পৃথিবীতে সব মানুষই মৃত্যুকে বিশ্বাস করে। সবাই মনে করে মৃত্যু অবধারিত সত্য। যেসব প্রাণীর প্রাণ রয়েছে, সেসব কি হবে, কবরে কেমন পরিস্থতির সম্মুখীন হতে হবে, ক্বিয়ামতের দিন কিভাবে সব মানুষ পুনরায় কিভাবে জীবিত হবে? এসব কিছুই আমাদের কারোর দেখার কোন সুযোগ নাই। কিন্তু মহান আল্লাহ যেসব নবী রসুল প্রেরণ করেছেন, সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) – সহ তাঁরা সবাই মৃত্যুর পরবর্তী জীবন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে সব কথা বলে গেছেন। কুর’আনে বার বার সে সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত হওয়া এবং রোজ ক্বিয়ামতের হিসাবের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক। বর্তমান সমাজে কবরের কথা, হাশরের কথা বলা হলে শুনতে চাইবে না, শুনলেও মনোযোগ দেবেনা। এমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে যে কবর, হাশরের ঘটনা অন্য কারো সাথে ঘটবে, তাঁর সাথে ঘটবে না।
একজন চিকিৎসক হিসাবে আমি ১০০ জন মানুষকে চোখের সামনে মরতে দেখেছি। কাদের শেষ কথা কি হয় আমি সেটা লক্ষ্য করেছি। ১০০ জন মানুষের মধ্যে ৩ জনকে কালেমা পড়তে শুনেছি। অন্য ৯৭ জন দুনিয়াবি কথা বলতে বলতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। যেমন কেউ কিছু খেতে চেয়েছেন, কেউ গান গেয়েছেন, কেউ সাংসারিক কোন কথা বলেছেন। বিগত ৪০ বছরের চিকিৎসা জীবনে আমি যাদের চিকিৎসার সাথে জড়িত ছিলাম তাদের এমন কিছু বিষয় আমি দেখেছি, শুনেছি সেসব লেখা জরুরি মনে করিছে। যারা এসব ঘটনা পাঠ করবেন তাঁরা উপকৃত হবেন।
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের আখিরাতের, শেষ না হওয়া জীবনের প্রস্তুতি নেওয়ার তাওফিক দিন – আমিন।
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।