
২০০৬ সাল।
চাকরির সুবাদে ডর্মিটরিতে থাকতাম। সেটা ছিল UNO-এর বাসা থেকে একটু দূরে—একটি দুইতলা বিল্ডিং। এর দুই দিকেই ধান চাষ হতো। জানালাগুলো ছিল গ্লাসের। আমার খাটের পায়ের দিকে একটা জানালা ছিল।
কোনো এক বৃহস্পতিবার অফিস থেকে ফিরে দেখি, অন্য সবাই বাড়ি চলে গেছে। ডর্মিটরিতে আমি একা।
রাত ১টা পর্যন্ত টিভি দেখে বাল্ব বন্ধ করে শুয়ে পড়লাম। বাইরে ১০০০ ওয়াটের চারটি বাল্বের আলোয় ধানক্ষেত, পুকুর—সবকিছু স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল।
হঠাৎ দেখি, জানালার গ্লাসের বাইরে থেকে কালো চাদর মুড়ি দেওয়া এক লোক রুমের ভেতরটা দেখার চেষ্টা করছে!
আমি প্রথমে চোর ভেবে ঘুমের ভান ধরে দেখছিলাম, সে কী করে। কিন্তু লোকটা একইভাবে দাঁড়িয়ে রুমের ভেতরটা দেখছে।
কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললাম, “এই! কে?”
তখন লোকটা জানালা থেকে সরে গেল।
আমি দ্রুত বিছানা ছেড়ে জানালায় দাঁড়ালাম, এবং এক মুহূর্তের জন্য স্থির হয়ে গেলাম।
যা দেখলাম, তা আমার জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা!
লোকটা আস্তে করে ধানক্ষেতে নামলো, তারপর পুকুরের দিকে যেতে লাগলো। কিন্তু…
তার পা বা শরীরে কোনো মাংস নেই! কেবল হাড়—একটা কঙ্কাল!!
আরও ভয়ংকর ব্যাপার—সে ধানগাছের কয়েক ফুট উপরে ভেসে ভেসে হাঁটছে! তার পা মাটিতে পড়ছে না!
সে পুকুর পর্যন্ত গিয়ে ডান দিকে মোড় নিয়ে UNO-এর বাসার দেয়াল টপকে ঢুকে পড়লো!
সারা রাত আর ঘুমাতে পারিনি সেদিন…