চলমান শহীদ

(ক) ত্বালহা বিন ওবায়দুল্লাহ : কাফিরদের বেষ্টনীতে পড়ার সংকটকালীন অবস্থায় রাসূলকে রক্ষাকারী ৯ জন ছাহাবীর ৭ জন আনছার ছাহাবী শহীদ হওয়ার পর সর্বশেষ দু’জন মুহাজির ছাহাবী হযরত সা‘দ ইবনু আবী ওয়াক্কাছ ও ত্বালহা বিন ওবায়দুল্লাহ অতুলনীয় বীরত্বের সাথে লড়াই করে কাফিরদের ঠেকিয়ে রাখেন। দু’জনেই ছিলেন আরবের সেরা তীরন্দায। তাদের লক্ষ্যভেদী তীরের অবিরাম বর্ষণে কাফির সৈন্যরা রাসূলের কাছে ভিড়তে পারেনি। এই সময় রাসূল (ছাঃ) স্বীয় তূণ হ’তে তীর বের করে সা‘দকে দেন ও বলেন ‘তীর চালাও! তোমার উপরে আমার পিতামাতা উৎসর্গীত হউন’। তার বীরত্বের প্রতি রাসূল (ছাঃ) কতবড় আস্থাশীল ছিলেন, একথাই তার প্রমাণ। কেননা আলী (রাঃ) বলেন, সা‘দ ব্যতীত অন্য কারুর জন্য আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) স্বীয় পিতা-মাতা উৎসর্গীত হউন, এরূপ কথা কখনো বলেননি।
দ্বিতীয় মুহাজির ছাহাবী হযরত ত্বালহা বিন ওবায়দুল্লাহ সম্পর্কে হযরত জাবের (রাঃ) বলেন যে, ঐদিন তিনি একাই এগারো জনের সঙ্গে লড়াই করেন। এইদিন তিনি ৩৫ বা ৩৯টি আঘাত পান। তাঁর শাহাদাত ও মধ্যমা অঙ্গুলী কেটে যায় ও পরে অবশ হয়ে যায়। রাসূল (ছাঃ) তার সম্পর্কে বলেন, ‘যদি কেউ ভূপৃষ্ঠে চলমান কোন শহীদকে দেখতে চায়, তবে সে যেন ত্বালহা বিন ওবায়দুল্লাহকে দেখে’। বস্ত্ততঃ তিনি শহীদ হন হযরত আলীর খেলাফতকালে ‘উটের যুদ্ধে’র দিন কুচক্রীদের হামলায়। আবুবকর (রাঃ) ওহোদ যুদ্ধের প্রসঙ্গ উঠলে বলতেন, ‘ঐ দিনটি ছিল পুরোপুরি ত্বালহার’। অর্থাৎ নিঃসঙ্গ রাসূলকে বাঁচানোর জন্যযে ত্যাগ তিনি স্বীকার করেছিলেন, তা ছিল তুলনাহীন।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!