শুভ জন্মদিন

আলম সাহেব ভীষন ব্যস্ত! ইদানিং কাজের খুব চাপ বেড়ে গিয়েছে।অনেক কঠিন সময় যাচ্ছে অফিসে।আজ অফিসে আসার সময় রত্না বার বার বলে দিয়েছে,সন্ধ্যায় যেন তাড়াতাড়ি বাসায় ফেরে।রত্না,আলমসাহেবের একমাত্র স্ত্রী!বিয়ে হয়েছে আজ এক বছর।বিভিন্ন সময় নানা রকম সারপ্রাইজ দেওয়া রত্নার একমাত্র কাজ।এসব অবশ্য আলম বেশ উপভোগ করে।আজ দুপুরে আলম গাজরের হালুয়া আর পরটা খেয়েছে।খেয়ে বুঝেছে,খাওয়াটা একদমই উচিৎহয়নি তার।ইদানিং গ্যাস খুবসমস্যা করছে পেটে।আর হালুয়া থেকেও কেমন যেন একটা গন্ধ আসছিলো খাওয়ার সময়।কিন্তু লোভ সামলাতে না পেরে খেয়ে নিয়েছে পুরোটা।গাজরের হালুয়া আলমের খুবপ্রিয় জিনিস।কিন্তু এখন বুঝছে,খাওয়াটা একদম উচিৎহয়নি তার।আলম ঠিক ৭টায় বাসায় পৌঁছে গেল।রত্না দরজা খুলেই একটি হাসি দিল। রত্না খুব সেঁজেছে।সাঁজলে,রত্নাকে ভালো দেখায়।-“হানি,আজকে তোমার জন্যএকটা সারপ্রাইজ ডিনারআছে!”মুচকি হেসে রত্না বলল।হাতধরে তাকে ডাইনিং রুমে নিয়ে গেল ।আলম একটা চেয়ার টেনে বসল।টেবিলের অপরপাশে একটি সাদা পর্দা দিয়ে ঢাকা।পর্দার অপরপাশে কি আছে তা দেখা যাচ্ছে না।”হবে হয়তো এটাও সারপ্রাইজেরএকটা অংশ”ভাবল আলম,কিন্তু তেমন আমলে আনলো না।আসলে,আমলে আনার মতপরিস্থিতি তার নেই!গ্যাসে অবস্থা তারখুব খারাপ!গ্যাস বের করা তার জন্য খুবপ্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।এমনসময়ে আশীর্বাদের মত পাশের রুমে ফোনবেঁজে উঠল।রত্না ফোন ধরতে ওরুমে চলে গেল।আলমসাথে সাথে বায়ু ত্যাগ করলো বেশ শব্দকরে-“উফ!একেবারে ময়লার ডাস্টবিনের মতগন্ধ!”বিড়বিড় করে বলল আলম নিজে নিজেই! ন্যাপকিনদিয়ে জোরে জোরে বাতাস করে গন্ধ তাড়ালো।মানে,তাড়ানোর চেস্টা করলো। তেমন উপকারহলো না।পুরো ঘর যেনএকটা ডাস্টবিনে পরিনত হলো মুহূর্তেই!এরপর চাপ আরেকটু হালকা করতে আলমআরেকবার বায়ু ত্যাগ করলো এটোমবোমের মত শব্দ করে!-“এ্যাহ!এবারের টা একেবারে পঁচা শাকসবজির গন্ধ!”নাকচেঁপে বিড়বিড় করলো আলম।কানপেতে খেয়াল করলো রত্না এখনো কথা বলছে।ভাগ্যিস!আরেকটি গ্যাস ছেড়ে দিল সে।গন্ধ বের হচ্ছে যেন এক ট্রাক সারের মত!টের পেলরত্না এগিয়ে আসছে।আরো কয়েকটি ছোট বড়শব্দ করে বায়ু ছাড়ল আলম।আহ,বেশশান্তি লাগছে এখন!রত্না এলো।সে এসেই জিজ্ঞাসা করলো,-“হানি,তুমি সাদা পর্দাটিসরাও নিতো?” আলম হাসি মুখে মাথা নেড়ে তাকে আশ্বস্তকরলো।না,সরাইনি।রত্না তখনএগিয়ে গিয়ে সাদা পর্দাটি টেনে সরিয়ে দিল।প্রায় ২০ জনের মত আলমের বন্ ধুএবং আত্মীয় ,নাকে হাত চেঁপে বের হয়ে এলো সেখান থেকে এবং বলল”শুভ জন্মদিন” !!

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!