আমাদের বাড়ির সামনে একটা বড় তাল গাছ।। রাস্তার উওরধারে খাল আর খালের পশ্চিম পাশে হিন্দু বাড়ি।। কথাটা আমার প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না, তখন একটা গুজব উঠলো রইদা বাবু না কি তার বউকে চার দিনের ঘুমের ওষধ খাইয়ে মাটি চাপা দিয়ে দিয়েছে।। আর তার আত্নাটা এখন ভূত হয়ে মানুষকে হয়রানি করছে।। কাউকে খালে ফেলে দিয়েছে আবার কেউ না কি দেখেছে যে ভূতটা নুপুরের তালে তালে নেচে নেচে আমাদের বাড়ির তাল গাছটার নিচ পর্যন্ত এসে আবার তার কবরের(মাটি চাপা দেয়া স্থান) কাছে ফিরে গেছে।। এই ঘটনাটি শুনার পরে আমি ঐ রাস্তা দিয়ে অনেক হেটেছি কখনো কিছু দেখিনি।। সে দিন আমার আব্বু বাজার থেকে কয়েল আনতে ভুলে গেছেন তাই আমাকে পাঠালো দোকানে।। বাজারে যাওয়ার সময় আমি একটা জিনিস খেয়াল করলাম।। তখন বর্ষা কাল ছিল রাস্তায় কাদা ছিল তাই মানুষ একপাশ দিয়ে হাটতে গিয়ে ঐ হিন্দু মহিলার কবরের উপর দিয়ে হাটা শুরু করেছে।। যাই হোক আমি দোকান থেকে ফিরছি রাত আনুমানিক ৯-১০টার মধ্যে ঐ কবরটা আমি অনেক পিছনে রেখে এসেছি।। কিন্তু আমি আমাদের বাড়ির দিকে ঢুকব, এমন অবস্থায় আমি হাতের লাইটটা সামনের দিকে মারলাম, হঠাৎ আমার পুরা শরীর প্রচন্ড একটা ঝাঁকুনি দিলো।। আমার হাত পা কাঁপতে লাগলো।। আমার হাতে এতটুকু শক্তি ছিল না যে আমি লাইটটা জ্বালাবো।। আমার দুই চোখ আধার হয়ে গেলো।। কিছু সময় নিরবে দাঁড়িয়ে আছি।। একটু পরে দেখলাম মোটামুটি শক্তি পাচ্ছি।। এবার জোরে একটা দোড় দিয়ে বাড়ি গেলাম।। দেখলাম, আমার মা উঠনে কি যেন করছে।। আমি তার পাশে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেলাম।। এরপর কি হলো আমি জানিনা।। সকালে উঠে রাতের কথা মনে পড়লো।। আমি রাতের যখন সামনের দিকে লাইটটা মেরেছিলাম তখন দেখছিলাম তাল গাছের নিচে সাদা কাপড় পড়া এক মহিলা দাড়িয়ে।। এর পর থেকে রাতে একা হাটার সাহসটাই হারালাম।।