হযরত হাসান বসরী (রঃ) – পর্ব ৫
হযরত হাসান বসরী (রঃ) – ৪র্থ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
প্রায় ৭০ বছর ধরে একটানা তাঁর অযু ছিল। মাঝে মাঝে ওযু নষ্ট হলে তিনি তৎক্ষণাৎ ওযু করে নিতেন। তাঁর সম্বন্ধে বলা হয়েছে, সকল লোকই তাঁর জ্ঞানের মুখাপেক্ষী। কিন্তু তিনি আল্লাহ্ ছাড়া আর কারও মুখাপেক্ষী ছিলেন না। এই জন্য জ্ঞানী হিসেবে তাঁর নাম সকলের উর্ধ্বে।
হযরত রাবেয়া বসরী (রঃ)-এর উপস্থিতি তাঁর কাছে ছিল খুবই প্রেরণাদায়ক। সাধারনতঃ প্রতি শুক্রবার জুমআর নামাযের পর তিনি ধর্ম সস্পর্কে বক্তৃতা দিতেন। হযরত রাবেয়া (রঃ) অনুপস্থিত থাকলে বক্তৃতা দিতেন না। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, যে শরবত হাতির পানের উপযোগী তা পিঁপড়ার পানপাত্রে কিভাবে ঢেলে দেওয়া যায়। অর্থ্যৎ তাঁর ভাষণের মর্ম গ্রহণের যোগ্যতা হযরত রাবেয়া (রঃ)-এর তুলনায় অন্যদের ছিল না বললেই চলে। অনেক সময় তিনি এই পরম সম্মানিতা তাপসীকে বলতেন, আমার ভেতরে এই যে আন্তরিক প্রেরণা, এলো কোথা থেকে? এর সৃষ্টি তোমারই অন্তরে।
“বেশী লোক জড়ো না হলে কি আপনি খুশী হন না?” -অনেকে তাঁকে এ প্রশ্ন করতেন। তিনি বলতেন, না, তা নয়। লোক বেশী হলেই আমি খুশী হই না। বরং যদি একটি আল্লাহ্ প্রেমিক জ্ঞানী মানুষ আসে, আমি তাতেই খুব আনন্দ পাই। হযরত হাসান বসরী (রঃ)-এর জবাবগুলির আলাদা একটা গুরুত্ব ছিল। অর্থ্যাৎ স্ফুলিঙ্গের মধ্যে ঝলছে উঠতো প্রজ্ঞার আগুন ও আলোক কণা।
ইসলাম কিরূপ এবং মুসলমান কে? –এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইসলাম কিভাবে রয়েছে আর মুসলমান চলে গেছে কবরে।
কী তীক্ষ্ণ, সঙ্কেতা-শ্রয়ী উত্তর!
প্রশ্নঃ ধর্মের মূল বস্তু কি?
উত্তরঃ পরহেজগারী। কিন্তু লোভ-লালসা তাঁকে ধ্বংস করে।
প্রশ্নঃ আদন বেহেশত কিরূপ এবং তাতে প্রবেশ করবে কারা?
উত্তরঃ সোনার তৈরি জাঁকজমক পূর্ণ এক প্রাসাদ। সেখানে প্রবেশ করবেন রাসূলে কারীম মুহাম্মদ (সাঃ) ছাড়া অন্য সব রাসূলে, সত্যবাদী, শহীদ এবং ন্যায়নিষ্ঠ সুবিচারক সুলতান-বাদশাহগণ।
হযরত হাসান বসরী (রঃ) -৬ষ্ঠ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া