হযরত ইব্রাহীম ইবনে দাউদ রুকী (রঃ) – পর্ব ১

হযরত ইব্রাহীম ইবনে দাউদ রুকী (রঃ) শাম দেশের অন্যতম সিদ্ধপুরুষ ছিলেন। তাঁর কঠোর সাধনা বিস্ময়কর। তিনি ভিম্ব-বিশ্রুত তাপস হযরত জুনায়েদ বাগদাদী (রঃ)-এর সমসাময়িক। হযরত ইবনে আতা (রঃ) ও হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জাল্লা (রঃ) ছিলেন তাঁর অন্তরঙ্গ বন্ধু। মাত্র একটি ফকিরী পশমী পিরহান পরে একটানা চল্লিশ বছর কাটিয়ে দেন।

একদিন এক বনবাসী দরবেশ এসে তাঁকে বলেন, বনটি হিংস্র-শ্বাপদে পূর্ণ। তাতে এবাদাত বন্দেগীতে যথেষ্ট বিঘ্ন ঘটে। তিনি হযরত ইব্রাহীম (রঃ)-এর পবিত্র পোশাকের একটি টুকরো প্রার্থনা করেন। সেটি তাঁর পিরহানের সঙ্গে সেলাই করে দিলে আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় তিনি নির্বিঘ্ন হতে পারেন বলে তাঁর দরবেশী পোশাকের একটি ছিন্ন অংশ তাঁর জামার সঙ্গে সেলাই করে দিলেন।

কয়েকদিন পরের ঘটনা। বনবাসী তাপস বসে আছেন এক ঝর্ণার পাশে। হঠাৎ গন্ধ পেলেন বাঘের। বনের মধ্যে অন্য জীব-জন্তুর একটি হুটপাট শব্দ শোনা গেল। তিনি কিন্তু নির্বিকার। সহসা বনের একদিক থেকে ভেসে এল গম্ভীর গর্জন। আর দেখতে দেখতে একটি বিশাল আকারের বাঘ সবেগে তাঁকে লক্ষে করে লাফ দিল। চলে এল তাঁর খুব কাছাকাছি। কিন্তু, কী যে হল, সে আরও এগিয়ে এসে তাঁর কাছে মুখ নিচু করে দাঁড়াল। মনে হল, সে যেন দরবেশের পিরহানের গন্ধ শুঁকছে। এভাবে আধ মিনিট কাটার পর বাঘটি ধীরে ধীরে গভীর বনে চলে গেল।

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

হযরত ইব্রাহীম ইবনে দাউদ রুকী (রঃ) – শেষ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!