দাফন এর পর তিন রাত মেয়েটি ডেকে বলল, মা কবর থেকে আমাকে বের কর, আমি বেঁচে আছি
ভারতের আহমদাবাদ শহরে একটি ঘটনা। শিল্প শহর আহমদাবাদকে বলা হয় ভারতের ম্যানচেস্টার।আহমদাবাদ শহরে জামাল পুরা মহল্লায় এক মুসলিম পরিবার এর একটি কুমারী মেয়ে হঠাৎ কয়েক দিন অসুস্থ থাকার পর মৃত্যু মুখে পতিত হল।বিত্তশালী পরিবারের এই মেয়ে ছিল সবার আদরের।তার সখ ছিল ফ্যাশনপ্রিয়তা। ফ্যাশন ডিজাইন নানা রকম পশাক সব সময় পরিধান করে বেপর্দা অবস্থায় সেজেগুজে বাইরে যেত। এখন মেয়েটির বিবাহ হয়নি। হঠাৎ মৃত্যুর পর মেয়েটির মা পর পর তিন রাত মেয়ের লাশ স্বপ্নে দেখলেন। স্পষ্ট কন্ঠে মেয়েটি বলছিলো, মা আমাকে কবর থেকে বের কর, আমি বেঁচে আছি।
পর্যায়ক্রমে তিন রাত স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পর এলাকার লোকদের এবং পুলিশকে জানানো হল। তারপর পুলিশের উপস্থিতিতে কবর খনন করা হল। দেখা গেল, মেয়েটির মাথার চুলে দুটি সাপ। চেহারায় হাতে পায়ে অসংখ্য কাকলাশ এবং বিচ্ছু কামড়ে ধরে আছে। আসরের পর দেখা গেল সাপ কাকলাশ বিচ্ছু নেই। অজ্ঞান অবস্থায় মেয়েটিকে কবর থেকে বের করে পুলিশ আহমদাবাদের উয়ারি এলাকার চ্যারিটেবল হাসপাতালের আইসিউ ওয়ার্ডে ভর্তি করলেন। সেখানে তার চিকিৎসা করা হচ্ছিল। তার উপর নিচের ঠোঁট ছিলো না। জ্ঞান ফেরার পর মেয়েটি বললো, আমি দুই সপ্তাহের হন্য পুনারায় এসেছি। তোমরা নামাজ পড়, রোযা রাখো। এ কথা বলে মেয়েটি পুনরায় অজ্ঞান হয়ে গেল। তাকে ১২ দিন যাবত আইসিউ ওয়ার্ডে রাখার পর পুনরায় দাফন করা হল।
বহুলোক মেয়েটিকে এক নজর দেখার জন্য হাসপাতলে ভীড় করতো। সবাই আলোচনা করেছিলো ব্যতিক্রম এ ঘটনা মহান আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী ঘটেছে। মহান আল্লাহ চান, মোসলমানগণ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে জীবন যাপন করুক। ইসলাম মহান আল্লাহর একমাত্র মনোনিত ধর্ম। অন্য কোন ধর্মের অনুসরণ করে মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে শাস্তি পাওয়া যাবে না। কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। বরং ইসলাম ব্যতিত অন্য ধর্মের অনুসারীদের জন্য কোরআনের ঘোষণা অনুযায়ী অনন্তকাল দোযখের আগুনের অচিন্তনীয় যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি অবধারিত।
সূত্রঃ চোখে দেখা কবরের আযাব