আল্লামা ইবনু আকীল (রহঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ তা’য়ালা ইবলীসের সাথে সরাসরি কথা বলেছিলেন কি না, সে বিষয়ে আলিমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে, নির্ভরযোগ্য গবেষকদের মতে, সঠিক তথ্য হল, আল্লাহ ইবলীসের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেননি বরং কোনও ফিরিশতার মুখ দিয়ে ওর সাথে কথা বলেছিলেন।
কেননা কারও সাথে আল্লাহর কথা বলার অর্থ তার উপর রহমত বর্ষণ করা, তার প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া, তাকে সম্মান জানানো এবং তার মর্যাদা বাড়ানো। আপনারা কি জানেন না, আল্লাহর সঙ্গে কথা বলার জন্য হযরত মূসা (আঃ) – কে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) ও হযরত ইব্রাহীম (আঃ) ছাড়া সমস্ত নবী-রাসূলের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া হয়েছে।
ইবলীস ফিরিস্তাদের অন্তর্গত ছিল কি? এ বিষয়ে আলিমদের মতভেদ আছে। অধিকাংশ আলিমদের মতে, ইবলীস ফিরিস্তাদের অন্তর্গত ছিল। কেননা পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন – فسجدوا الا ابليس ইবলীস ছাড়া সবাই সেজদা করল। এক্ষেত্রে ফিরিস্তাদের সঙ্গে ইবলীসের উল্লেখের দ্বারা বোঝা যাচ্ছে যে, ইবলীসও ছিল ফিরিস্তা সম্প্রদায়ের অন্তর্গত।
আবার – الا ابليس كان من الجن ইবলীস ছাড়া (সবাই সেজদা করেছে) সে ছিল জ্বিন। আল্লাহর এই বাণীর দ্বারা বোঝা যায় যে, ইবলীস (ফিরিস্তা নয় বরং) জ্বিনদের অন্তর্গত। এর উত্তরে পূর্বোক্ত আলিমগণ বলেন যে, জ্বিনরাও একশ্রেণীর ফিরিস্তা। কেননা ফিরিস্তাদের একটি শ্রেণীকে বলা হয় কারীবিয়ূন এবং অপর শ্রেণীটিকে বলা হয় রুহানিয়ুন।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।