
আজ থেকে ৪০ বছর আগে ঘটে যাওয়া কাহিনী বলছি।। তখন গ্রামে শিক্ষার আলো বা বিজলী বাতির আলো কোনটাই পৌঁছায়নি।।
তাই বউ পিটিয়ে মেরে ফেলার বিষয়টাও অস্বাভাবিক ছিল না।। কোন একটা পরিবারে এই ঘটনাটাই ঘটল।। স্ত্রীকে হত্যা করার পর রাতেই তাকে কবর দিল স্বামী।।
এর ১৭ দিন পরের কথা।। ওই লোকটার ছোটভাই যাত্রাপালা দেখে ফিরছিল।।
অনেক দুরের পথ তাই স্বভাবতই মানুষ চাইবে সবচেয়ে ছোট পথে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে।।
ভাবনার ভুল হল না।। বাড়িতে পৌঁছানর সবচেয়ে ছোট পথে একটা পুকুর পড়ে।। তো সে আপন মনে পুকুর পাড় ধরে আসছিল।।
পুকুর পাড়ে নারিকেল গাছের নিচে একটা ছায়ামূর্তি দেখে সে থমকে যায়।। একটু কাছে যেতেই সে বুঝতে পারে ছায়ামূর্তিটা তার ভাবি।।
সে আনমনে বলে উঠে, “কে?? ভাবি নাকি??” এই কথা বলার সাথে সাথেই ছায়ামূর্তি উঠে দাড়ায় এবং তার দিকে আসতে শুরু করে।।
হটাত ওই লোকটার মনে পড়ে তার ভাবি তো ১৭ দিন আগে মারা গেছে।। সম্বিত ফিরে পাবার পর সে খুব ভয় পেয়ে যায়।।
ততক্ষনে ওই জিনিসটা তার ১০ হাতের মধ্যে চলে আসে।।
তখন লোকটা গ্রামের খুব প্রচলিত একটা নিয়মে নিজেকে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র করে ফেলে।।
হাতের বাজুতে বাধা তাবিজটাকেও ছিঁড়ে ফেলে।। ছায়ামূর্তি তখন আর কিছুটা এগিয়েছে।।
হটাত লোকটাকে অবাক করে দিয়ে ওই জিনিসটা চোখ ঢেকে ফেলে আর অদ্ভুত ভয়াবহ কণ্ঠে বলে ওঠে, “যাহ!! তুই সর আমার সামনে থেকে।।
নইলে তর রক্ত খামু!!” এই কথা শুনে লোকটা ছায়ামূর্তির পাশ কাটিয়ে চলে যায়।।
যাওয়ার সময় পিছনে খুব অদ্ভুত অদ্ভুত শব্দ শুনতে পায়।। তবুও সে দৌড়ায় না।।
কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পর সে তার কানের কাছে শুনতে পায় রক্ত হিম করা কণ্ঠে কেউ তাকে বলছে, “তুই তো বাইচ্ছা গেলি।। কিন্তু তর ভাই রে তো আমি লইয়া জামু।।
কইলজা খুইজা পাবি না।।” এর কিছুদিন পরেই তার ভাই মারা যায়, এবং সুস্থ একটা মানুষের এভাবে মৃত্যু।।
গ্রামের কেউ কিছু বুঝল না।। সত্যিটা শুধু জানল ছোট ভাইটা।।