নামাজের মাহাত্ম্য

এক বিবাহিত সুন্দরি মহিলা ছিলেন। তার শশুর-শাশুড়ী ছিলেন না। তার স্বামী ছিলেন ব্যবসায়ী। তাই ব্যবসার ব্যস্ততায় তিনি তার স্ত্রীর সঠিক খোঁজ-খবর নিতে পারতেন না। কিন্তু মহিলা ছিলেন খুব পর্দানশীল। তিনি প্রয়োজন ছাড়া কোন পুরুষ লোকের সাথে দেখা করতেন না।

কিন্তু হঠাৎ একদিন এক যুবক ছেলে তার স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার সাথে দেখা করার চেষ্টা করলো। শেষ মুহূর্তে সে দেখা করতে সফল হল। সে মহিলাকে বলল, “আমি জানি আপনার বিয়ে হয়ে গেছে, এরপরও বলছি আপনি খুব সুন্দর। আপনি যদি আপনার স্বামীর সাথে কথা বলে ওনাকে ছেড়ে আমার সাথে সংসার করতে রাজি হন, তা হলে আমি অনেক খুশি হব এবং আপনার স্বামী যা চায়, তাকে আমি তা দেব। দয়া করে আপনি ওনার সাথে কথা বলবেন।”

মহিলা এইসব কথায় কান দিলেন না। পরদিন আবার মহিলার স্বামী বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর ছেলেটি আসলো মহিলার সাথে দেখা করতে। মহিলা তার সাথে দেখা করতে না চাইলেও, সে দেখা করলো এবং তার স্বামী কি বলেছেন জানতে চাইলো। মহিলা বললেন যে, তিনি একথা তার স্বামীকে জানায়নি।

তখন ছেলেটি বলল, “আপনি এরকম করলে হবে না। আপনি আপনার স্বামীকে বলবেন, তিনি যা চান আমি দেব, কিন্তু আপনাকে আমার জন্য ছাড়তে হবে।” এরকম করে প্রতিদিন ছেলেটির কাছে বিরক্ত হয়ে মহিলা তার স্বামীকে পুরো বিষয় জানালেন।

তার স্বামী পুরো বিষয় জানার পর বললেন, “তুমি এত অস্থির হও না। আমি যা বলব, তাই করবে। আজ যখন আমি চলে যাব, তখন ছেলেটি আসার পর তাকে বলবে, ‘আমার স্বামী বলেছেন যে, যদি তুমি বিরতিহীনভাবে ৩ মাস জামাতের সাথে নামাজ আদায় করতে পারো, তাহলে তিনি আমাকে তোমার জন্য ছেড়ে দেবেন। তবে এক ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে পড়া থেকে ব্যর্থ হলে আর ৩ মাসের মাঝে আমার সাথে দেখা করলে আমাকে পাবে না।'”

ছেলেটি মহিলার কথায় রাজি হল এবং পাঁচ ওয়াক্ত জামাতের সাথে নামাজ আদায় করতে শুরু করলো। তার সাথে মহিলার দেখা বন্ধ হয়ে গেল।

দুই মাস পর ছেলেটি একদিন মহিলার স্বামী ঘরে থাকা কালেই আসলো এবং মহিলার কাছে ক্ষমা চাইলো। সে বললো, “আমি ভুল করে ফেলেছিলাম, আপনি আমায় সঠিক পথটা দেখিয়ে দিলেন। পুরো ২ মাস আমি জামাতের সাথে নামাজ আদায় করার ফলে আমি এতই উপকৃত যে, যা বলা যাবে না। আপনাদের সুখে থাকুন আর দোয়া করুন যাতে আমি সারা জীবন নামাজ পড়ে কাটাতে পারি।”

সদ্য বিবাহিত সাদ (রা) -এর শাহাদাত বরণ

হুনায়েনের যুদ্ধে মহানবী (সা.)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *