হুরের সাথে বিয়ে

হযরত আবূ এমরান সিন্দি (রহঃ) বলেন, একবার আমি মিশরের এক জামে মসজিদে বসা ছিলাম। এমন সময় আমার বিয়ে করার ইচ্ছে হল, তারপর বিয়ে করব বলে প্রতিজ্ঞা করলাম। মনে মনে আমি এ বিষয়ে আলোচনা করছিলাম। হঠাৎ দেখতে পেলাম, কিবলার দিক থেকে একটি নূর প্রকাশ পাচ্ছে। এমন উজ্জ্বল নূর জীবনে আর কখনো আমি দেখিনি। ধীরে ধীরে সে নূর আমার নিকটে আসতে লাগল।

অতঃপর সে নূরের পিণ্ড হতে একটি বের হয়ে এল। এবং সে হাতে একটি লাল ইয়াকুত পাথরের জুতা ছিল। যার ফিতাটি ছিল সবুজ জমরুদ পাথরের এবং তাতে রুপার জরি দ্বারা নকশী করা ছিল। এ সময় অদৃশ্য হতে কে যেন বলল, এটি তোমার হুরের জুতা। সুতরাং এখন চিন্তা করে দেখ, যে হুরের পায়ের জুতাতেই যদি এত সৌদর্যের বাহার হয়, তাহলে সে হুরের রুপ-লাবণ্যও সৌদর্যের বাহার কত অধিক হবে?

তিনি বলেন, উক্ত ঘটনার পর হতে জীবনে আর কখনো আমার মনে বিয়ে ও নারীর সম্ভোগের কল্পনাও আসেনি।

অপর এক ঘটনার উল্লেখ্য করে মোহাম্মাদ ওররাক বলেন, মোবারক নামে এক হাবশী হালাল উপার্জন দ্বারা দিন অতিবাহিত করত। আমি মাঝে মধ্যে তাকে জিজ্ঞেস করতাম, হে মোবারক! তুমি বিয়ে কর না কেন? জবাবে সে বলত, আমি আল্লাহ পাকের দরবারে সর্বদা দোয়া করি তিনি যেন আমাকে হুরের সাথে বিয়ে দেন।

আবু এমরান সিন্দি (রাঃ) বলেন- একবার এক জিহাদে শত্রুপক্ষের সাথে আমাদের প্রচণ্ড লড়াই হচ্ছিল। সে জিহাদে মোবারক বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করতে করতে শাহাদাত বরণ করেন। আমি দেখতে পেলাম এক স্থানে তাঁর মস্তক দেহ থেকে পৃথক হয়ে পড়ে আছে। এম অবস্থা ছিল যে, হাত দুটি বুকের নীচে চাপা পড়ে মাটিতে উপুড় হয়ে আছে। কি মনে করে যেন আমি তাঁর লাশের সামনে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলাম, হে মোবারক! আল্লাহ তোমার সাথে কতজন হুরের বিয়ে দিয়েছেন?

সাথে সাথে সে বুকের নীচে চাপা পড়া একটি হাত বের করে তিনটি আঙ্গুল দ্বারা ঈশারা করল। আমি বুঝতে পারলাম, তিনটি হুরের সাথে তাঁর বিয়ে হয়েছে।

হুরের সাথে বিয়ে

হযরত আবূ এমরান সিন্দি (রহঃ) বলেন, একবার আমি মিশরের এক জামে মসজিদে বসা ছিলাম। এমন সময় আমার বিয়ে করার ইচ্ছে হল, তারপর বিয়ে করব বলে প্রতিজ্ঞা করলাম। মনে মনে আমি এ বিষয়ে আলোচনা করছিলাম। হঠাৎ দেখতে পেলাম, কিবলার দিক থেকে একটি নূর প্রকাশ পাচ্ছে। এমন উজ্জ্বল নূর জীবনে আর কখনো আমি দেখিনি। ধীরে ধীরে সে নূর আমার নিকটে আসতে লাগল।

অতঃপর সে নূরের পিণ্ড হতে একটি বের হয়ে এল। এবং সে হাতে একটি লাল ইয়াকুত পাথরের জুতা ছিল। যার ফিতাটি ছিল সবুজ জমরুদ পাথরের এবং তাতে রুপার জরি দ্বারা নকশী করা ছিল। এ সময় অদৃশ্য হতে কে যেন বলল, এটি তোমার হুরের জুতা। সুতরাং এখন চিন্তা করে দেখ, যে হুরের পায়ের জুতাতেই যদি এত সৌদর্যের বাহার হয়, তাহলে সে হুরের রুপ-লাবণ্যও সৌদর্যের বাহার কত অধিক হবে?

তিনি বলেন, উক্ত ঘটনার পর হতে জীবনে আর কখনো আমার মনে বিয়ে ও নারীর সম্ভোগের কল্পনাও আসেনি।

অপর এক ঘটনার উল্লেখ্য করে মোহাম্মাদ ওররাক বলেন, মোবারক নামে এক হাবশী হালাল উপার্জন দ্বারা দিন অতিবাহিত করত। আমি মাঝে মধ্যে তাকে জিজ্ঞেস করতাম, হে মোবারক! তুমি বিয়ে কর না কেন? জবাবে সে বলত, আমি আল্লাহ পাকের দরবারে সর্বদা দোয়া করি তিনি যেন আমাকে হুরের সাথে বিয়ে দেন।

আবু এমরান সিন্দি (রাঃ) বলেন- একবার এক জিহাদে শত্রুপক্ষের সাথে আমাদের প্রচণ্ড লড়াই হচ্ছিল। সে জিহাদে মোবারক বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করতে করতে শাহাদাত বরণ করেন। আমি দেখতে পেলাম এক স্থানে তাঁর মস্তক দেহ থেকে পৃথক হয়ে পড়ে আছে। এম অবস্থা ছিল যে, হাত দুটি বুকের নীচে চাপা পড়ে মাটিতে উপুড় হয়ে আছে। কি মনে করে যেন আমি তাঁর লাশের সামনে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলাম, হে মোবারক! আল্লাহ তোমার সাথে কতজন হুরের বিয়ে দিয়েছেন?

সাথে সাথে সে বুকের নীচে চাপা পড়া একটি হাত বের করে তিনটি আঙ্গুল দ্বারা ঈশারা করল। আমি বুঝতে পারলাম, তিনটি হুরের সাথে তাঁর বিয়ে হয়েছে।

আরো পড়তে পারেন...

খৃষ্টান মহিলার প্রেমে পাগল হওয়ার ঘটনা

বুজুর্গ ব্যক্তি বললেন, একদা আমি হযরত হাসান বসরী (রহঃ) এর দরবারে বসেছিলাম। এমন সময় আমাদের…

এক বুজুর্গের কসমের উছিলায়

হযরত আবূ আব্দুল্লাহ কাররাশী (রাঃ) বলেন, একবার মুশরিক সৈন্যরা স্পেন শহরে প্রবেশ করে বিনা যুদ্ধে…

স্বপ্ন যোগে রাসূলের দিদার।

ইমাম কাফেলায় হাবীবের ঈমানী চেতনার প্রকাশ্য শক্তি যেন কয়েকগুণ বাড়াল। ইমাম হোসাইন (রাঃ) গভীর রাতে…