আমার নানুর মুখ থেকে শোনা একটি বাস্তব ঘটনা আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আমার নানুর বাড়ী মুন্সীগঞ্জ জেলায়।আজ থেকে ৯ বছর আগে কোন এক রমজান মাসের রাতের ঘটনা।বাড়ীতে আমার নানু,নানা এবং আমার খালামনি থাকতেন।সব সময় নানু ঘুম থেকে আগে উঠতেন কারন সেহেরীর জন্য খাবার আয়োজন করতে হত। তো যাই হোক নানু হিটারে ভাত চরিয়ে ,মূল বাড়ী থেকে একটু দূরে কলপাড়ে(স্থানিয় ভাষায়) ওযু করতে গিয়েছিলেন। তখনও চারদিকে নিশ্চুপ অন্ধকার, মাঝে মাঝে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত কিছু বাড়ীতে কুপির কিংবা হারিকেনের আলো দেখা যায়।নানু তার নিজের মত করে ওযু করতে লাগলেন। বলে রাখা ভাল যে কলপাড়ের পাশে ছিল বিচ্ছিন্ন কিছু বাশঁ ঝার।তা যাই হোক নানু যখন কলচাপলেন তখন মাঝ বয়সি একটি মেয়ের গুগানো কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলেন। প্রথমে নানু ভেবেছিলেন পাশের বাড়ীর হান্নানের বউ হয়ত কান্না করছে,কারণ হিসেবে তিনি হান্নান তার বউকে প্রহার করেছে বলে ধরে নিলেন।কিন্তু পরক্ষনেই তিনি চিন্তা করলেন হান্নান আর তার বউ তো কাল রাতেই হান্নান এর বড় ভাইয়ের বাড়ী শ্রীনগর চলে গেছে।
নানু তখনও বিচলিত না। নানু যখন ই কলচাপা থামাচ্ছেন তখনই কান্নার শব্দটা থেমে যাচ্ছে। আবার কল চাপলেন আবারো সেই কান্নার আওয়াজ। যাই হোক পরিস্থিতি যে স্বাভাবিক না তা তিনি ইতিমধ্যো বুঝে গেছেন।তিনি মনে মনে আয়াতুল কুরসি পড়তে লাগলেন। তার হাত পা প্রায় ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল তার বর্নণায় তা তিনি উল্লেখ্য করেছিলেন।যাই হোক সাহস করে তিনি পাশের দিকে তাকালেন দেখলেন সাদা শাড়ী পরা একটা মেয়ে বিশাল বড় একটা ঘোমটা দিয়ে মাথা নিচু করে বাশঁ ঝারের গোরায় বসে কান্না করছে। তিনি এই দৃশ্য দেখার পরে নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারলেন না। চিৎকার দিয়ে অঙ্গান হয়ে কলপাড়ে পড়ে রইলেন।তার চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে আমার নানা আর খালামনি দৌড়ে কলপারে গেলেন।
সকাল হল নানুর জ্ঞান ফিরলো। খালামনি মাথায় পানি ধালছিল।
তিন পর ঘটনা পুরোপুরি ভাবে জানা গেল। ঘটনা স্থলে তখন গিয়ে দেখা গেল একটি মরা কাক।কাকটি বাশঁ ঝারের মধ্যে ছিল।এর পর সেটাকে পুড়িয়ে ফেলা হল।
নানু কিন্তু ভূত বিশ্বাস করেন না। তিনি এক হুজুরের কাছে ব্যাপারটা খুলে বললে তিনি এর ব্যাখায় বলেন বদ কোন জ্বীন এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কাক প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তরে মৃদু হেসে বললেন সেইটা তোমার না জানলেও চলবে।