অস্টিনের উত্তর দিকটায় এক সময় বাস করত এই স্মদার্স পরিবার। জন স্মদার্স, তার বৌ, সে নিজে, তাদের পাঁচ বছরের ছোট্ট মেয়ে আর সেই মেয়ের বাবা মা… শহরের আদমসুমারীতে এর’মভাবে তাদের ছ-জনের পরিবার হিসেবে দেখা গেলেও আসলে তারা ছিল তিনজনই।
একদিন রাত্তিরে নৈশাহারের পর হঠাৎ তাদের মেয়েটি পেট ব্যথায় ভীষণ কাবু হয়ে পড়ল। জন তড়িঘড়ি শহরে ছুটল ওষুধ আনতে।
আর ফিরে এলনা সে।
ছোট্ট মেয়েটা সময়ের সাথে সাথে সেরে ওঠে। বড় হয়ে ওঠে ধীরে ধীরে।
তার মা স্বামীর এই অদ্ভুত অন্তর্ধানে অত্যন্ত শোকাহত হলেও মাসতিনেক পর আবার বিয়ে করে সান আন্তোনিওয় চলে যায়।
বড় হয়ে বিয়ে করল জন স্মদার্সের মেয়ে। একটা ফুটফুটে মেয়ে হল তার।
তখনও তারা বসবাস করত তাদের অস্টিনের পুরোনো বাড়িতেই।
কিছুদিন পর হঠাৎ এক কাকতালীয় ব্যাপার! তখন বাচ্চা মেয়েটির বয়েস পাঁচ বছর। একদিন হঠাৎ খুব অসুস্থ হয়ে পড়ল সে। সেদিনকার তারিখটা ছিল জন স্মদার্সের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার তারিখ। বেঁচে থাকলে আজ সে হত ছোট্ট মেয়েটার দাদু।
“আমি শহর থেকে ওর জন্যে কিছু ওষুধ নিয়ে আসি”, বললে জন স্মিথ… অর্থাৎ মেয়েটির স্বামী।
তার বৌ কাতর গলায় বলল – “প্লিজ যেওনা জন… কে জানে তুমিও হয়তো চিরদিনের মত নিরুদ্দেশ হয়ে যাবে!”
তার অনুরোধে রয়ে গেল জন স্মিথ। ওরা দুজন বসে রইল ছোট্ট প্যান্সির বিছানার পাশে… হ্যাঁ, ছোট্ট মেয়েটার নাম ছিল প্যান্সি।
কিছুক্ষণ পর প্যান্সির অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে দেখে ফের ওষুধ আনতে যেতে চাইল জন। তবু তার বৌ কিছুতেই তাকে যেতে দেবেনা।
হঠাৎ দরজা খুলে ঢুকল লম্বা সাদা চুল-ওয়ালা একজন বুড়ো লোক, বয়সের ভারে ন্যুব্জ…
“হেল্লো! এই তো দাদু!” বলে উঠল প্যান্সি। সে চিনতে পেরেছে সবার আগে!
বুড়ো লোকটা পকেট থেকে একটা ওষুধের বোতল বার করে তার থেকে এক চামচ দিল প্যান্সিকে।
মুহূর্তে ভাল হয়ে গেল প্যান্সি!
“ট্রামের জন্যে অপেক্ষা করতে গিয়ে ফিরতে একটু দেরি হয়ে গেল”, বলল জন স্মদার্স।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।