ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ধরে অনেকদূর হেঁটে গেলাম।
কিন্তু কেমন একটা বিষাদময় অনুভব হৃদয়ে উপলব্ধি করতে ছিলাম। সেই প্রান্তিক গেট ত্যাগ করার সময় থেকেই।
কেন এমন হয়?
এর উৎস কোথায়? আজ খুব জানতে ইচ্ছে হল।
আগে ও দেখেছি, অনেক আনন্দের ভিতর থেকেও হঠাৎ হঠাৎ মন আনন্দ থেকে পালাই পালাই করে।
খুব কাছের বন্ধুকেও জিজ্ঞেস করে দেখেছি।
অভিজ্ঞতা থেকেও নিজে বুঝেছি।
অনেক ক্ষমতাবান কে পর্যবেক্ষন করেও জেনেছি।
মন- সবার ই পালাই পালাই করে। কোন কারণ ছাড়াই।এটা কেন হয়?
তৃপ্তি করে নিজের প্রিয় খাবার ভরপেটের পরে মশলা দিয়ে পান- এরপর নিজের বিছানায় প্রিয় লেখকের বই হাতে সাথে প্রিয় শিল্পীর গান!
এর পরে এক দীর্ঘ Sound Sleep দিয়ে উঠেও কেন মরে যেতে ইচ্ছে করে?
কেন মনে হয় কি যেনো ফেলে এসেছি?
কিসের যেন কমতি?
কোথায় যেন যাওয়া হল না?
তোমাদের হয় কিনা জানি না। তবে আমি প্রায় এইরকম বিষন্নতায় ভুগি।
ব্যাখ্যা খোজার চেষ্টা করি।
বিভিন্ন দিকে উঁকি মেরে দেখলাম। নাহ! কিছু পেলাম না।
এক সময় ‘সিবা গেইগী’র (শব্দটার সঠিক উচ্চারন কি হবে আমার জানা নেই) “বিষন্নতা একটি মারাত্মক রোগ” এই অ্যাডটা দেখতাম। কি যেনো একটা ট্যাবলেট (মনে হয় ‘নুডিওমিল’ খেতাম তখন সখ করে নিজের ভিতর জোর করে টেনে আনা বিষন্নতা কে দূর করার জন্য।
আজ কিন্তু সত্যি সত্যি মন বিষন্ন!
এবার ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে দেখার চেষ্টা করলাম।
আমরা এক সময় রুহের জগতে ছিলাম। সেখানে কোটি কোটি বছর আমাদের সৃষ্টিকর্তার সাথে জড়িয়ে ছিলাম। তো তিনি আমাদেরকে তাকে এবং নিজেকে চেনার জন্য এই পৃথিবীতে পাঠালেন। কিন্ত ওই যে রুহের জগতের সাথে কোটি কোটি বছর অবস্থান করার ফলে আত্মা এবং সেই জগতের সাথে তৈরি হওয়া সম্পর্ক তো আর শেষ হয়ে যায় নাই। অদৃশ্য এক রিমোট কন্ট্রলের মতো তা আমাদেরকে চকিতে মনে করিয়ে দেয় সেই হারানো দিনগুলোর কথা। না হলে বন্ধুরা নিজেরাই ভেবে দেখুন, কোনো এমন নতুন জায়গা যেখানে আমরা জন্মের পরে কখনো যাই নাই, সেখানে গেলে কেন মনে হয়, “আরে, এখানে তো আগেও এসেছি!” কিংবা “এই পথ তো আমি চিনি”। কেন ঘুমের ভিতর রুহের জগতে ভ্রমনের পরে এই দুনিয়ায় এসে সামান্য সময়ের জন্য হলেও দুই জগতের মাঝা মাঝি অবস্থান করি?
অনেক কথা আছে প্রকাশ্যে জানানোর আদেশ নাই। এক পাগল আমাকে একবার বলেছিল, “এই রকম লক্ষ লক্ষ জগত আছে- সেখানে তোর মত লক্ষ লক্ষ মেকুর একই সাথে বাস করছে; কিন্তু কেউ কাউকে চিনে না-দেখে না- তবে সবাই ই বিরাজমান”।
আমার এই ব্যাখ্যা সম্পুর্ন ই আমার। এটা কে নিতে হবে এমন কথা নাই। তবে এই ক’দিন খুব ফুরফুরে মেজাজে রয়েছি- দুএকদিনের ভিতরে একটা নতুন যায়গায় যাবো। এখন তো মন খারাপ হবার কোন কারণ ই দেখছি না।
[আপাতত মেকুর পর্ব শেষ হল। তবে একে শেষ না বলে শুরু বলা যেতে পারে। পরবর্তীতে মেকুরের জীবনের আরো না জানা অনেক কাহিনী নিয়ে এই সিরিজটি চলতে থাকবে। তবে আপাতত এই ৬টি পর্বই মেকুরের পরিচয় পর্ব হিসেবে থেকে গেল। ধন্যবাদ পাঠক। সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা।]
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।