►গভীর রাতের দুঃস্বপ্ন◄

এই ঘটনাটি আমার ফুফুর কাছ থেকে শোনা।। উনি ফরিদপুর থাকেন।। সেখানের এক মহিলা কলেজের শিক্ষিকা।। তিনি যেই কলেজের শিক্ষিকা সেই কলেজের মেয়েদের হোস্টেলের ঘটনা এটি।। যেইসব মেয়েরা হোস্টেলে থাকতো তারা প্রায় রাতেই কমন রুমে গিয়ে ক্যারাম খেলত, অথবা আড্ডা দিতো।। একবার কলেজের ছুটিতে সব মেয়েরা বাসায় চলে গেছে।। যারা আছে তারাও কয়েকদিন পর চলে যাবে।।

হোস্টেল বলতে গেলে পুরোই ফাঁকা।। একরাতে সেই গুটিকয়েক মেয়েদের মাঝে একজন ওয়াসরুমে (টয়লেট) যাবে।। তার রুমের সবাই গভীর ঘুমে।। সে কয়েকজনকে ডাকাডাকি করলো কিন্তু কেউই ঘুম থেকে উঠলো নাহ।। পরে সে একাই গেলো টয়লেটে।। ভাবল, কখনো তো খারাপ কিছু হয়নি।। এতো ভয়ের কি আছে!! তো, তাদের টয়লেটটা ছিল কমন রুমের পাশে এবং নিচ তলায়।। মেয়েদের রুম গুলো সব দোতলায়।। যাই হোক, মেয়েটি টয়লেটে গিয়ে দরজা লাগিয়ে সুইচ অন করলো কিন্তু সুইচ অন হয় না।। মানে আলো জ্বলে নাহ।। মেয়েটি কিছুক্ষণ একটানা নাছোড়বান্দার মত সুইচ টিপতে থাকলে এক সময় আলো জ্বলে উঠে।। মেয়েটি সামনে তাকিয়ে দেখে, এক বিশাল আকৃতির মানুষ টয়লেটের উপর বসে আছে।। চোখ অন্ধ, কিন্তু মুখ হা করা।। সেই হা করা মুখ দিয়ে জিহবা বের হয়ে আছে।। মানুষটির ২ টি পায়ের একটিও নেই।।

সাড়া শরীর দিয়ে রক্ত পড়ছে।। তারচেয়ে ভয়ানক হল, লোকটি সেই মেয়েটির দিকে তাকিয়ে হাসি দিচ্ছে আর সেই লোকের কাঁটা জিহবা দিয়ে অনবরত রক্ত পড়ছে।। মেয়েটি এই ঘটনা দেখে কোনোরকমে দরজা খুলে কমন রুমে গিয়ে একটা আর্তচিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।। সেই চিৎকারে কয়েকজনের ঘুম ভেঙ্গে যায়।। তারা দৌড়ে এসে দেখে মেয়েটির নিথর দেহ কমন রুমের মেঝেতে পড়ে আছে আর তার দাঁতে দাঁত লেগে গেছে।। একটি চামচ এনে তার দাঁতের ফাঁকে রাখা হয়।। এরপর কিছুক্ষণ পানি ছিটানোর পর মেয়েটির জ্ঞান ফিরে আসে।। সে খুব কান্নাকাটি করে টয়লেটে যা দেখেছে টা সবাইকে খুলে বলে।। তাদের মাঝে কয়কেজন সাহস করে টয়লেটে গিয়ে দেখে, এখানে কিছুই নেই।।

মেয়েটির কথা মত সেই টয়লেটের পাশে গিয়ে দেখা গেলো সেখানে ২-৩ ফোটা রক্ত পড়ে আছে।। এই ঘটনার পর মেয়েটি একটানা অনেকদিন অসুস্থ থাকে।। একা একা টয়লেটে যেতে ভয় পেত সে।। জানিনা আজ মেয়েটি কেমন আছে, বা কোথায় আছে।। আশা করি সে তার ভয়ঙ্কর অতিতকে পেছনে ফেলে এখন সুন্দর একটি জীবন অতিবাহিত করছে।।

খ্যাতির বিড়ম্বনা …

মায়ের উপদেশ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *