বর্ণনায় হযরত সালিম বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) বিন ওমর (রাঃ) একবার বসরার গভর্নর হযরত আবূ মূসা আশআরী (রাঃ)-এর কাছে খলিফা হযরত ওমর (রাঃ)-এর বার্তা পৌঁছতে দেরি হয়। বসরার সেই সময় এক মহিলা ছিল যার মুখ দিয়ে শয়তান কথা বলত। হযরত আবূ মূসা (রাঃ) সেই মহিলার কাছে একজন দূত পাঠালেন।
দূত দিয়ে মহিলাকে বলল, আপনি আপনার শয়তানকে বলুন যে, সে যেন আমীরুল মুমিনীন হযরত ওমর ফারুক (রাঃ)-এর খবরটা এনে দেয়। উত্তরে সেই মহিলার মুখ দিয়ে শয়তান বলে, তিনি এখন ইয়ামনে আছেন এবং খুব সত্ত্বরেই এসে যাবে। সুতরাং এরা আরেকবার গিয়ে হযরত ওমর (রাঃ)-এর খবর এনে দাও। কেননা তার খবর পেতে দেরি হওয়ায় আমরা পেরেশান হয়ে পড়েছি।
শয়তান তখন বলে, উনি হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) এমন এক ব্যক্তি, যার কাছে যাবার হিম্মত আমাদের নেই। তাঁর দুই চোখের মধ্যস্থলে রুহুল কুদ্দুস হযরত জিব্রাইল (আঃ) আপন দৃষ্টির প্রকাশ ঘটান। আল্লাহ তায়ালা এমন কোনও শয়তান সৃষ্টি করেননি, যে হযরত ওমরের কথা শোনার সাথে সাথে মুখ গুঁজে পালিয়ে যায় না।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।