
ভৌতিক অভিজ্ঞতা: খুদিরামের রহস্যময় মৃত্যু
আমি মৃদুল কান্তি ঘোষ। আজ আমি আপনাদের সাথে যে ঘটনাটি শেয়ার করবো, তা আজ থেকে ছয় বছর আগের এক বাস্তব ঘটনা।
তখন আমি ক্লাস সেভেন কি এইটে পড়ি। আমরা তখন গ্রামে থাকতাম—যশোরের নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার অন্তর্গত ধোপাদহ গ্রামে।
আমাদের বাসার সামনেই ছিল কুমোরপাড়া, যেখানে মাটির হাঁড়ি-কলস বানানোর কাজ চলত। সেই পাড়ার একজন ছেলে ছিল, নাম খুদিরাম। বয়স হবে ২২ বা ২৩।
সে মিরগীর রোগে (এপিলেপ্সি) ভুগত। তাদের পরিবার কুমোরগিরির কাজ করে বাজারে বিক্রি করত, তাই বাজারের জন্য ফজরের আজানের আগেই তারা নৌকায় জিনিসপত্র তুলত।
অদ্ভুত সেই রাত…
একদিন ভোররাতে, খুদিরাম ও তার বাবা নৌকায় জিনিস তুলছিল। কাজ প্রায় শেষের দিকে।
তখন খুদিরাম প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে নৌকার এক কোণায় বসে টর্চলাইট হাতে।
তার বাবা তখনও ব্যস্ত নৌকা গোছানোর কাজে।
হঠাৎ ঝপ করে একটা শব্দ!
তার বাবা তাকিয়ে দেখেন—খুদিরাম নেই!
তিনি অনেক ডাকাডাকি করলেন, কিন্তু কোনো সাড়া নেই। আতঙ্কিত হয়ে পানিতে ঝাঁপ দিলেন, কিন্তু ছেলের কোনো খোঁজ পেলেন না।
এরপর দ্রুত বাড়িতে ছুটে গিয়ে সবাইকে ডেকে আনলেন। গ্রামবাসীরা মিলে নদীর ঘাটে খোঁজাখুঁজি শুরু করল।
মৃত্যুর পরেও অদ্ভুত দৃশ্য…
সকাল সাড়ে নয়টার দিকে একজন অবশেষে খুদিরামের দেহ খুঁজে পেল।
প্রথমে তার চুলের স্পর্শ পেল, তারপর চুল ধরে টেনে তুললো…
সেই দৃশ্য দেখে সবাই হতবাক!
খুদিরাম মাটির ওপরে যেভাবে বসেছিল, পানির নিচেও ঠিক সেভাবেই বসে ছিল—টর্চলাইট হাতে!
কিন্তু তখন সে প্রাণহীন!
শেষকৃত্যেও রহস্য!
বিকেলে দাহ করার সময় দেখা গেল, তার পুরো শরীর ঠিকমতো পুড়ছে না!
অবশেষে, যেসব অংশ পোড়ানো সম্ভব হয়নি, সেগুলো মাটিতে পুঁতে ফেলা হলো…
আজও সেই দিনের কথা মনে হলে, গায়ের ভেতর শিরশির করে ওঠে! 😨🔥