
ঘটনাটা ২০০৮ সালের।। তখন আমি ক্লাস ১০ এ পড়ি।। আমার আম্মু অনেকদিন ধরেই অসুস্থ।। তাই আমার বাবা আমার আম্মুকে নিয়ে ঢাকায় যায় চিকিৎসার জন্য।। পুরো বাসায় আমি একা।। যেহেতু আমি একা, তাই আমার একটা ফ্রেন্ডকে কল দিয়ে আবাশায় আসতে বলি।। আমার ফ্রেন্ডের বাসা টা আমার বাসা থেকে ৪ ঘর পরেই।। আমার ফ্রেন্ডের নাম ছিল মারুফ।।
যখন রাত ৯.৩০, তখন আমি মারুফকে বলি, “মারুফ, যা তোর বাসা থেকে কিছু তরকারি নিয়ে আয়।। আমি হোটেল থেকে ভাত কিনে নিয়ে আসি।।” এই বলে আমরা ২জন বাসা থেকে বের হই।। ১০ মিনিট পর হোটেল থেকে ভাত নিয়ে আসার পথে মারুফের সাথে আমার দেখা হয়।। মারুফকে খালি হাতে দেখে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।। তাকে রাগী গলায় বলি, “কিরে, তোকে পাঠালাম তরকারি আনতে আর তুই এখানে খালি হাতে দাঁড়িয়ে আছিস!! তরকারি কই??” মারুফ কোন কথা না বলে দাঁড়িয়ে থাকে।। মেজাজ আর বেশি খারাপ হয়ে গেলো আমার।। যেহেতু সে তরকারি আনেনি, তাই আমাকে এখন আবার হোটেলে যেতে হবে তরকারি আনতে।। অগত্যা, কি আর করা।। মারুফকে ঘরের চাবি আর ভাতের বাটিটা দিয়ে বললাম, “যা তুই ঘরে যা।। আমি তরকারি নিয়ে আসি হোটেল থেকে।।” হোটেলে যাওয়ার সময় আমি যা দেখলাম তাতে আমার পা অবশ হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা হল।। মনে হচ্ছিল যেনও হাঁটার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি আমি।। আমি পুরো হতভম্ব হয়ে যাই আর দেখি মারুফ তরকারি নিয়ে আসতেছে।। মারুফ আমার কাছাকাছি এসে বলে, “কিরে, রাস্তায় কি করিস?? আর ভাত কই??”
আমি তখন দোয়া দরুদ পড়ে বাসার দিকে দৌড় দেই।। যেয়ে দেখি, বাসার গেটে চাবি ঝুলানো।। ভাত ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঘরের সামনের মেঝেতে পড়ে আছে।। তাহলে আমি কাকে চাবি আর ভাত দিলাম?? ঐটা তাহলে কে?? কেনই বা এসেছিলো?? ক্ষতি করার ইচ্ছে থাকলে ক্ষতি করলো না কেন?? পরে আমি মারুফকে পুরো ঘটনা খুলে বলি।। ঘটনা শুনে মারুফ আমাকে তার বাসায় নিয়ে যায়।। সেই রাত আমি মারুফদের বাসায় কাটাই।।