রফিক সাহেব একজন ভ্রমন পিপাসু মানুষ।পেশায় একজন ব্যবসায়ী হলে ও সময় সুযোগ পেলে তিনি ভ্রমনের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যান।তবে রফিক সাহেব পাহাড়ি এলাকা ভ্রমন করতে বেশি প্রচন্দ করেন।কারন সাগর-নদী কিংবা বন-জঙ্গল চেয়ে জঙ্গল চেয়ে পাহাড় তাকে বেশি টানে।একদিন রফিক সাহেব একটি পাহাড়ি এলাকা ভ্রমন করতে আসেন।তখন ছিল শীত কাল।আর এলাকাটি ছিল স্থানীয় শহর থেকে একটু দূরে।সেখানে গিয়ে রফিক সাহেব একটি গেস্ট হাউজে উঠে।গেস্ট হাউজটি ছিল মেইন রোড থেকে প্রায় ৩ কি:মি রাস্তা।কয়েকটা দিন ভ্রমনের পর হঠাত্
মেয়েটি উত্তর দিলো বহু দূরে যেখানা আমরা থাকি।
একথা বলেই মেয়েটি বাসের পিছন দিকে চলে গেল এবং সেখান বসে থাকা এক যাত্রী কাছ থেকে একটি কাগজের প্যাকেট এনে রফিক সাহেবের হাতে দিলো।প্যাকেটি হাতে নিয়ে রফিক সাহেব জিগাস করেন এর ভিতরে কি?
মেয়েটি উত্তরে বলে আপনি খুলে দেখেন।
প্যাকেটি খুলে রফিক সাহেব দেখে তার ভিতরে একটা সাদা কাপড়।এটা দিয়ে আমি কি করবো রফিক সাহেব জিগাস করলেন?
মেয়েটি আবার উত্তর দিলো এটা পড়ে আমাদের দেশে যেতে হয়।রফিক সাহেব বলে উঠলো নানা আমি তোমাদের সাথে যেতে চাইনা।এমন সময় পিছনে বসে থাকা যাত্রীরা হাতের ইশারায় রফিক সাহেব কে ডাকেতে শুরু করল।কিন্তু রফিক সাহেব তাদের কাছে যেতে অস্বীকার করে।এমন সময় পিছনে বসে থাকা যাত্রীরা সবাই বসা অবস্থা থেকে দাড়িয়ে গেল।এবং আস্তে আস্তে করে রফিক সাহেবের দিকে আসতে লাগলো।রফিক সাহেব আর কোন উপায় না দেখে চলন্ত গাড়ি থেকে দরজা দিয়ে লাফ দিল।এবং নিচে পড়ে বেহুশ হয়ে গেল।হুশ আসার পরে তিনি নিজেকে হাসপাতালের বিচানায় আবিষ্কার করলেন।গায়ের বিভিন্ন স্থানে তখন ব্যন্ডিজ লাগানো।এখানে কিভাবে আসলেন জানতে চাইলে এক ডাক্তার তাকে বলে আজ সকালে মেইন রোডের পাশে বেহুশ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে কিছু লোক তাকে এখানে ভর্তি করেছে।পরে তিনি ডাক্তারকে সব ঘটনা খুলে বলে।সব শুনে ডাক্তার বলে আপনার ভাগ্য ভালো তাই বেঁচে গেছেন।তানা হলে ঐ বাসে যারা উঠে তারা আর কখনো ফিরে আসেনা।বহু বছর আগে ঐ ব্রিজের পাশে একটি বাস দুর্ঘটনা কবলিত হয়।সে দুর্ঘটনায় বাসের সকল যাত্রী মারা যায়।তার পর থেকে নাকি মাঝে মাঝে গভীর রাতে একটি বাস ঐ রোডে চলতে দেখা যায়।এলাকার মানুষ বাসটি চেনে তাই কেউ ঐ বাসে উঠেনা।সুস্থ হয়ে রফিক সাহেব তার নিজ গন্তব্যে ফিরে গেলেন।কিন্তু সেখানে গিয়ে তার শুধু বার বার বাসের সেই ছোট্ট মেয়েটির কথা মনে হতে লাগলো।
গল্পটি কলকাতার বিখ্যাত লেখক শীর্ষেন্দু মুখার্জী হরেক রকম ভুতের গল্প পত্রিকায় প্রকাশিত মন্জিল সেন রচিত রাত্রির যাত্রী গল্পের অনুকরণে রচিত ॥ সামান্য কিছু পরিবর্তন ছাড়া প্রায় পুরো গল্পই হবহু আপনাদের কাছে তুলে ধরা হলো
লাইক কমেন্ট না করলে গল্প দেওয়ার উত্সাহ থাকে না ! এই গল্পটি অনেকটা অনিচ্ছাসত্ত্বে পোস্ট করলাম শুধুমাত্র আপনাদের জন্য ! অনিচ্ছার কারণ হলো পোস্টে আপনাদের লাইক কমেন্ট তেমন একটা পাওয়া যায় না তাই ॥ একজন মানুষ তার কাজের স্বীকৃতি না পেলে স্বভাবতই কাজের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে ॥ আপনারা আমাদের প্রায় ঐ পর্যায়ের দিকেই ঠেলে দিচ্ছেন !
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।