শহীদ হবার পরও দুশমনকে হত্যা করলেন
ঐতিহাসিক বালাকোটের যুদ্ধের একটি ঘটনা। সৈয়দ আহমাদ বেরেলভী (রাঃ)-এর বিশেষ খলিফা সৈয়দ ইসমাইল শহীদ (রাঃ) ছিলেন একজন আশেকে রাসুলুল্লাহ (সা.)।
একবার তাঁর সম্মুখে একজন শিখ নবীজী (সাঃ)-কে গালি দিলে তিনি বলে উঠলেন-“খোদা কসম, আমি তোমার গর্দান উড়ানো ছাড়া এ জগত ত্যাগ করবো না।” আল্লাহু আকবার, হযরত শাহ ঈসমাইল (রাঃ) কিরুপ কসম মুখ দিয়ে বের করে ফেললেন! হযরত নবী করীম (সাঃ) বলেছেন-আল্লাহ তা’য়ালার এরুপ কিছু বিশিষ্ট বান্দা আছে, যারা আল্লাহর উপর কসম খেলে তিনি তাদের কসম পূরণ করার ব্যবস্থা করেন। তারা যদি বলে ফেলে খোদার কসম! আজ সকালে বৃষ্টি হবে, তাহলে উক্ত দিনে নির্ধারিত সময়েই আল্লাহ তা’য়ালা বারি বর্ষণ করেন।
আল্লাহর প্রেমিক শাহ ইসমাইল (রাঃ) শপথ করেছেন যে, উক্ত বেয়াদব শিখের গর্দান উড়ানো ব্যতিত মাটির নিচে যাবেন না। এ কথা শুনে পিয়ারা নবীর দুশমন পিছন দিক হতে তার গর্দান মুবারকের উপর তলোয়ার চালিয়ে দিল। ফলে সাথে সাথে ইসমাঈল শহীদ (রাঃ)-এর মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে মাটিতে পড়ে গেল। তাঁর মস্তকবিহীন শির পড়ে রইলো।
তখন তাঁর হাতে একটি তলোয়ার ছিল। পূর্বেই কসম খেয়ে ছিলেন, যে, উক্ত শিখকে হত্যা না করে তিনি এ দুনিয়া ত্যাগ করবেন না। এ কারণেই শরীর মুবারক থেকে মাথা পৃথক হওয়ার পরও হযরত ইসমাঈল শহীদ (রাঃ)-এর মুখ হতে বের হল-খোদার কসম! আমি তোকে হত্যা করা ব্যতীত মাটির নিচে যাব না।
ইসমাঈল শহীদ (রাঃ)-এর গর্দান উড়িয়ে ঐ কাফের পলায়ন করছিল। এ দিকে শহীদ (রাঃ)-২২০ গজ দূর থেকে উক্ত শিখের উপর খঞ্জর ছুঁড়ে ছিলেন। তৎক্ষণাৎ খঞ্জরের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে সেই শিখ মৃত্যু বরণ করলো। এরপর হযরত শাহ শহীদ (রাঃ)-নিস্তেজ হয়ে পড়েন এবং শাহাদাতবরণ করেন।