►আধিভৌতিক◄

আমি মৃদুল কান্তি ঘোষ।আজ আমি আপনাদের সাথে যে ঘটনাটি শেয়ার করবো তা আজ থেকে ছয় বছর আগে আমার জীবনে দেখা একটি বাস্তব ঘটনা।।তখন আমি ক্লাস সেভেন কি এইটে পড়ি।।তখন আমরা গ্রামে থাকতাম।।আমাদের গ্রামটা হল যশোরের নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার অন্তরর্গত একটি গ্রাম।।নাম ধোপাদহ।। আমাদের বাসার সামনে অনেকগুলো বাড়ি আছে যেটা ছিল কুমোরপাড়া।।তাদের একটা ছেলে ছিল নাম খুদিরাম।।বয়স ২২ অথবা ২৩ হবে।। তার একটা রোগ ছিল, যাকে গ্রাম্য ভাষায় “মিরগীর ব্যারাম” বলে।।

তারা মাটির খেলনা, হাড়ি, কলস বানিয়ে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করত।।সব বাজার সকালে শুরু হতো তাই তারা ভোরে আযান দেওয়ার আগে নৌকায় তাদের সব তৈরি জিনিস তুলতো।।এবার আসল ঘটনায় আসি।।একবার ওই ছেলেটি ও তার বাবা আযান দেওয়ার আগে সব জিনিসপত্র নৌকায় উঠাচ্ছিল।।প্রায় সব জিনিস যখন উঠানো শেষের পথে তথন প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেবার জন্য ওই ছেলেটি টর্চলাইট হাতে নৌকার এক কোণায় বসে।।অপর দিকে তার বাবা নৌকা সাজানোর কাজে ব্যাস্ত।।হঠাৎ তার বাবা ঝপ করে একটা শব্দ শুনতে পেল।।তাকিয়ে দেখে খুদিরাম নেই।।অনেকবার ডাকার পরও কোন সাড়া পাওয়া গেল না।।তখন তিনি পানিতে ঝাপ দেন কিন্তু কোথাও সেই ছেলেটিকে পাওয়া যায়না।।

তার বাবা এক দৌড়ে বাড়ি এসে সবাইকে ডেকে নিয়ে নদীর ঘাটে যায়।।তখন থেকে খোজাখুজি শুরু হয়।।অনেক খোজাখুজির পর সকাল সাড়ে নয়টার দিকে একজন পেল।।প্রথমে ছেলেটার চুল তার হাতে ঠেকল।।তারপর সেই চুল ধরে টেনে তুললো মৃত অবস্থায়।।সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল যখন তাকে টেনে উঠানো হল তখন দেখা গেল সে ওই ভোর বেলা প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেবার সময় যে ভাবে বসে ছিল, ঠিক পানির নিচেও সে সেই টর্চলাইট হাতে সেভাবেই বসে ছিল।। প্রানহীন দেহে।।তারপর বিকালের দিকে যখন তাকে পোড়ানো হয়েছিল তখন তার দেহের সম্পূর্ন অংশ পুড়ছিল না।।অবশেষে তার ওই অংশগুলো মাটিতে পুতে ফেলা হয়েছিল।।সেদিনকার কথা মনে হলে আজও গায়ের ভিতর শির শির করে ওঠে।।

দুঃখিত!