হযরত হাসান বসরী (রঃ) – ১৫ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
কিভাবে কী হয়েছে, তিনি তাও খুলে বলেন। প্রথমত, নপুংসকের কথা।
(ক) একদিন তিনি এক নপুংসকের কাপড় ধরে টানলেন। লোকটি বলল, আমার গোপন রহস্য এখনও বাইরে প্রকাশ পায়নি। আপনি কি তা প্রকাশ করতে চান?
(খ) এক মাতাল চলেছে টলতে টলতে। হযরত হাসান (রঃ) বললেন, পথ বড় পিচ্ছিল। সাবধানে পা ফেল। নইলে আছাড় খাবে। লোকটা বলল, আমি মাতাল। আমার কিছু ক্ষতি হবে না। কাপড়ে কাদা লাগলে ধুয়ে নেব। কিন্তু আপনি এক মহাসাধক। প্রচুর আপনার শিষ্য। তারা আপনার ওপরেই নির্ভর করে। আপনার যদি পদস্খল হয়, তবে তাদেরও ঐ দশা হবে। কাজেই আপনি সাবধানে চলুন। আমার চেয়ে আপনার দায়িত্বই বেশী।
(গ) প্রদীপ হাতে নিয়ে পথ চলেছে এক বালক। হযরত হাসান (রঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, এ আলো কোথা থেকে আনলে? ছেলেটি হঠাৎ আলো নিভিয়ে বলল, আগে আপনি বলূন, এখন আলো কোথায় গেল? তারপর আমি বলব কোথা থেকে আমি এনেছি। বালকের এ কথা যথেষ্ট ইঙ্গিতবহ।
(ঘ) এক সুন্দরী মহিলা চলেছে কোন গন্তব্যস্থলের দিকে। খোলা মাথা কোন অবরণ নেই। হযরত হাসান (রঃ) তাকে বললেন, তুমি এভাবে চলছ কেন? মাথা ঢেকে নাও। মহিলা দাঁড়িয়ে গেল কথা শুনে। বললেন, জনাব, আমি আমার স্বামীর বিচ্ছেদের কারণে দিশেহারা হয়ে আছি। আমার অন্য দিকে এতটুকু মনোযোগ নেই। কিন্তু আমি আশ্চর্য হয়েছি আপনার কথা ভেবে। আপনি আল্লাহ্র ওলী। আল্লাহ্র প্রতি আপানার অঢেল, অগাধ ভালোবাসা। কিন্তু তৎসত্ত্বেও কে কিভাবে পথ চলেছে আপনি তা লক্ষ্য রাখেন। আল্লাহ্র প্রেমে নিমগ্ন মানুষের পক্ষে এও কি সম্ভব?
মহিলার বক্তেব্যের গূঢ়ার্থ বুঝতে কোন অসুবিধা হল না হযরত হাসান (রঃ)-এর।
হযরত হাসান বসরী (রঃ) – ১৭ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া
"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।