হযরত আবু তুরাব বলখী (রঃ) – পর্ব ২ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
তিনি বলতেন, তিনটি বস্তুর প্রতি আসক্তি মানুষে ক্ষতির কারণ। যথাঃ (১) নফসের প্রতি, (২) জীবনের প্রতি ও (৩) ধন-সম্পদের প্রতি। এ তিনটি মধ্যে কোনটিই মানুষের নিজের নয়। বরং প্রতিটি বস্তুই আল্লাহ্র। যেমন, নফস হল আল্লাহ্র দাস। জীবনের মালিকও আল্লাহ্। আর ধন-সম্পদেরও প্রকৃত অধিকারী তিনিই।
মানুষ আরও দুটি জিনিসের খোঁজ করে। কিন্তু তার খোঁজ পাওয়া সম্ভব নয়। সে দুটি জিনিস হল শান্তি আর আনন্দ। এ দুটি জান্নাতের নিজস্ব বস্তু। অর্থাৎ প্রকৃত শান্তি ও আনন্দ কেবল জান্নতেই পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, আল্লাহকে পাওয়ার সোপান সত্তরটি। তার মধ্যে সর্বোচ্চ সোপান হল তাওয়াক্কুল ও সর্বনিম্নটি হল আল্লাহকে স্বীকার করা।
তিনি আরও বলেন, আল্লাহ্ দ্বীন প্রচার ও মানুষকে জ্ঞানোপদেশ দেবার জন্যই আলেমদের সৃষ্টি করেছেন।
তাঁর কথা হল, কোন ব্যাপারে কারও মুখাপেক্ষী না হওয়াই হল সচ্ছলতা। আর অন্যের মুখাপেক্ষী হওয়াই হল দারিদ্র।
একবার এক ব্যাক্তি তাঁকে বলেন, আপনার কিছু দরকার হলে আমাকে জানাবেন। তিনি বললেন, আমার তো খোদ আল্লাহ্র কাছেই কিছু জানাবার নেই। কেননা, আমি তাঁর খুশীতেই খুশী। তিনি যখন যেভাবে আমাকে রাখতে চান, আমিও ঠিক তখন সেভাবেই থাকতে চাই। অতএব, কারও কাছে আমার কিছু চাইবার ও বলবার নেই।
শোনা যায়, বসরার কোন এক বনে তাঁর মৃত্যু হয়। হয়ত বা লোকের অভাবে তাঁর কাফন দাফন হয়নি। তাঁর মৃত্যুর কয়েক বছর পর কিছু লোক ঐ বনে গিয়ে দেখে তাঁর মরদেহ একখানা লাঠিতে ভর দিয়ে কেবলার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে। ঠোঁট দু’খানি শুকনা। কিন্তু অতদিন পরেও তাঁর মৃত দেহের কোন ক্ষতি হয়নি।
সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া
হযরত আবু তুরাব বলখী (রঃ) – পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।