
আমি দশম শ্রেণীতে পড়ি।। সামনে এক্সাম, তাই প্রতি রাতেই ২-৩ টা পর্যন্ত জাগা হয়।। তো, প্রায় গত ২ মাস আগে আমি একটা অদ্ভুত ঘটনা খেয়াল করলাম।। আমি সাধারণত গুনগুন করে পড়তে ভালোবাসি।। যেদিনের ঘটনা, সেদিন রাতেও আমি গুনগুন করে পড়ছিলাম।। গভীর রাত।। বাসার আর কেউ তখন জেগে নেই।।
হটাৎ আমি খেয়াল করলাম কে যেনও আমার মতন গুনগুন করে পড়ছে।। আমি কিছুটা অবাক হয়ে চারপাশে দেখার চেষ্টা করলাম।। কিন্তু কিছুই দেখলাম নাহ।। যাই হোক, ব্যাপারটা বিশেষ পাত্তা দিলাম না।।
এরপর হটাৎ একদিন রাতে আমি টয়লেটে গিয়েছিলাম।। কিন্তু ফিরে এসে যা দেখলাম তা শুধুমাত্র সপ্নেই দেখা সম্ভব।। আমি টয়লেটে যাওয়ার সময় আমার বায়োলজি বইটি টেবিলে উল্টে রেখে গিয়েছিলাম।। এসে দেখি বইটি খোলা এবং রুমে কেউ নেই তবুও আপনাআপনি বইটির পাতা উল্টে যাচ্ছে।। (আমার রুমের জানালা এবং ফ্যান তখন বন্ধ ছিল, তাই বাতাসের প্রশ্ন আসে নাহ)।। আমি ভয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে লাগলাম কি হয়।।
কিছুক্ষণ পর সেই গুনগুন পড়ার আওয়াজ পেলাম।। এরপর আমাকে ভয়ে আতঙ্কে অস্থির করে দিয়ে আমার কলমটা আপনাআপনি দাঁড়িয়ে গেলো।। রুমে কেউ নেই, কিন্তু কলমটা খাতার উপর দিয়ে লিখে চলছে।। প্রায় ৩০-৪০ মিনিট এরকম চলল।। ভয়ে আমি নড়তে চরতেও ভুলে গেছি।।
হটাৎ দেখি সব ঠিক হয়ে গেলো।। আমি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে সাহস সঞ্চয় করে গেলাম দেখার জন্য, যে এতক্ষণ কি হল।। টেবিলের কাছে গিয়ে আগে খাতা খুললাম।। দেখলাম এতো সুন্দর লেখা।। বায়োলজি বইয়ের যে পাতাটা খোলা ছিল সেটা হুবহু লিখে রেখেছে কেউ।। এতো সুন্দর লেখা আমি আমার জীবনে দেখিনি।।
গভীর রাত তাই বাবা মাকে না জাগিয়ে বিছানায় শুতে পড়লাম।। আমার ধারণা ছিল, এটা হয়তো আমার মনের ভুল হতে পারে।। যদিও বিছানায় শুয়ে সারারাত এপাশ ওপাশ করলাম।। সে রাতে ঘুম আর এলো নাহ।।
পরদিন সকালে আমি বাবা মাকে সব কথা জানালে উনারা একজন হুজুরকে ডেকে আনেন।। হুজুর খাতাটা দেখতে চাইলে আমি উনাকে তা দেখাই।। কিন্তু দেখা যায়, খাতাটা পুরো ফাঁকা।। কিন্তু, সকালে যখন আমি বাবা মাকে খাতাটা দেখাই তখন উনারাও লেখাটা দেখেছিলেন।।
সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হল, আমি আমার মোবাইল ফোনে ঐ লেখার একটা ছবি তুলে রেখেছিলাম।। কিন্তু পরবর্তীতে চেক করে দেখি ছবিটাও সাদা হয়ে গেছে।।
এই ঘটনার পর আমাকে একটা তাবিজ দেয়া হয়।। কিন্তু, ঐদিন বিকেলেই আমার প্রচণ্ড জ্বর আসে এবং প্রায় এক সপ্তাহ আমি সেই জ্বরে ভুগি।।
আমি এখনও মাঝে মাঝে ভাবি, আসলেই, কি ছিল সেটা??