গাড়িগুলো বাড়ি ফিরছে পিচঢালা পথের বুক ছুয়ে পাখির মত উড়ে উড়ে ।পেছনের গাড়ির আলো যত দূর অতি সহজে চলে যায় ঠিক সেখানটাই অতিক্রম করা যেন গাড়ি গুলোর এক নেশা । ব্রিটেনের এই শহরটা সবসময় এতই চুপচাপ থাকে যে কয়েকটা খাল নালা তাদের বুকের পানি নিয়ে সারাক্ষন খেলা করেও চারদিক মুখর করে তুলতে পারে না । স্কুল যখন ছুটি হয় তখন বাচ্চাগুলোও চিতকার করে বলে উঠে না , ঐ ছুটি , ছুটি ,ছুটি । গাড়ি গুলো যত বেগে চলে ঠিক ততটাই বোবা,সহজ সরল। রিক্সা না থাকলেও যে সাইকেল গুলো হন হন করে চলে যায় তারা ইচ্ছা করেই রিং বাজিয়ে হাই হ্যালো বলে না। মানুষও যারা পথ ধরে হাটে তাদের মুখেও কোন কথা নেই ।
কানের মধ্যে কানবার্তা লাগিয়ে কি শুনতে শুনতে জোয়ারের পানির মত কোথায় যাচ্ছে কেন যাচ্ছে কেউ তা জানে না, জানবার চেষ্টাটুকুও কেউ করে না। পাড়ে দাঁড়িয়ে নদীর মাঝখান দিয়ে ভেসে ভেসে যাওয়া নৌকাকে গলা ছেড়ে ডেকেও কেউ জানতে চায় না ও মাঝি যাও কোথায়? কোথা থেকে আসলে? সবাই যেন কিসের টানে কিসের নেশায় মগ্ন হয়ে ছুটছে। হাতে তাদের সময় খুব কম। আলতু ফালতু কথা বলে নিজের সময়ের শ্রাদ্ধ করার কোন ইচ্ছা কারো কোন কালে ছিল না আজো নেই । বরং আজ কাজ না করলে কাল কি খাবে সে তাড়নায় তারা ছুটছে। তারা ছুটছে কাজের ফেছনে । এ রকম একটি শহরে যারা নিজের দেশ দশ সমাজ, আত্মীয় পরিজন ছেড়ে চলে এসেছে তারাও যে নিজ দেশের আরাম আয়াশি জীবন ভুলে যায় নি তা নয় । আর ভুলবেই বা না কেন । এখান কার জীবন এত ট্যাক্স নির্ভর যে ট্যাক্সের টাকাটা জোগার করতে করতে কীভাবে যে সময় কেটে যায় তা কেউ বুঝতেই পারে না ।আমার এক জৈনক বন্ধু মজা করে বলেছিল যে এই দেশে আর কয়েক বছর পর শ্বাস প্রশ্বাসের উপর ট্যাক্স ধরা হবে। গায়ে এমন একটা মেশিন লাগিয়ে দেওয়া হবে যা দ্বারা সরকার জেনে নিবে দিনে কে কত বার শ্বাস নিলো আর ছাড়ল। একশ বার শ্বাস নেওয়া এক পাঊন্ড, একশ বার শ্বাস ছাড়া দু পাউন্ড ।তবে কেউ যদি শ্বাস ছাড়া তে দুই পাউন্ড দিতে অস্বীকার করে তাহলে তাকে বুঝানু হবে দেখ তুমি তোমার ভেতরের যে কার্বন ডাই অক্সাইড টা বাতাসে ছাড়ছ ট্যাট্যা পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। এই পরিবেশটাকে সুস্থ রাখার জন্যেই সরকারের এমন আয়োজন । আমি আমার বন্ধুর কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলাম তাহলে আমরা পায়ু পথে যে বাতাস ছাড়ি তার উপর ট্যাক্স কত হবে? বন্ধুটি আমার উত্তর দেয়নি শুধু হেসেছিল হয়তো এ দেশের সরকার একদিন দিয়ে দিবে। সে অপেক্ষায় থাকলাম। তবে যাকে আপনাদের সামনে পরিচয় করে দিতে আর অপেক্ষা করতে পারলাম না সে হল এই শহরের এক বাংলাদেশি প্রবাসী হাজি সানোয়ার উল্লাহ । যিনি আজ রাতে ডেটিং ক্লাব নামের এক ক্লাবে যাচ্ছেন ।
সারাটা জীবন যিনি হালাল হারাম করে করে সামান্য চিংড়ি মাছটিও খান নি । আজ তিনি ক্লাবে যাচ্ছেন । কেন ? কি এমন হয়ে গেল যে ঊনাকে ক্লাবে যেতেই হবে। ধর্মীয় বিশ্বাস শুধু নয় যেকোন বিশ্বাস এমন এক জিনিস যে , যা ধরে মানুষ নিজের আত্মার সুখ খুজে নেয় , আশ্রয়ের মাটি গড়ে নেয় । সেখানে হাজি হয়ে উনি নিজের বিশ্বাসের সাথে যুদ্ধ করে আজ রাতে ক্লাবে যাবেন কেন? সানোয়ারের বউ বলেছিল শুন ঐখানে না গেলেই নয় । মাথা নেড়ে বুঝিয়ে দিল যে , না উনাকে এখানে আজ যেতেই হবে। কেন ? না কোন উত্তর আর পাওয়া গেল না। উনি সাধারনত কেন শব্দের উত্তর দেন না। এই বিশ্বাস করেন যে , কেন প্রশ্নটি সংসার জীবনে কেবল সমস্যা বাড়াতে পারে , কমাতে নয় । এই কেন দিয়ে একই ঊত্তরের বিপরীতে কোটি কোটি প্রশ্ন তৈরি করা যায় , তাই যতক্ষন পারা যায় ততক্ষন এই কেন কে এড়িয়ে যাওয়াই ভাল । এখনো তুষার পরে নি । এখনো মানুষ গায়ে বস্তা পরিমান পোষাক লাগায় নি । গাছের ড্ডালে এখনো কয়েকটি পাতা বাকি রয়ে গেছে। লোরিন তার গতবারের বয়ফ্রেন্ড এখনো বদলায় নি , পুরুনো বয়ফ্রেন্ডের সাথে অহরম দহরমের কিছু সুখ যে এখনো কিছু বাকি রয়ে গেছে । তবে সানোয়ার নিজের পায়ের মৌজা দিনে চারবার বদলান । সেটা তার স্ত্রী জানত তবে গায়ের কাপড়ো যে দু তিন বার বদলান তা জানত না । আজ যখন সানোয়ার বার বার আয়নার সামনে দাড়াচ্ছে আর নিজের পোষাকটা বদলাচ্ছে তখন এক অজানা আশাংকা মনে বার বার হামলা করে যাচ্ছে। কোন একবল শালী অসুরের মত হোট করে এসে মন প্রাসাদের সব কিছু বার বার তছ নছ করে দিয়ে যাচ্ছে । এমকি কোন এক বাস্কে লুকিয়ে রাখা কয়েকটি লাল গোলাপের পাপড়িটাকেও ছাড়ছে না । যতক্ষন না পর্যন্ত সবকিছু তছনছ না হচ্ছে ততক্ষন পর্যন্ত তার প্রলয় লীলা চালিয়েই যাচ্ছ। কিন্তু যার জন্যে এত অত্যাচার মনের রাজ্যে সে সহে যাচ্ছে সে কি তা কোন দিন জানবে ? বা জানার আগ্রহ নিয়ে পাশে বসে শুধু হাত খানা ধরে বলবে যে তোমাকে আজ এমন লাগছে না , যেন ষোল বছর আগে বিয়ে করা সেই লাল টুকু টুকে বউ ।
হোক না তার চারটি বাচ্চা হয়ে গেছে কিবা গায়ের রংটা আর আগের মত নেই তাই বলে কি এখন যা আছে তা কম কিসের ?সানোয়ার ঊল্লাহ একটু ভাল করে তাকালেই দেখতে পারবে । না সানোয়ার এখন আর আগের মত চোখ তুলে তাকায় না। মসজিদ , মসজিদ আর টাকা টাকা বলে জীবনটাই শেষ করে দিচ্ছে। আবার টাকা টাকা করেও যে নিজের সংসারের ভাংগা দেয়ালটা আজো ঠিক করতে পেরেছে তাও নয় । যা কামায় রোজগার করে তার অধিকাংশ টাকাই যে কি করে সেই জানে। এই বিদেশে এসে একটি নামি দামি বাড়ি না হোক একটি গাড়িও কি কিওনতে পেরেছে? তা করবে দূরের থাক আজ পর্যন্ত ভাল দামের একটা শাড়ি কিনে বউকে দিতে পেরেছে? পারে নি আর এ জীবনে পারবে না ।দিনের চব্বিশটা ঘন্টার মধ্যে বিশটা ঘন্টাই যে সে কি করে তার হদিস সানোয়ারের বউ জানে না। কিছু বললেই বলে আমার দোকান আছে , আমার ট্যাক্সি আছে। দোকান দিয়ে ব্যবসা করেও আন্ডা , আর রাতের বেলায় ট্যাক্সি চালিয়ে গোড়ার ডিম। সানোয়ারের বউ এই ভাবতে ভাবতে নিজেরো যে হাতের সময়টুকু পাড় করে দিচ্ছে তাও সে জানে না , তবে ভাবনা সেই কবে থেকে শুরু হয়েছিল আজ অবধি শেষ হয় নি । হবে কীভাবে? মানুষ যে সারাক্ষন মানুষের ভাল চায় , ভাল চেয়ে নানা উপদেশ আদেশ ,অনুরোধ, প্রার্থনা সবকিছুই করে তবে নিজেকে অর্পণ করতে পারে না। এই শহরে একই দিনে ছয় ছয়টি ঋতু দেখতে হয় । সকালে রোদ দেখতে দেখতে ঘুম থেকে উঠলেন , ঘর থেকে বের হতে না হতেই দেখবেন বৃষ্টি উদাস হয়ে বাহিরে আপনার গা ছুঁয়ার জন্যে অপেক্ষা করছে । ছাতা হাতে বের হলেন তখন আবার রোদের হাসি , টাট্টা, কিছুক্ষন পর কুয়াশা ;হাড় কাপানু শীত ।বাপের জনমেও এই শীত কেউ দেখে নি দেখার কথাও নয় । মানুষ গুলোও হয়েছে ঠিক এরকম । সানোয়ার আজ ডেটিং ক্লাবে যাচ্ছে , তাই বলে এত সাজু গুজু করার কি দরকার?মনে হচ্ছে কোন ছবিতে নায়িকার বিপরীতে অভিনয় করতে যাচ্ছে। সকালে তার দোকানের কর্মচারী রাতুল বলে দিয়েছিল , বস দেখেন হালাল হারাম করতে করতে জীবনটার পুরোটাই শেষ করলেন ।
তাই বলে দোকানটাকেও শেষ করে দিবেন?বেকন , হাম বিক্রি করেন না ঠিক আছে সেটা আপনার জন্যে হারাম তাই বলে মদ বিক্রি করবেন না। খুব রেগে সানোয়ার তখন উত্তর দিয়েছিল বেটা এটাও মহা হারাম। ও তাই , সরি বস। বলেই রাতুল দোকানে থাকা সিগারেট গুলো এক ব্যাগে ভরে ফেলতেছিল। এই এই করিস কি করিস কি? এত দামের সিগারেট টা কেন নষ্ট করতেছিস? বস সিগারেট হারাম হালাল কিনা জানি না তবে এই সিগারেট খেলে মানুষের ক্ষতি হয় , প্রায় মদের মতই কাজ করে তাই আপনার দোকানে আপনি এমন জিবিস বিক্রি করবেন কেন?আপনার দোকানে সব হালাল চাই ।ওই যে দোকানে ম্যাগাজিন বিক্রি করেন তাও সরিয়ে দেব, এগুলো তে নারী মানুষের যেভাবে ছবি দেওয়া আছে তা শয়তানের ছাড়া আর কিছুর কাম না।তাও আপনার দোকানে রাখবো না। আমার সাথে ফাজলামি করতেছে? বস তা করার সূযোগ থাকলে বেশ আগেই করতাম। কেন? কেন জানি না , তবে মনে হয় কারন একটা আছে। আপনি হালাল , হারাম করে করে দিন কাটান অথচ সিগারেট বিক্রি করে খান, মদ বিক্রি করেন না । কারন এই মদ বিক্রির টাকা খাবেন না। আপনি কি জানেন এই ব্রিটেন কত গুলো মদের বার আর ক্লাব আছে। হাজার হাজার কিবা লাখ লাখ। তাহলে ? তাহলে কি ? তাহলে আপনি সে মদ বেচে টাকা খাওয়ার আপনিও অংশীদার। কীভাবে? আপনি যেভাবে আপনার দোকানের জন্যে সরকারকে ট্যাক্স নামের টাকা দেন তেমনি তারাও সরকার বেশি করে দেয় ।আর ঐ টাকা দিয়ে সরকার আপনার বাচ্চা কে ফ্রি খাবার কেনার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে, আপনাকে ফ্রি চিকিৎসা নেবার সূযোগ করে দিচ্ছে। আপনার বেকার ছেলেটাকে প্রতি সপ্তাহে পঞ্চাশ পাউন্ড করে দিচ্ছে । যে গাছের ছায়া নিয়ে শুধু নন ফল খেয়েও বেচে আছেন সেই গাছের শিকড়ে মদের খনি লাগানু আছে। তাইত , এভাবে্ত কোনদিন ভাবি নি? ভাববেন কেন?ভাবলেই যে সব কিছু নিজের বিপক্ষে চলে যাবে। তাই ভাবেন নি । না তুই এভাবে বলতে পারিস না রাতুল । আমি আজই সরকারের কাছ থেকে সব সূযোগ সুবিধা নেওয়া বন্ধ করে দিব।
তা পারবেন কিন্তু তারপরেও নানা আশংকা থেকে যায়। কি রকম? ধরুন আপনি বাজার থেকে গিয়ে ভাল দেখে একটা শার্ট কিনলেন কিবা আপনার পাঞ্জাবি । আপনি কীভাবে জানবেন যে এই পাঞ্জাবি হালাল না হারাম ? পাঞ্জাবি আবার হালাল না হারাম, তা হয় কীভাবে ? আপনি কি জানেন , এই পাঞ্জাবি যে টাকা দিয়ে বানানু হয়েছে সে টাকাতে যে ঐ সরকার বা কোম্পানি মদ বেচার টাকা লাগায় নি , কিবা বেকন ও হাম বেচার টাকা লাগায় নি । এবার বেশ রাগ হয়ে বলল তুই কি বলতে চাস খোলাসা করে বল। না তেমন কিছু না। আমি আপনার এই দোকান টায় মদ বিক্রি করতে চাই এঈ দেশের মানুষদের জন্যে। যা ওদের জীবনের জন্যে দরকার, আমি বেকন ও হাম(শুয়রের মাংস) বিক্রি করতে চাই এ দেশের মানুষের খাবারের জন্যে। তবে আপনার বিশ্বাসের ক্ষতি করে না। তুই মদ বিক্রি করবি? বেকন বিক্রি করবি আবার আমার বিশ্বাসের ক্ষতি করবি না তা হয় কীভাবে? সব কিছু বস আপনার মাথায় থাকলে আমি রাতুল আজ এখানে কেন? পাকামি না করে কাজের কথা বল ? শুনেন আজ থেকে শপে যে টাকা কেনা বেচা হবে সব আমি তা আমার ব্যাংকে রেখে দেব ।আমি সে টাকা আমার মাসীর কাপড়ের ব্যবসায় লাগিয়ে দেব । তারমানে আমার দোকানের টাকা তোর মাসি ব্যবহার করবে , মাথায় তো ভালই হিহুদির ব্রেইন আছে। আরে বস তা না। আমি ত আপনার টাকাটা হালাল বানানুর ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। দোকানের যে পরিমান টাকা মাসি তার নিজের কাপড়ের দোকানে ব্যবহার করবে ঠিক সে পরিমান টাকা উনি ঊনার দোকান থেকে আপনাকে দিয়ে দিবেন। তবে সে টাকা হবে কাপড় বিক্রি করার টাকা। রাতুলের কথা শুনে প্রথমে সানোয়ার যে রাজী হয়েছিল তা নয় । তবে অনেক্ষন ভেবে রাতুলকে জানিয়ে দেল শ্যালা হিন্দু আর হিহুদিদের মাথা যে কত ্্্্্,!!!!!! যা বলেছিস তা কর। দোকানে কাস্টমার আসে না। সব শ্যালারা এসে মদ খুজে। আজ থেকে আমার শপে মদ বিক্রি হবে, বেকন হাম সব বিক্রি হবে? আর কিছু কি বিক্রি করতে চাস , করলে কর। তবে আমার টাকাটা হালাল বানিয়ে দিবি । মদ বিক্রির টাকা আমি খাব না, রাতুল হাসতে হাসতে বলেছিল , না না বস মদের টাকা আপনি খাবেন না, রিফাইন করে্্্্্,। তাই আজ সানোয়ার ডেটিং ক্লাবে যাচ্ছে রাতুলকে নিয়ে।
গিয়ে দেখতে চায় কাস্টমার কি কি মদ খেতে পছন্দ করে। সেই মদ্গুলোই যে নিজের দোকানে কাস্টমারদের জন্য আনতে হবে। বাইরে তখনো বৃষ্টি শুরু হবার মত অবস্থা। হাল্কা হাল্কা বাতাসো আছে। সানোয়ারের মেয়েটা কোরাণ শরীফ পড়ে টেবিলের উপরই রেখে কোথায় চলে গেছে। কীভাবে জানি , কোথা দিয়ে এক হাল্কা বাতাস এসে কোরান শরীফের পাতা এমন ভাবে উল্টাতে লাগল দেখলে মনে হবে কেউ বাতাসের আংগুল দিয়ে পাতা উল্টাচ্ছে আর কোরান শরীফ পড়ছে। সে দিকে অনেক্ষন তাকিয়ে সানোয়ার নিজের সাদা কালো মিশ্রিত বেশ লম্বা দাড়ি টাকে ডান হাত দিয়ে চুলকাতে লাগলো । গায়ের দিকে থাকিয়ে দেখল গায়ের লোম সব গুলো সজারুর কাটা হয়ে গেছে ।
কেন? কিসের ভয়ে ? সে কি ভুল পথে যাচ্ছে? পড়বে নাকি আরেকবার কোরাণ শরীফ খানি । পড়ে দেখবে নাকি এবার আরেকবার ? কিছুক্ষন পর বউ এসে জিজ্ঞাসা করলো এই তুমি কাদছ কেন? সানোয়ার বলল, কই ?তাই নাকি ? নিজের পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখলে চোখের পানিতে নিজের পায়ের মৌজা টা ভিজেই গেছে। তবে কেন? কেন ভিজে গেল?