হযরত নূহ আঃ এর জাহাজ তৈরী -২য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
হযরত নূহ (আঃ) তাঁর উম্মতের পরমর্শ অনুসারে একদা উজের নিকট গিয়ে তাকে পর্যাপ্ত খাবার দিবার অঙ্গীকার করে নীল নদ থেকে গাছ উত্তলনের কথা বললেন। উজ খাবার কথা শুনে রাজি হল এবং সঙ্গে সঙ্গে নীল নদের দিকে রওনা করল। কিছুক্ষণের মধ্যে সে নীলনদ মন্থন করে অনেক গাছ তুলে ফেলল। তারপর নূহ নবীর কাছে এসে খাবার প্রার্থনা করল। নবী তাকে তিনটি রুটি দিলেন। তখন উজ রাগন্বিত হয়ে বলল, আমাকে পর্যাপ্ত খাবার দেবার অঙ্গীকার করেছ। এখন মাত্র তিনখনা রুটি দিয়ে আমাকে প্রহসন করছ। আমি এখনি গাছ নদীতে ফেলে দিব। হযরত নূহ (আঃ) বললেন তুমি রুটুগুলো জামার নিচে রাখ এবং এক একটি বের করে খেতে থাক। তাতে যদি তোমার তৃপ্তি না হয় তাহলে গাছ নদীতে ফেলে দিও।
উজ নবীর কথা অনুসারে জামার নিচে রেখে রুটি খেতে লাগল। তখন সে দেখে এক একটি রুটির সাইজ অনেক বড় হয়েছে এবং রুটির কোন শেষ নেই। একাধারে সে বারশ রুটি খেয়ে ফেলল এবং হাসি দিয়ে বলল, হে নূহ! তুমি আমাকে অনেক দিন পর পেট ভরে খাওয়ালে। এজন্য তোমাকে অশেষ ধন্যবাদ। আগামীতে আর যদি কোন কাজে আমাকে প্রয়োজন হয় তবে এভাবে খাবার ব্যবস্থা কর। আমি সানন্দে তোমার কাজ করে দেব। এই বলে উজ বিদায় হয়। জামা উল্টিয়ে সে দেখল তার পূর্বের তিনখানা রুটি সম্পূর্ণ অক্ষত আছে। সে তখন হযরত নূহ (আঃ) কে বলল, এ রুটি তিনখানা আমি নিয়ে যাব? হযরত নূহ (আঃ) বললেন, হ্যাঁ ওটা তোমার। ওটা নিয়ে যাও। তবে মনে রেখ এ রুটিতে তোমার অনেক দিন চলবে। উজ খুশি মনে রুটি নিয়ে বিদায় হল।
হযরত নূহ (আঃ) এর জাহাজ তৈরীর ঘটনা-চতুর্থ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।