হাতের পাঁচ

একদা এক বনে এক প্রকাণ্ড সিংহ ছিল!তারছিল খুব রাগ।এক দিন তার খুব ক্ষিদে পেয়েছিল। সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে গেল।তবুও সে খাদ্যের সন্ধান পেল না। বনের সব জীবজন্তু গুলো যে গেল কোথায়?শব শুনশান?মনে মনে সে খুব রেগে উঠল।আর ওদিকে তার পেটের ভিতর ক্ষিধেয় চোঁ চোঁ করছে।কিন্তু তার কোন খাদ্য নেই।এইসব সাত পাঁচ ভাবছিল সিংহ। হঠাৎ সে দেখতে পেল একটা খরগোশ জঙ্গলের ওই দিকটাদে ছুটে যাছে।সিংহ দৌড়ে গিয়ে খরগোশটাকে খপ করে ধরে ফেলল।তারপর যেই না সিংহ খরগোশ টা কে খেতে যাবে এমন সময় দেখতে পেল একটা হরিণ তার পাশ দিয়ে ছুটে পালাচ্ছে প্রাণভয়ে।সিংহ তখন মনে মনে ভাবল,এই ছোট্ট খরগসোশ তার পেটের এক কোনা ভরবে না।হরিণ টা কে খেতে পারলে তার জ্বালা মিটবে।এই ভেবে সে হরিণ টাকে ছেড়ে দিয়ে হরিণ টাকে ধরতে ছুটলো।আর এই সুযোগে খরগোশ টা প্রান পেয়ে পালালো।

এদিকে ক্ষুর্ধাত সিংহ হরিণের পেছন পেছন ছুটেও টাকে ধরতে পারল না।কারন হরিণ টা প্রান ভেয়ে ক্ষিপ্রগতিতে ছুটে পালিয়েছিল।অগত্যা সিংহকে হতাশ হয়ে ফিরে আসতে হল। এবার দে ভাবল যাকগে যা-এই ছোট্ট খরগোশ টা খেয়েই পেট না ভরুক অন্তত ক্ষিদের জ্বালা মেটানো যাক।অতএব সিংহ যেখানে খরগোশ টা কে রেখেএসেছিল সেখানে এসে হাজির হোল।কিন্তু একি!খরগোশটা কই?সিংহ এখন বেশ বুঝতে পারল বেটা নিরশ্চয় পালিয়েছে।দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা।আর সিংহ কি করে মজা দেখাবে?খরগোশ টা যে পগার পার।সিংহের হাতের নাগালের বাইরে।অতএব সিংহ যতোই রাগে গরগর করুক না কেন-কিছুতেই আর খরগোশের নাগাল পেল না।ফলে সে মনের রাগ মনে চেপে রেখে বললো-উচিৎ শিক্ষা আমার হয়েছে।মুখের গ্রাস ফেলে আমি বেশি আশায় ছুটেছিলাম।তাই আমার এই দশা।কিন্তু আমার ক্ষিধের কি হইবে?এই জায়গায় তো আর কোন জীবজন্তু আর আসবে না।খরগোশটা গিয়ে সবাইকে বলে দিয়েছে।অতএব-হ্যাঁ আমার বেশ দূরে গিয়ে খাঁদ্য খুঁজতে হবে।

 

উপদেশঃপ্রয়োজনের সময় হাতের কাছে যা পাওয়া যায় তাতেই খুশি থাকতে হয়।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!