হযরত আইয়ুব (আঃ) এর নবুয়তী ও সম্পদ-২য় পর্ব

আমাদেরকে শুধু ঈমানের দাওয়াত দিচ্ছেন, সৎ কাজ করার ও অসৎ কাজ পরিত্যাগের নছিহত করেই শেষ করছেন। কিন্তু ধন সম্পদ লাভের কোন ব্যবস্থা করছেন না। আপনি মহা আরাম জৌলুসে থেকে আমাদের দিয়ে ধর্মের কাজ করাবেন। আমরা ধর্মের কাজ নিয়ে পরিশ্রম করব আর রুজী রোজগারের জন্য পরিশ্রম করব না, এটা আমাদের দ্বারা আর সম্ভব নয়। ধন সম্পদ যেভাবে আপনি ভোগ করছেন, ধর্মের কাজও আপনি করে যান। এ বিষয় আমাদেরকে আর কখনই বিরক্ত করতে আসবেন না। যদি এর পরেও আপনি দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে আমাদের কাছে আসেন তবে আমরা সম্মিলিত ভাবে আপনাকে বাধা প্রদান করব। প্রয়োজন হলে আমরা যুদ্ধে অবতীর্ণ হব।

হযরত আইয়ুব (আঃ) উম্মতদের মন্তব্য শুনে প্রানে খুব দুঃখ পেলেন। খুব অনুতপ্ত হলেন। এক পর্যায়ে তিনি আল্লাহর দরবারে হাত তুলে বললেন, হে মহান প্রভু! আমি তোমাকে মনে প্রানে ভালোবাসি এবং তোমার প্রদত্ত দায়িত্ব যথাসাধ্য প্রতি পালনের চেষ্টা করি। ইচ্ছাকৃতভাবে কোন অপরাধে জড়িত হতে চাই না। তবুও আমার উম্মতেরা আমাকে অপরাধী মনে করে।

 অতএব তুমি আমার ধন-দৌলত, সুখ-স্বচ্ছন্দের বিলুপ্ত সাধন করে দাও। তাহলে আমার উম্মতেরা সঠিক জ্ঞান লাভ করে ঈমানী দাওয়াত কবুল করতে পারে। হে প্রভু! আমি যদি উম্মতদের সঠিক পথে পরিচালনা করতে ব্যর্থ হই তাহলে ধন-সম্পদ আমার কি কাজে আসবে। অতএব তোমার নিকট আমার প্রার্থনা, দৌলতের অনিষ্ট থেকে আমাকে রক্ষা কর। পার্থিব সুখ-স্বাছন্দের বিনিময়ে তুমি আমাকে বেহেস্ত দান কর।

সূত্রঃ কুরআনের শ্রেষ্ঠ কাহিনী

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!