সময় এ অবস্থা চলার পর লাশের নড়াচড়া বন্ধ হলো। এ সময় দেখি অন্য একজন লোক এলো। তার হাতে দেখি একটি সরু শলাকার মত চকচকে চাবুক। সে ব্যক্তটি চাবুকটি লাশের পুরুষাঙ্গ দিয়ে ঢুকাচ্ছিল আর লাশ অবর্ণনীয় যন্ত্রণায় ছটফট করছিল। লাশের কষ্ট দেখে আমি আর চুপ করে থাকতে পারলাম না। লোকটিকে বললাম, তাকে এত শাস্তি কেন দিচ্ছেন? লোকটি বলল, দুনিয়ার জীবনে সে ব্যভিচার করতো। মৃত্যুর পর থেকে তাকে এ শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
বেশ কিছু সময় যাবত আমি লাশকে শাস্তি দেওয়ার দৃশ্য দেখলাম। লাশের জন্য আমার মনে করুণার উদ্রেক হল। হঠাৎ দেখি অন্য একজন লোক এলো এবং আমাকে চিৎ করে শুইয়ে দিয়ে সেই চাবুক আমার পুরুষাঙ্গে ঢুকিয়ে দিল। আমি দুঃসহ যন্ত্রণায় ডাঙ্গায় তোলা মাছের মত ছটফট করতে লাগলাম। এই স্বপ্নের কথা মনে হলে এখনো আমার পশম খাড়া হয়ে যায়। যন্ত্রণায় ছটফট করা অবস্থায় আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। আমার বিছানা ভিজে গেল। আমি মনে করলাম হয়তো ঘুমের ঘরে পেশাব করায় আমার বিছানা ভিজে গেছে। কিন্তু অবাক হয়ে দেখি, আমার বালিশও ভিজা। তারপর যখনই পেশাব করছি দেখেছি পেশাবের সাথে রক্ত যাচ্ছে। ছয় মাস পর্যন্ত এই অবস্থা চললো। এ সময় আমি বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম। নানা রকম ল্যাবরেটরী টেস্ট এক্সরে করলাম। অনেক বড় বড় ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করলাম। কিন্তু এ অদ্ভুত রোগের কারণ কেউ নির্ণয় করতে পারলো না। আমার রোগও নিরাময় হল না। এ সময় আমি হাসপাতাল থেকে দীর্ঘ মেয়েদি ছুটি নিলাম। তারপর তাওবা এবং দোয়া ইস্তেগফারের দিকে মনযোগী হলাম। অবশেষে মহান আল্লাহ আমাকে এ রোগ থেকে মুক্তি দিলেন।