একটি বাড়ি এবং কিছুকথা

আমরা যারা ঢাকা শহরে থাকি তারা বেশিরভাগ সময়েই ভূত প্রেতের কথা তুড়ি দিয়ে উড়িয়ে দেই।।
হ্যাঁ, দিনের আলো হয়তো আপনাকে সেরকম করে ভাবতে বাঁধা দেয়।।
কিন্তু যদি আপনি গ্রাম অঞ্ছলে যান, দেখবেন সেখানে এখনও এমন কিছু ঘটনা ঘটছে যা আপনার আমার তথাকথিত বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নাহ।।
আপনাদের সাথে আজ তেমনই একটি ঘটনা শেয়ার করতে চাচ্ছি।।
আগে মেট্রিক পরীক্ষার পর আমরা তিন মাসের একটা লম্বা ছুটি পেতাম।।
তাই, পরীক্ষা শেষ হবার আগেই ছেলেমেয়েদের চিন্তা ভাবনায় চলে আসতো যে কি করে তারা সেই তিনমাস অতিক্রম করবে।।
কারো ইচ্ছে থাকে দেশটা ঘুরে বেড়ানো।। কারো ইচ্ছে থাকে অজানাকে জানার জন্য ছুটে চলতে।।
আমি দ্বিতীয় গ্রুপের সদস্য।। এক্সাম শেষ হবার আগেই ঠিক করে ফেললাম, এই ছুটিতে আমরা ফ্রেন্ডরা মিলে পঞ্চগড় যাচ্ছি।।
সেখানে যাওয়ার পিছনে কিছু উদ্দেশ্য ছিল।। ১। জায়গাটা সুন্দর সবার কাছে শুনেছি কিন্তু কখনো যাওয়া হয় নি।।
২। ইন্ডিয়া বর্ডার নাকি একদম কাছে।। চেনাজানা মানুষ থাকলে ইন্ডিয়া যাওয়া সম্ভব!!
৩। সত্যিকারের ভূত দেখা।। ভূত দেখার ঘটনাটা আমাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করলো।।
যেই বাক্তি এই ব্যাপারে বলেছেন তার কথা অবিশ্বাস করার কোন কারন আমার কাছে ছিল নাহ।। তিনি সম্পর্কে আমার মামা হন।।
পঞ্চগড় আমার নানুর বাড়ি ছিল।। এখনও আছে, কিন্তু সেদিনের পর আমার আর যাওয়া হয়নি।।
আমাদের পরীক্ষা শেষ হয় মার্চ মাসে।। ঠিক কত তারিখে শেষ হয়েছিলো তা মনে নেই।।
পরীক্ষা শেষ হবার ২দিনের মধ্যে আমরা রওনা দেই।। আমরা মানে, আমি, শিমুল, আর সজীব।। নানু বাড়িতে এটাই আমার প্রথম যাওয়া।।
তার উপর সাথে কোন গার্জিয়ান নেই।। মজা মাস্তি করে গন্তব্বে পৌঁছলাম ভোরের দিকে।।
বাস থেকে নেমে প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তা ব্যানে করে জার্নি।। শরীর যেনও আর চলছিলো নাহ।। বলা বাহুল্য, আমরা রাতের বাসে জার্নি করেছিলাম।।
নানু বাড়িটা আসলেই সুন্দর।। ঠিক পাশ দিয়ে বয়ে গেছে একটা নদী।। ইন্ডিয়া যাওয়া যায় ঐ নদীটা দিয়ে।। কাচভাঙ্গা নদী বা এমনি কিছু একটা নাম ছিল নদীটার।।
গরমের দিনেও পানি বরফের মতন ঠাণ্ডা।। দিনের বেলা গোছল করেও কাঁপতে কাঁপতে উঠতে হল নদী থেকে।।
২দিনেই হাঁপিয়ে উঠলাম গ্রামের পরিবেশে।। মোটামুটি যা যা দেখার ইচ্ছে ছিল ঘুরে দেখে ফেলেছি।। শুধু ভূত দেখাটা বাকি!! মামা ঐ সময় বাড়িতে ছিলেন নাহ।।
ঢাকায় একটা বেসরকারি ফার্মে চাকরি করেন তিনি।। ছুটি না মিললে গ্রামে খুব একটা যান নাহ।।
আমি যাওয়ার আগে বলে গিয়েছিলাম তাই ছুটি মানেজ করে রেখেছিলেন।। তৃতীয়দিন সকালে পঞ্চগড় পৌঁছান মামা।।
পাওয়ার সাথে সাথে পাকড়াও করি উনাকে।। ঘটনা তখনো পর্যন্ত পরিষ্কার ছিল না আমাদের কাছে।।
মামা শুধু কিঞ্চিৎ ধারণা দিয়েছিলেন যে, আমাদের এক্সপেরিএঞ্চ জীবনে ভুলতে পারব নাহ।।
যাই হোক, আমরা চতুর্থ দিন বের হই ভুতের সন্ধানে।।
শহরের আলোক ঝলমলে পরিস্থিতিতে থাকতে থাকতে ব্যাপারটা এমন হয়েছিলো যে, আমরা তিনজন রিতিমত মশকরা করতে লাগলাম।।
ভূত, তাও আবার একবিংশ শতাব্দীতে!! আমরা যখন রউনা হই তখন ঘড়িতে ৬.০০ টার মত বাজে।। জায়গাটা একটা পরিতাক্ত বাড়ির পাশে।।
কথিত আছে, সেই বাড়ির মালিকের ছোট ছেলের মৃত্যু হয় বজ্রপাতে।।
বজ্রপাতে মৃত্যু হলে নাকি মানুষের কোন একটা অর্গান (শরীরের একটা অংশ) খুব দামি ধাতুতে পরিণত হয়ে যায়।।
তাই বজ্রপাতে মৃত মানুষের লাশ চুরি হয়ে যায়।। কিছু খারাপ লোক লাশ চুরি করে সেই অংশটা পাওয়ার জন্য।।
যেহেতু লোকটা নিজেই বাড়ির মালিক ছিলেন, তাই ছেলের কবরও দিয়েছিলেন বাড়ির পাশেই।।
মামার মুখ থেকে ব্যানে যেতে এইসব কথা শুনতে লাগলাম।। আমার কাছে ব্যাপারটা তখনো ক্লিয়ার নাহ।।
তাই মামাকে একনাগারে প্রশ্ন করেই যাচ্ছিলাম।। মামা ধৈর্য সহকারে প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছিলেন।।
মামার কাছে যা জানতে পারি তা সংক্ষেপে বলছিঃ ঐ বাড়ির ছোট ছেলেটি এলাকায় এক প্রকার ত্রাসের মত ছিল।।
মানুষজন তো দুরের কথা তার ভয়াল এবং নিষ্ঠুর মন-মানসিকতা থেকে নাকি পশু পাখি ও রেহাই পেত নাহ।।
গ্রামের লোক ছেলেটির এইসব কারনে ভয় পেয়ে ঐ বাড়িটা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতো।। প্রায়ই নাকি ঐ বাড়ি থেকে মানুষ কান্নার আওয়াজ পাওয়া যেত।।
ভয়ঙ্কর টর্চার করলে মানুষ যেমন বিকৃত স্বরে চিৎকার করে, অনেকটা ঐরকম।। আমার মামা ভয়ানক সাহসী টাইপের।।
উনি একদিন তার কয়েকজন বন্ধু নিয়ে গিয়েছিলেন আসল ব্যাপার দেখতে।। বিকেলে উনারা বাড়িটায় পৌঁছান কিন্তু খুব বেশিদূর যেতে হয় নি।।
ঠিক বাড়ির গেটের কাছে এক বিশাল আকৃতির কুকুরের মৃত দেহ পরে ছিল।। পাশবিক নির্যাতন করে কুকুরটাকে মারা হয় তা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল।।
সারা গায়ে চাকুর অগনিত দাগ।। কুকুরটার হৃৎপিণ্ড বরাবর বিশালাকার গর্ত।। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, কুকুরটার চোখ মুখ ভয়ে বিস্ফরিত।।
মুখটা যেনও দুহাতে টেনে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।। ভয়ানক এই দৃশ্য দেখে মামার বন্ধুরা আর এগোনোর সাহস পেলেন নাহ।।
ঠিক তখনই আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে গায়ের সব পশম দাড় করিয়ে দিয়ে বাড়ির ভেতর থেকে কারো আর্ত চিৎকার শোনা গেলো।।
উনারা আর সাহস করলেন নাহ।। চলে এলেন।। ছেলেটা যেদিন মারা যায় তার কয়েকদিনের মধ্যে তার লাশ চুরি করার চেষ্টা করা হয়।।
এলাকায় একটা চক্র আছে যারা বজ্রপাতে মৃত্যু হওয়া লাশ কবর থেকে তুলে ইন্ডিয়াতে বিক্রি করে দেয়।। যাই হোক, তারপর দিন ঐ চক্রের কয়েকজনকে কাচভাঙ্গা নদীতে ভাসন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।।
তাদের প্রত্যেকের শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন ছিল।। ঐ দলের দুইজনকে প্রায় মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ঐ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে এক চাষের জমিতে।।
তাদের একজনের হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল, আর আরেকজনের গায়ে কেউ যেনও চুরি দিয়ে কেটে ফালি ফালি করে রেখেছে।।
তাদের জবানবন্দি থেকে জানা যায়, তারা ঐ বাড়িতে গিয়েছিলো লাশ তোলার জন্য, কিন্তু “কিছু একটা” তাদের আক্রমন করে।।
জিনিসটা দেখতে মানুষের মতই কিন্তু আকৃতি অনেক বড়।। তাদের মাঝের একজন (যার শরীর চাকু দিয়ে ফালাফালা করা হয়েছিলো) হাসপাতালে মারা যায়।।
তখনকার পেপারে এই বিষয়টা এসেছিলো।। ঐ বাড়ির আসেপাশে অন্য কোন বাড়ি নেই।। প্রায় অর্ধেক মাইল পথ গেলে কয়েকটা বাড়ি পাওয়া যায়।।
ঐ বাড়ির লোকজন নাকি প্রায়ই বাসাটা থেকে অদ্ভুত সব গোঙানির আওয়াজ পান।।
তাদের মাঝে কয়েকজন নাকি দেখেছেন যে, ঐ বাড়ির উঠোনে একটা সাদা ছায়া হেঁটে বেড়ায় এবং বারবার বাড়ির একটা দরজার সামনে গিয়ে গায়েব হয়ে যায়।।
প্রত্যেকের সাথে আলাদা আলাদা কথা বলে জানা গেছে, তারা সবাই একি জিনিস দেখেছে এবং তাদের কথার মধ্যে অদ্ভুত মিল।।
কোনোরকম অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায় নি দেখে গ্রাম থেকে একবার একদল লোক গিয়ে ঐ বাড়িটা ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করে।।
তাদের মাঝে ২জন শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যু হয় কাজ চলাকালীন সময়ে।। (বিঃ দ্রঃ ছোট ছেলেটা মারা যাবার শোক সইতে না পেরে ঐ বাড়ির মালিক তার পরিবার নিয়ে কয়দিন পর গ্রাম ছেড়ে চলে যান) এরপর থেকে বাড়িটা মূলত পরিতাক্ত হয়ে পড়ে আছে।।
এতটুকু শোনার পর ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে আমাদের।।
মজা মাস্তি তো দুরের কথা, মামার গলায় এক এমন আশ্চর্য সুর ছিল যে, আমরা রীতিমতো গরমের মাঝেও ভয়ে কাঁপুনি দিয়ে উঠলাম।।
শিমুল, আর সজীবকে দেখে বুঝতে পারছিলাম মারাত্মক ভয় পেয়েছে দুইজনই।।
আমার অবস্থাও কোন অংশে ভালো নয়।। তারপরও মান সম্মান রক্ষার্থে ঘাপটি মেরে রইলাম তিনজনই।।
নানু বাড়ি থেকে ঐ বাড়িটার দূরত্ব প্রায় ৫ কিলোমিটার।। আমরা যখন বাড়িটার কাছাকাছি পৌঁছাই তখন ঘড়িতে ঠিক ৬.৪৮ বাজে।।
আজান হয়ে গিয়েছিলো।। মামা আমাদেরকে বাড়িটা দেখানোর জন্য এনেছিলেন ঠিকই, কিন্তু বাড়িটায় যাবার পথটা প্রায় গাছগাছালিতে ঢাকা পড়ে গিয়েছে।।
মামা আগে থেকেই তার কিছু বন্ধুদের বলে রেখেছিলেন তাই উনারা সেখানে গিয়ে অপেক্ষা করছিলেন।।
আকাশের চাঁদটা ভালোই আলো ছড়াচ্ছে।। কিছুদিন আগে মাত্র পূর্ণিমা গেলো।। তাই হয়তো।। বাড়িটার ১০০ মিটারের মধ্যে চলে যাই আমরা।।
মামাকে অনেক অনেক রিকুয়েস্ট করার পর তিনি আমাদের ঐ গেটটা পর্যন্ত নিয়ে যেতে রাজি হন।।
মামার সাথের বন্ধুরা এই টাইপের অনুরোধ মনে হয় আশা করেনি।। কয়েকজনতো ভয়ে উশখুশ করতে লাগলো।।
২জন (স্পষ্ট মনে আছে) সিগারেট ধরালেন।। সেই সিগারেট নেশার জন্য ছিল না ভুতের হাত থেকে বাঁচার জন্য ছিল তা তখন জিজ্ঞেস করা হয়নি।।
বাড়িটা দেখতে পুরনো আমলের জমিদার বাড়ির মত।। ঠিক সামনেই একটা বিশাল বেদিতে একটা নিম গাছ।।
মুসলমান বাড়িতে নিম গাছ সচারচর দেখা যায় নাহ, কিন্তু এখানে দেখলাম।। আমাদের সাথে টর্চ ছিল।। সজীব বুদ্ধি করে ভালো পাওয়ারের একটা টর্চ নিয়ে এসেছে।।
মামা নিষেদ করার আগেই সে টর্চটা বাড়ির দিকে তাক করে সুইচ দিয়ে দিল।।
প্রথমে মনে হল চোখের ভুল, কিন্তু পাশ থেকে শিমুল চিৎকার করে উঠায় বুঝতে পারলাম যে নাহ, যা দেখছি ঠিকই দেখছি।।
একটা ছায়ামূর্তি!! সাদা এবং বাতাসে ভাসমান।। যেনও স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আমাদেরকেই দেখছিল।।
সজীব লাইট মারাতে আস্তে আস্তে ভেসে চলে যেতে লাগলো।। একটা দরজার কাছে গিয়ে যেনও মিলিয়ে গেলো।।
যা ঘটলো তা দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম নাহ।। ঠিক তখনই আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে ঘেউ ঘেউ করতে করতে একটা বিশাল আকৃতির কুকুর ছুটে এল।।
সাধারণত, রাতের বেলা কুকুরের চোখে কোনোরকম আলো পড়লে তা জ্বলজ্বল করে, কিন্তু সজীব যখন তার টর্চের আলো ঐ কুকুরটার দিকে ঘোরালো, তখন দেখলাম কুকুরটার চোখে যেনও লাল আলো প্রতিফলিত হচ্ছে।।
মামা আমার হাত চেপে ধরে দৌড় লাগালেন।। আমার বাকি দুই ফ্রেন্ডকে প্রায় কোলে তুলে নিলো মামার দুই বন্ধু।। এরপর রুদ্রশ্বাসে ছুটলাম আমরা।।
কপাল কখনই এতো ভালো হয় না।। কুকুরটা মামার এক বন্ধুর পা কামড়ে ধরল।। উনার চিৎকারে মামা থেমে গিয়ে আমাকে বললেন, “দৌড়তে থাক।।
কোন অবস্থাতেই থামবি না।।” না বললেও অবশ্য হতো।। আমার থামার কোন ইচ্ছে ও ছিল নাহ।। তবুও ঘাড় ঘুড়িয়ে একবার দেখার ঝোঁকটা সামলাতে পারলাম নাহ।।
দেখলাম, মামা পকেট থেকে কি যেনও বের করে কুকুরটার দিকে ছুড়ে দিল।। সাথে সাথে কুকুরটা মামার ঐ বন্ধুর মা ছেড়ে দিয়ে ছিটকে দূরে সরে গেলো।।
ঐ বাড়িটা থেকে কিছু পথ যাওয়ার পর ৪-৫ টা কৃষকের বাড়ি পড়ে।। সেখানে মামার বন্ধুকে নিয়ে যাওয়া হল।।
তিনি অচেতন হয়ে ছিলেন।। সেই রাতেই মামা উনাকে নিয়ে দিনাজপুর মেডিকেলের উদ্দেশে রউনা হন।।
তার আগে আমাদেরকে ঘরে পৌঁছে দিয়ে যান এবং বলেন এই ঘটনা যেনও বাসার কারো সাথে শেয়ার না করি।।
কিছু কিছু মিসিং লিঙ্ক এখন ক্লিয়ার করার চেষ্টা করবো।।
** পরবর্তীতে মামা এবং উনার বন্ধুদের সাথে কথা বলে আমরা নিশ্চিত হই যে, ঐ কুকুরটা সেই কুকুরটা ছিল যেটা মামারা ঐ বাড়িতে এক বিকেলে গিয়ে মৃত পড়ে থাকতে দেখতে পান।।
** ছায়ামূর্তিটা শুধু একজন বা দুইজন দেখলে তাকে হালুসিনাসন বা দৃষ্টিভ্রম বলা যেত।। কিন্তু সেখানে উপস্থিত সবাই সে ছায়ামূর্তিটা দেখতে পায়।।
** কিছুদিন পর ঐ পরিতাক্ত বাড়ির পাশের বাড়িগুলোর এক লোককে ঐ বাড়ির গাছটাতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।। লোকটা তার আগে কিছুদিন নিরুদ্দেশ ছিল।।
** মামা সেদিন ঐ কুকুরটার দিকে তাবিজ ছুঁড়ে মেরেছিল।। আমরা ঐ বাড়িটা দেখতে যাবো এটা জানার পরপরই মামা একজন বিখ্যাত হুজুরের সাথে দেখা করে সতর্কতামূলক বাবস্থা নিয়ে রেখেছিলেন।।
এই আমাদের শেয়ার করা দ্বিতীয় গল্প।। সত্য মিথ্যা যাচাই বাছাই করা আপনাদের উপর।। আমি আপনার জায়গায় থাকলে হয়তো বিশ্বাস করতাম নাহ।।
আসলেই করতাম না, যদি না আমার সাথে ঐ রাতের কাহিনীগুলো ঘটতো।।

অচেনা আরোহী

সেই রাতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *