হরিপুরের হরেক কান্ড –ঊনবিংশ পর্ব -শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

গল্পের বিংশ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

জগা আর রামপ্রসাদের এক রাত্তিরেই বেশ ভাব হয়ে গেছে। রামপ্রসাদ দুপুরে জগার ঘরে খেতে বসে বলল, আরে এ জগুয়া, তু কি রোজ এইসন খানা খাস নাকি রে বেওকুফ?

জগা কাঁচুমাচু হয়ে বলল, আমি গরিব মানুষ, এর চেয়ে আর বেশি কী করতে পারি বলো তো রামপ্রসাদদাদা?

ডাল ভাত আর আলুর ছেঁচকি দিয়ে একটা বড় গরাস সাপটে মুখে তুলে রামপ্রসাদ বলল, এইসন খানা খেলে তোর শরীরে তাকৎ আসবে থোড়াই! ছোটমোটা কাম ছোড়িয়ে দে জগুয়া, বড় বড়া কাম কর।

 

জগা একটু উজ্জ্বল হয়ে বলে, একটা বড় কাজ হাতে আছে, বুঝলে রামপ্রসাদদাদা? কাজটা করতে পারলে নগদ বিশ হাজার টাকা।

কী কাম রে জগুয়া?

একজন বুড়ো মানুষকে খুন করতে হবে।

আরে রাম রাম! খুন উন খারাপ কাজ আছে। চোর কা ভি কুছ ধরম হ্যায় রে বুরবক। খুন কাহে করবি?

একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে জগা বলল, করতে আমারও মন চাইছে না, বুঝলে? কিন্তু দিনু গুণ্ডা কি ছাড়বে ভেবেছো? আগাম ধরিয়ে দিয়ে গেছে, কাজটা করতে না পারলে ব্যাটা আমার মুণ্ডু না নামিয়ে দেয়।

ছিয়া, ছিয়া, খুন খারাবি কি কোই মরদকা কাম আছে রে?

কী করব বলে তো! দিনু ব্যাটা কবে এসে হাজির হয় তার ঠিক নেই।

তু হিয়াসে ভাগ যা জগুয়া।

ভেগে কোথায় যাবো? কোন চুলোয় কে ঠাঁই দেবে আমায় বলো তো!

তু হামার মুলুকমে চল।

গিয়ে?

ভেস চরাবি, গাই দেখবি, খেতি কা কাম করবি, আউর রাত মে থোড়াবহৎ চোরিওরি ভি করবি, ভেসকা দুধ পিয়ে অ্যাইসা তাকৎ হোবে যে দশ-বিশ জোয়ানের সঙ্গে লড়াই করতে পারবি।

আমাকে চাকর খাটাতে চাও নাকি?

আরে নেহি নেহি চাকর থোড়াই বলবি। আধা বখরা হোবে।

মাথা নেড়ে জগা বলে, না গো রামপ্রসাদদাদা, যে আমি পারব না। হরিপুর ছেড়ে কোথাও গিয়ে আমার মন টিকবে না।

দুজনে খাওয়া শেষ করে উঠে সবে একটু চাটাই পেতে গড়িয়েছে হঠাৎ বাইরে হুংকার শোনা গেল, জগা! অ্যাই জগা!     জগা ধড়মড় করে উঠে বলল, ওরে বাপ !

রামপ্রসাদ নিমীলিত চোখে চেয়ে বলল, কৌন চিল্লাচ্ছে রে?

সাক্ষাৎ যম। ওই তো দিনুগুণ্ডা।

রামপ্রসাদ মিটমিট করে চেয়ে বলল, কেমন গুণ্ডা?

বহৎ গুণ্ডা।

বাইরে ফের হাঁক শোনা গেল, জগা ! অ্যাই জগা! দরজা খোল বলছি।

জগা উঠে দরজাটা খুলে দিয়ে চোখ কচলাতে কচলাতে বলল, আরে দিনুদাদা যে!

দিনু তার পেল্লায় চেহারাটা নিয়ে দরজা জুড়ে দাঁড়িয়ে বলল, আজ রাতেই কাজ সারতে হবে। আর সময় নেই।

আজ রাতে ! কিন্তু আজ যে আমার একাদশী ! এই দিনটায় অন্ন ছুই না যে।

দিনু তার ঘাড়টা ধরে একটা বাঁকুনি দিয়ে বলল, আজ আবার কোন পঞ্জিকার একাদশী রে বদমাশ? আমাকে একাদশী চেনাচ্ছিস?

বাঁকুনির চোটে চোখে সর্ষেফুল দেখে জগা চি চি করে বলল, আহা ছাড়ো ছাড়ো দিনুদাদা, তোমার মামার বদলে আমিই যে টেঁসে যাবো!

তোর ঘরে ওটা কে রে?

ওঃ উনি হচ্ছেন রামপ্রসাদ সিং, ভুসওয়ালের দারোগা।

দারোগা!

আজ্ঞে, ছদ্মবেশে রোঁদে বেরিয়েছেন।

শুনে দিনুগুণ্ডা কোমরে হাত দিয়ে এমন হাঃ হাঃ করে অট্টহাস্য করল যে বাইরে কাকেরা ভয় খেয়ে কা-কা করতে লাগল।

দারোগা! বটে! অ্যাই রামপ্রসাদ, উঠে আয় তো দেখি, আয় এদিকে !

রামপ্রসাদ তাড়াতাড়ি উঠে হাতজোড় করে বলল, রামরাম বাবুজী !

তুই নাকি দারোগা?

রামপ্রসাদ হাতজোড় করেই বলল, নেহি মালিক, জগা ঝুট বলছে।

তাই বল! কাল যখন সরলাবুড়ির বাড়িতে ঢুকেছিলি তখন এই শর্মার হাতে পড়ে তো চি চি করছিলি, ছিঁচকে চোর কোথাকার!

জী হজৌর ! ছোটামোটা চোর আছে মালিক।

এ গাঁয়ে এখনও ঘুরঘুর করছিস, তোর তো খুব সাহস ! কাল যে তোকে নাকে খৎ দেওয়ালাম, তুই যে বললি রাতেই এ গাঁ ছেড়ে চলে যাবি !

উ বাত তো ঠিক আছে মালিক, কাল আপনার ঘুসসা খেয়ে হাত পাওমে দরদ হচ্ছিল, থোড়া আরাম করিয়ে নিলাম। আজ চলিয়ে যাবো মালিক।

দিনু ঘরে ঢুকে চারদিকে চেয়ে দেখে বলল, এই ঘরে থাকিস নাকি রে জগা?

আজ্ঞে !

ছোঃ।

বড্ড নিচু নজর তোর। এভাবে কেউ থাকে?

আজ্ঞে, অবস্থাটা খারাপই যাচ্ছে।

কাজটা করে ফেল, তোর ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাবে।

আজ্ঞে।

কী করতে হবে বুঝিয়ে দিচ্ছি। ভাল করে শোন। ভুলভাল হলে বিপদ আছে

আজ্ঞে বলুন।

ঠিক রাত আটটায় বেরোবি।

মনে থাকবে?

যে আজ্ঞে।

গাঁ থেকে উত্তরে তিন ক্রোশ গেলে পঞ্চসায়রের জঙ্গল পড়বে, চিনিস?

চেনা চেনা ঠেকছে।

মারব গাঁট্টা। পঞ্চসায়রের জঙ্গল চেনে না এমন লোক কে আছে এখানে?

আজ্ঞে চিনি।

পঞ্চসায়রের জঙ্গলের ভেতর দিয়ে কোশটাক গেলে রায়দিঘি।

আজ্ঞে।

রায়দিঘি থেকে ডানহাতি দক্ষিণের রাস্তা ধরে নাক বরাবর গেলে একটা হাট দেখতে পাবি৷

হাট?

লোকে বলে ওটা গগনচাঁদের হাট।

মনে থাকবে।

আগে জায়গাটার নাম ছিল সাতপয়সার হাট।

অ্যাঁ।

চমকে উঠলি যে বড়?

জগা নিজেকে সামলে নিয়ে বলে, আজ্ঞে ও কিছু নয়।

সাতপয়সার হাট বহু পুরনো জায়গা। দেখবি সব পুরনো আমলের বাড়ি-ঘর আর মন্দির-টন্দির আছে। জায়গাটা খুবই অখাদ্য। মশামাছি আর জোঁকের খুবই উপদ্রব।

যে আজ্ঞে |

সেখানে বুড়ো শিবমন্দিরের পেছনে একটা পাঁচশো বছরের পুরনো বাড়ি দেখতে পাবি৷

যে আজ্ঞে।

সেই বাড়িতেই আমার মামা থাকে। সাতানব্বই বছর বয়স। বুঝলি?

আজ্ঞে জলের মতো।

মামার নাম সাতকড়ি গায়েন।

অ্যাঁ !

চমকে উঠলি যে বড়?

আজ্ঞে না, একটা মশা কামড়াল গালে, তাই।

ওই সাতকড়ি গায়েনই হল আমার শত্তুর। বুঝলি?

জলের মতো |

কাজটা খুব সোজা নয়। বরং বেশ কঠিন কাজই বলতে হবে।

যে আজ্ঞে।

মামার চারদিকে বেশ কঠিন পাহারা আছে।

ও বাবা, পাহারা থাকলে কী করব?

তুই বলবি সাতকড়ি গায়েনের কাছে তোর জমি বাঁধা আছে, তুই টাকা দিয়ে ছাড়াতে গেছিস।

বিশ্বাস করবে কথাটা?

খুব করবে।

দিনু পকেট থেকে একখানা তুলোট কাগজের টুকরো বের করে জগার হাতে দিয়ে বলল, এ কাগজটা দেখালেই তোকে পথ ছেড়ে দেবে।

তারপর কী করব?

সাতকড়ি গায়েন নিজের কাজ নিজেই করে। পাওনা গণ্ডার ব্যাপারে কাউকে বিশ্বাস করে না। সামনে হাজির হতে পারলে আর চিস্তা কিসের? একখানা দোধার ছোরা রেখে যাচ্ছি। ছোরাটা সোজা বুকে বসিয়ে দিবি।

ও বাবা !

ও বাবা আবার কী? ছোরাটা বসিয়েই চলে আসবি। জলের মতো সোজা কাজ।

 

যাওয়ার সময় দিনু গুণ্ডা হাজারটা টাকা পকেট থেকে বের করে একরকম জগার নাকের ওপর তাচ্ছিল্যের সঙ্গে ছুড়ে মেরে বলল, নেমকহারামি করলে কিন্তু জান খিঁচে নেবো।

জগা জিব কেটে বলে, ছিছি, নেমকহারামি করবে কোন নেমকহারাম? নেমকহারামি ব্যাপারটা আমার আসেই না।

দিনু কটমট করে রামপ্রসাদের দিকে চেয়ে বলল, অ্যাই মৰ্কট, ঘাপটি মেরে বসে তো সব শুনলি, এসব কথা আর পাঁচ কান হবে না তো !

জী নেহি। পাঁচ কান কিউ, দো কান ভি হোবে না।

ভাল কথা, জানাজানি হয়ে গেলে দুটাে লাশই পুঁতে ফেলব।

জী হুজৌর।

কিন্তু শুনেই যখন ফেলেছিস, তখন তুইও কাজে লেগে যা। এসব কাজে একজনের চেয়ে দুজন থাকা ভাল। টাকাটা বরং ভাগাভাগি করে নিস।

রামপ্রসাদ অতি ধূর্ত লোক, চোখ মিটমিট করে বলল, বহুত আচ্ছা মালিক। লেকিন ভাগউগ আপনি নিজে করিয়ে দিন। জগা হামাকে থোড়াই ভাগ দিবে।

অ, অ্যাই জগা, দে ওকে ওই হাজার টাকা থেকে পাঁচশো দে, কাজটা আজই সেরে আয়, কাল বাকি টাকা নগদ বাড়ি বয়ে এসে দিয়ে যাবে।

জগা বেজার মুখে হাজার টাকা থেকে পাঁচশো টাকা রামপ্রসাদের হাতে দিয়ে বলল, যে আজ্ঞে।

তাহলে চললুম, কাজ যদি ভণ্ডুল করে আসিস তাহলে কী হবে বুঝতেই তো পারিস।

আজ্ঞে, সে আর বলতে !

দিনু চলে যাওয়ার পর জগা আর রামপ্রসাদ দুজনে পরামর্শে বসল।

জগা বলল, রামপ্রসাদদাদা, দিনু গুণ্ডা কি আমাকে ফাঁসাতে চাইছে? ছোটোখাটো চুরিচামারি করি বটে, কিন্তু এসব খুন জখম তো কখনও করিনি। তবু আমাকেই এত বড় কাজটা কেন দিল বলে তো!

রামপ্রসাদ একটা হাই তুলে বলে, তোর নসিব খারাপ আছে রে জগুয়া।’খুন করলে বিশ হাজার রুপিয়া তোকে থোড়াই দিবে দিনুগুণ্ডা, তুকে তো সাত পয়সার হাটের গাওয়াররা পিটতে পিটতে মেরে দিবে। পুলিশ ভি আছে, ফাঁসি ভি হতে পারে ।

তাহলে চলো, পাগলুদাদার কাছে যাই।

পাগলু কৌন আছে রে?

আমার মতোই একজন চোর। তবে বেশ বুদ্ধি রাখে।

বুদ্ধির দরকার হোলে তোকে হামি বুদ্ধি দিব। পাগলু অগলুসে বুদ্ধি নিবি কেন?

পাগলুদাদার বুদ্ধি তোমার চেয়েও ঢের বেশি। আমরা খুব বন্ধুও বটে। পাগলুদাদাই আমাকে প্রথম বুঝিয়েছিল, খুন-খারাপির কাজ না করতে। তখন শুনিনি, টাকার লোভটা খুব বেশি হয়েছিল, পাগলুদাদার কাছে যাওয়ার আরও একটা কারণ আছে।

কৌন কারণ আছে?

পাগলুদাদা আর আমি একটা ধাঁধা মেলাতে পারছিলাম না। সেটা এবার মিলে গেছে। কথাটা পাগলুদাদাকে বলতে হবে।

রামপ্রসাদ আর দ্বিরুক্তি করল না। উঠে পড়ল। বলল, শুন জগুয়া, রাতের বেলা কুছ আচ্ছা খানাপিনা করতে হোবে।

খাওয়ার কথা এখন রাখো তো। আমার বলে বুক হিম হয়ে যাচ্ছে, উনি খাওয়ার গপ্পো ফেঁদে বসলেন। চলো তো, জরুরী কাজটা আগে সারি।

দুজনে বেরিয়ে পড়ল। সন্ধের মুখে গাঁয়ের অন্য প্রান্তে পাগলুর বাড়িতে হাজির হল দুজন।

পাগলু বাড়িতেই ছিল। তাকে আড়ালে ডেকে সংক্ষেপে ঘটনাটা ভেঙে জগা বলল, সেই সাতপয়সার হাট আর সাতকড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে পাগলুদা, এবার আমরা বড়লোক।

কোথায় পেলি?

দিনুগুণ্ডার মামাবাড়ি হল গে গগনচাঁদের হাট, আগে ওটারই নাম ছিল সাতপয়সার হাট।

বলিস কী?

হ্যাঁ।

আর দিনুর সাতানব্বই বছর বয়সী মামাই হল সাতকড়ি।

বটে !

এ তো সাঙ্ঘাতিক খবর।

তাই বলছি, তুমিও আমাদের সঙ্গে চলো। তিনজনে মিলে কিছু একটা করা যাবে।

পাগলু একটু ভেবে বলে, সাত পয়সার হাট আর সাতকড়িকে তো পাওয়া গেল, কিন্তু সেই কাঠের বাক্স কোথায়?

সেটা না হলে তো আর সাতকড়ি আমাদের পুঁছবেও না।

পাগলুদাদা, আমি বলি কি, সাতটা পয়সা আর সাতটা কড়ি জোগাড় করা তো কোনও সমস্যা নয়। আর রায়দিঘির গজানন মিস্তিরির দোকান থেকে একটা কাঠের বাক্স কিনে নিলেই হবে।

হবে বলছিস?

না, হবে কেন?

ওই পয়সাগুলোয় যে সন দেওয়া আছে। তা না মিললে?

তাও তো বটে! এরকম একটা কথা যেন শীতলালক্ষ্মীও বলছিল। তবে কি আশা ছেড়ে দেবো?

তা নয়। তবে সংকটকালে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হয়। আমরা হলুম চোর, সব গেরস্তরই ঘরের খবর জানি। আবার চোরদের গতিবিধিও নখদর্পণে। বাক্সটা প্রথমে সরলাবুড়ির বাড়ি থেকে আমিই সরাই।

তুমি! বলছো কী?

ওরে, সে এক বৃত্তান্ত। শূলপাণি যখন হাওয়া হল, তার আগের দিন সুজনবাবু আমাকে বাক্সটা সরানোর জন্য কিছু বখশিশ দেন।

এসব বলোনি তো আমাকে!

গুহ্য কথা তো, তাই বলিনি। বলা বারণ ছিল।

তারপর?

শূলপাণি হাওয়া হওয়ার পর যখন তার বাড়িতে লোকের গাদি লেগে গেল তখন আমি ঘরে ঢুকে ঘাপটি মেরে চালের ডোলের মধ্যে সেঁধিয়ে ছিলাম। লোকজন বেরিয়ে গেলে বাক্সটা হাতিয়ে নিয়ে সুজনবাবুকে দিই। তখন কি বুঝেছিলাম ওই বাক্সের এই কদর হবে?

তা সুজনবাবুর কাছ থেকে বাক্সটা ফের হাতিয়ে নিলেই তো হয়।

পাগলু দুঃখিতচিত্তে মাথা নেড়ে বলে, তবে আর সমস্যা হবে কেন? বাক্সটা তাঁর কাছ থেকে চুরি গেছে।

তাহলে?

সেই তো ভাবছি, বাক্সটা নিল কে?

বেশি ভাববার যে সময় নেই পাগলুদাদা। অনেকখানি রাস্তা। রাত আটটা নাগাদ না বেরোলে যে সকালবেলা পৌছোনো যাবে না।

পৌঁছে করবিটা কী? দিনুগুণ্ডার মামাকে খুন করবি নাকি?

না করলে যে সে-ই আমাকে খুন করবে!

ওরে দাঁড়া, দিনুর ভয়ে অমন সিটিয়ে থাকিস না। বরং চল, সুজনবাবুর কাছে যাই।

গিয়ে?

তিনি লেখাপড়া জানা বিচক্ষণ মানুষ। সাহসীও বটে। আমাকে খুবই স্নেহ করেন। যাহোক একটা বুদ্ধি তাঁর কাছে পাওয়া যাবে।

শেষমেশ তিনি আবার আমাদের কাঁচকলা দেখাবেন না তো !

না, সে ভয় নেই। আর তাঁর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে গুপ্তধন উদ্ধার হলে আধাআধি বখরা।

তাহলে চলো।

চল।

গল্পের বিংশ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী এবং সম্মানিত অবদানকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

দুঃখিত!