১৯৯৬ সাল।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ।
ঘটনা টি শোনা আমার নানার কাছ থেকে। কতখানি সত্য তা আমার জানা নাই তবে ঘটনা টি সত্যই বলা চলে। কারন তখন আমি বেশ ছোট এবং ঘটনাটি আমার নানা নিজ চোখে দেখেছিলেন।
দুই বান্ধবী মিলি এবং মমতা। ছোট বেলা থেকেই দুই জন এক সাথেই পড়াশোনা করে। মেডিকেল কলেজে এক সাথে ভর্তি হয়েছে। এক রুমে থাকে। দুইজন এর পরিচয় ছোট বেলা থেকে।তাই সব কাজ দুই জন এক সাথে করত।
এক দিন মর্গে প্রেকটিকেল এর কাজ পরল দুইজন এর। লাশ কেটে পোস্ট মরটেম করা শিখান হচ্ছে। মিলি থেকে মমতা একটু ভাল ছাত্রী। মমতা মনোযোগ দিয়ে লাশ কাটছিল।
ক্লাস শেষ এ সবাই মর্গ থেকে বের হলেও মমতা খেয়াল করল না । সে মনে করল মিলি তার পাশে আছে। মর্গ থেকে বাইরে বোঝা যায়না যে রাত না দিন। এই দিকে মিলি মনে করল যে মমতা রুম এ চলে গেছে।
ও একটা কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম দিনটি ছিল বৃহস্পতি বার।
শুক্র বার কলেজ বন্ধ থাকে। এই দিক এ মমতাকে ভিতরে রেখে মর্গ এর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
শনি বার মর্গ এর দরজা খুলতে গিয়ে ভিতরে অস্বাভাবিক শব্দ শোনা যায়। ভিতরে গিয়ে যা দেখা যায় তা হল মমতা অস্বাভাবিক আচরন করছে। ওকে দেখতে অনেক খানি হিংস্র প্রানির মত লাগছে।
ওর মাথার চুল সাদা হয়ে গেছে। এবং মর্গে যত লাশ ছিল সব কয়টা ছিল ছিন্নভিন্ন। মমতাকে দেখে চেনা যাচ্ছিল না। যাকে দেখছিল তাকেই ও আক্রমন করছিল। শেষ পর্যন্ত মমতা কে গুলি করে মারা হয়।
মমতাকে মারতে গুলি লেগেছিল ১১ টি।
এই ঘটনার ২ মাস পর মিলি আত্মহত্যা করে।
কারন মিলি মনে করত মমতা ওর কারনে মারা গিয়েছে।
ওই মর্গে এর পর কখনও কোন ক্লাস হয় নাই…………।