পোস্টমডার্ন জটিল মনস্তাত্ত্বিক সমস্যার শিকার প্রায় আমরা সকলেই । অন গড বলছি , পাগলাটে গোছের ঘোলা চোখের কবিতা গুলো সেই যন্ত্রণারই সন্তান । সব কিছুই কেমন যেন গুলিয়ে যায় আজকাল । এক অভূতপূর্ব ঘূর্ণির মধ্যে লাট্টুর মতো পাক খেয়ে চলা পলেস্তারা খসা বর্তমান অচিরেই ডার্ক টোনের ফিউচার হবে , এ কথা জেনে বুঝেও আজকে হঠাৎ দুটো রসের কথা কইবার ইচ্ছে জাগল । তাই গদ্য লেখককুলের অনুমতি ছাড়াই আসরে ঢুকে দু চার কথা লিখেই ফেলছি না হয় । সেসব কথা নেহাতই খারাপ লাগলে, চলনসই না মনে হলে কাছের লোকজন অন্যদিকে তাকিয়ে মুচকি হাসতে পারে , টুকটাক আওয়াজ – টাওয়াজও দেবে তল্লাটের বখাটে বন্ধুরা , খুল্লমখুল্লা গাল তো আর পাড়বে না ! তাই মাভৈঃ , এবেরে শুরু হই !
এই মাত্র ক’দিন আগেই আমার এক বান্ধবী কে বলছিলাম – দ্যাখো , এই ওয়ার্ল্ড টা এতোটাই বোগাস ও ইউনিডিমেন্সনাল যে আজকের স্বার্থপর দুনিয়ায় কারও সাথে মিশ্তেই ভাল্লাগে না । সুবিধা দাও, তোষামোদি কর , হপ্তা শেষে মাটন -মুরগী খাওয়াও , একটু ভালো মদ – সিগারেট অফার কর – তবেই বন্ধুত্ব আছে , আর নয়তো জাস্ট নেই ।।
সে বান্ধবী খানিক হকচকিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করে বসলে – কেন হল টা কি? আবার কে দুঃখ দিলো ? নাকি হালে কোনও জন্মদিনের পার্টিতে কেকের পিস টিস ছোট পড়েছে ?
আমি বললাম – নাহ , আমি পার্টিকে বরাবরই ডার্টি হিসেবেই ট্রিট করে এসেছি , এই এলাম – খুললাম – খেলাম – খুললাম – ঢাললাম এবং সেদিন ফিরলাম না – এই গতের ছক আমার টোটালি ডাউন মার্কেট মনে হয় । ব্যাপারটা সেটা না – এই দ্যাখো সরস্বতী পুজোতে এক বাড়িতে নেমন্তন্ন পেয়েছিলাম । [ আমার আবার একটা অভ্যেস আছে যে যেখানেই যাই ক্যামেরা টা গলায় ঝোলে ( মানে ‘ দাদা এটা জানা আছে’ পোস্টার আর কি ! ) ] তো সে পার্টিতে সবাই তো আর চেনাজানা নয় ! স্বভাবতই কিছু লোকের সাথে আলাপ -পরিচিতি ইত্যাদি হল ( করতে হল ) । গোটা দিন একসাথে কাটানোয় কয়েকজন বেশখানিকটা বন্ধু হয়ে উঠলেন এবং যথারীতি তারা ক্যামেরাবন্দিও হলেন । যাই হোক , হই হুল্লোড় করে ফিরে এলাম একরাশ আনন্দ মনে নিয়ে । ফিরে আসার পরেই এলো এক ফোন-কল এবং তাতেই যতো পীড়ার সূত্রপাত । এক ভদ্রলোক (মোটামুটি ধোপদুরস্ত এবং একেবারে লো লেভেল খেউরবাজ বলে তাকে মনে হয়নি পার্টিতে দেখে ) আমার পূর্বপুরুষের বাপান্ত করে নাকি বলেছে যে – এইসব ( আমার মতো) লোকেদের জমায়েতে ডাকাই উচিত না , যারা বেছে বেছে শুধু পেয়ারের লোকেদেরই ছবি তোলে । আমি স্বপ্নেও ভাবিনি যে এটা একটা ইস্যু হতে পারে । এটা নিয়ে বিন্দুমাত্র অ্যাওয়ার ও ছিলাম না আমি ।
বান্ধবী বললে – বছর কয়েক বাদে নিজের বিয়ের দিনটার কথা চিন্তা করো ;সেদিনের ভিড় টাকে একটু খুঁটিয়ে চেনার চেষ্টা করো । যে মুখ গুলোকে আইডেনটিফাই করতে পারলে শুধু তাদের পুল টাকে মগজে রাখো । বাকিটা শিফট- ডিলিট করে দিও । বিয়ের দিন টা একটা জাংশন , ঠিক যেমন প্রথম চাকরি জয়েন করে ফার্স্ট টাইম স্ট্যাটাস পাল্টানোর দিন টা ।
আমি বললাম – পাঠ নেওয়া সত্যিই অনেক বাকি পড়ে আছে ।।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।