হোজ্জার অঙ্ক কষা

পাড়ার এক ছেলে হোজ্জার কাছে অঙ্ক বুঝতে এসেছে। হোজ্জা আবার অঙ্কে একেবারে অজ্ঞ। তাই বলে ছেলেটির কাছে ছোটও হওয়া যায় না। তিনি বিজ্ঞের মতো বললেন, ‘বল, কোন অঙ্কটা বুঝতে পারছিস না?’

ছেলেটা বলল, ‘একটা ঝুড়িতে ৫০টা কমলালেবু ছিল। ১৫ জন ছাত্রকে সমান ভাগ করে দিতে হবে। ঝুড়ি খুলে দেখা গেল তার মধ্যে ১০টা কমলালেবু পচে গেছে। তাহলে কয়টা কমলালেবু কম বা বেশি হবে?’

একটু মাথা চুলকে হোজ্জা বললেন, ‘অঙ্কটা কে দিয়েছে রে?’

ছেলে জবাব দিল, ‘স্কুলের মাস্টারমশাই।’

হোজ্জা রেগে বললেন, ‘তোর কেমন স্কুল রে! এমন বাজে অঙ্ক দিয়েছে? আর তোর মাস্টারমশাইয়েরও জ্ঞানবুদ্ধি একেবারেই নেই। আমাদের ছেলেবেলায় এ রকম অঙ্ক কখনো দিত না। আমাদের অঙ্ক থাকত আপেল নিয়ে। কমলালেবু তো পচবেই। আপেল হলে পচত না, আর অঙ্কটাও তাহলে সোজা হয়ে যেত। যেমন তোর পচা মাস্টার তেমনি তোর পচা অঙ্ক। এখন কেটে পড় দেখি, পচা কমলালেবুর বিশ্রী গন্ধ বেরোচ্ছে!’

ছেলেটা আর কী করে! অঙ্ক না করেই বাড়ি ফিরে গেল।

–সংগৃহীত

দুঃখিত!