★ জিনের মিষ্টি ★-

আমার খালা বাড়ির এলাকার এলাকার এক হুজুরের কাহিনী। স্হানটা হচ্ছে সাতক্ষিরা গড়েরকান্দা। ষে যখন মাদ্রাসায় পড়তো, তখন তাদের এক শিক্ষক তাদেরকে খালি জীনের গল্প বলতো। তাদের সেই শিক্ষকের সাথে নাকি জীনদের ভালো সম্পর্ক। তাঁরা সেই শিক্ষকের কথাকে গাজাখুরি গল্প ভেবে উড়িয়ে দিতেন। তো সেই শিক্ষক একদিন তাদেরকে প্রমাণ দেখাতে নিয়ে গেলেন মাদ্রাসার পেছনের কোনো জনমানবহীন জায়গায়। গভীররাতে। অনেক্ষণ অপেক্ষা করার পর তাঁরা সবাই জীন দেখতে পেলেন।
তাঁরা দেখতে পেলেন একঝাক সাদা বড় পাণ্জাবি পড়া কিছু অবয়ব আকৃতির মানুষ আকাশে উড়ে যাচ্ছে। তাদেরকে দেখে এক ব্যাগ মিষ্টি ফেললো জীনেরা। তাঁরা সবাই নাকি সেই মিষ্টি খেয়েছিলো। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই কিছু অতি পুংটা পোলাপান থাকে। তাদের মাদ্রাসাতেও ছিলো। তিনিও সেই পুংটাদের দলেই ছিলেন। তো তাঁরা সিদ্ধান্ত নিলেন, তাঁরা কয়েকজন মিলে আবারও সেই জায়গায় যাবেন, গভীর রাতে। তারপর দেখবেন, সত্যি সত্যিই জীনেরা সেখানে উড়ে কি না! অনেক রাতে তাঁরা অবস্থান নিলেন সেই জায়গায়। হালকা বাতাস বইছে। মশাদের উপদ্রপ প্রকট। আকাশে কিছু কিছু তারা দেখা যাচ্ছে। এমন সময় হঠাত দেখা গেল, জীনেদের দল উড়ে যাচ্ছে আকাশ দিয়ে। তাঁরা সবাই ভয় পেয়ে গেলেন। তাঁরা ভেবেছিলেন, হয়তো আজও মিষ্টির ব্যাগ নেমে আসবে আকাশ থেকে। কিন্তু মিষ্টি পাওয়া গেলনা।
জীনেরা মিষ্টির ব্যাগ ফেললো না। ফেললো একটা আস্ত মানুষের লাশ! সবাই খুব ভয় পেয়ে গেল এবং তখনই ঐ স্হানটা ত্যাগ করলো। তারা সব গ্রামবাসীকে ঘটনাটা খুলে বলেন। ঘন্টা খানিক পর সবাই ঐ যায়গায় উপস্হিত হন। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার এটাই তারা সেখানে কোনই লাশ দেখতে পেলেন না!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়তে পারেন...

ইফতারে মুড়িতে জিলাপি মাখার পক্ষে vs বিপক্ষে?

মুড়ির সঙ্গে জিলাপি খাবো নাকি খাবো না, এই নিয়ে তো ভয়ংকর তুফান এখন ফেসবুক জুড়ে।…

হোটেলে কাজ করেও স্কুলে প্রথম স্থান !

‘ভাইয়া ভাত দেব? তরকারি লাগবে?’ কোমরে গামছা৷ হাতে ভাতের গামলা৷ খদ্দের সামলানোর দক্ষতা দেখে কে…

ভয়ানক ভূত

ঘটনাটি আমার এক বড় ভাই আনিসের কাছ থেকে শোনা। ঘটনাটি ঘটেছিল জামালপুরে। জামালপুরে একজন রিক্সাচালক…