এক দুপুরে এক বাসায় টেলিভিশনে পরিবারের সবাই বসে সিনেমা দেখছিলো। এক যুবতী মেয়ে অন্য কামরায় বসে কুর’আন তিলাওয়াত করছিল। ঘরের ছোট মেয়েটি এসে তার বোনকে বললো, আপু টেলিভিশনে কি সুন্দর সিনেমা হচ্ছে, চল দেখবে? মেয়েটি কুর’আনের ভিতর নিশানা লাগিয়ে কুর’আন বন্ধ করে সিনেমা দেখার জন্য গেল। বেশ কিছুক্ষণ সিনামা দেখার পর ওজু না করে পুনরায় কুর’আন তিলাওয়াত করতে এলো। কিন্তু সে কুর’আনের কাছেই যেতে পারলো না। সে দেখলো, কোরআনের চার দিকে ছয় ইঞ্চি লম্বা ভয়ানক চেহারার কয়েকটি বিচ্ছু বসে ঘিরে আছে। ওসব বিচ্ছু মেয়েটির দিকে ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে তার দেহে লাফিয়ে পড়লো। বিচ্ছুদের দংশনে মেয়েটি প্রচন্ড চিৎকার করতে লাগলো। পরিবারের সবাই আতঙ্কে দিশাহারা হয়ে পড়লো। বিচ্ছুর দংশনে চিৎকার দিতে দিতে মেয়েটি মরে গেল।
পরিবারের সদস্যরা একজন আলেমকে খবর দিলেন। তিনি সব দেখে শুনে বললেন, কোরআনের প্রতি অমর্যাদার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। তোমরা মেয়েটির লাশের পাশে টেলিভিশন রেখে দাও। টেলিভিশন এত খারাপ জিনিস যে, ওসব বিচ্ছু টেলিভিশনের কাছে থাকতে চায় না। লাশের কাছে টেলিভিশন রাখার পর সব বিচ্ছু লাশ ছেড়ে উধাও হয়ে গেল। মেয়েটিকে গোসল করে জানাযার পর বুজুর্গের পরামর্শে টেলিভিশন সেটসহ কবরে নামানো হল। লাশ কবরে রাখার পর ওসব বিচ্ছু পুনরায় এসে লাশের সাথে মিলে গেল।
দাফন করার পর দু’আ পাঠ করে আত্নীয়-স্বজন কিছুদীর যাওয়ার পর বিকট বিষ্ফোরনের শব্দ হল, তারা দেখতে পেল, কবর ফেঁটে মেয়েটির লাশ টুকরো টুকরো হয়ে উপরে বিস্ফোরিত হল।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।