হাজরে আসওয়াদের জন্ম বৃত্তান্ত

আল্লাহ তা’আলা হযরত আদম (আঃ) কে তার বংশধরদের ভাগ্যের পরিনতির নিদর্শন এভাবে দেখানোর পর এক ফেরেশতাকে বললেন, তুমি আদম সন্তানদের আমার প্রতি আজকের অঙ্গীকারনামা লিখে নিয়ে তা তোমার নিজের মুখে রেখে দাও।

উক্ত ফেরেশতারা যথাযথভাবে আল্লাহর আদেশ পালন করল। সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর কুদরতে ঐ ফেরেশতা  একখানা কাল বর্ণের পাথরে রূপান্তরিত হল। ঐদিন থেকেই ঐ পাথরখানা হাজরে আসওয়াদ বা কৃষ্ণ পাথর নামে অভিহিত হয়ে আসছে। তখন থেকেই ঐ পাথরখানা কাবা ঘরের ডান দিকে স্থাপিত রয়েছে এবং বহু প্রাচীন কাল থেকেই তা হজ্ব পালনকারীরা সশ্রদ্ধ চুম্বন করে আসছে। এ একবার নামা গ্রহণ কালে আল্লাহ পাক নবীদের উদ্দেশ্যে বলেন-

অর্থঃ আর যখন আল্লাহ নবীদের থেকে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছেন যে, আমি তোমাদেরকে যে কিতাব ও হিকমত দিয়েছি, অতঃপর তোমাদের নিকট কোন রাসূল আসলে এবং তোমাদের নিকট যা এসেছে তার সত্যায়ন করলে তোমরা তার প্রতি বিশ্বাস আনবে এবং তাঁকে সাহায্য করবে। আল্লাহ জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কি ওয়াদা করলে এবং এ শর্তে আমার দায়িত্ব গ্রহণ করলে? সকলে সমম্বরে বলে উঠলেন-আমরা ওয়াদা করছি। আল্লাহ বললেন, তোমরা সাক্ষী থাক, আমিও তোমাদের সঙ্গে সাক্ষী হয়ে থাকলাম।

অতঃপর আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, হে আদম! তুমি শীস সম্পর্ক, হে শীস! তুমি ইদরীস সম্পর্কে, হে ইদরীস! তুমি নুহ সম্পর্কে, হে নুহ! তুমি ইব্রাহীম সম্পর্কে, হে ইব্রাহীম! তুমি ইসমাঈল সম্পর্কে, হে ইসমাঈল তুমি! তুমি ইসহাক সম্পর্কে এভাবে তোমরা সবাই ঈসা পর্যন্ত প্রত্যেকের সম্পর্কে সাক্ষী থাক। সর্বশেষ বললেন, হে- পয়গম্বরা! তোমরা আখেরী নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর রিসালাতের ব্যাপারে সাক্ষী থাক। তোমরা আপন আপন জাতিকে শেষ উপদেশ দিয়ে যাবে যেন তার আখেরী নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর রিসালাতের প্রতি ঈমান আনে এবং তার সাহায্যে এগিয় আসে। আল্লাহ তা’আলা এভাবে আম্বিয়ায়ে কিরাম (আঃ) থেকে সর্বশেষে রাসূল মুহাম্মদ (সাঃ) এর রেসালাতের প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেন।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।