হযরত হাসান বসরী (রঃ) – পর্ব ১৫

হযরত হাসান বসরী (রঃ) – ১৪ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

কাফ্রী আল্লাহ্‌র দরবারে হাত উঠালেন। দয়াময়! আপনি হাসানের বাতেনী চোখ খুলে দিন।

সেই দিন থেকে হযরত হাসান (রঃ) সামান্য চতুষ্পদ প্রানীকেও নিজের চেয়ে উৎকৃষ্ট বলে ভাবতেন। আর নিজেকে মনে করতেন এক দীনাতিদীন দাস।

একদিন এক কুকুর দেখে বললেন, ইয়া আল্লাহ্‌! পরকালে আমি কি এই কুকুরটির সাথে হাশর করতে পারব? তাঁর কথা শুনে এক লোক জিজ্ঞেস করল, হুযুর, কুকুরটি আপনার চেয়ে উত্তম না অধম?

তিনি বললেন, রোজ কিয়ামতে যদি মুক্তি পাই, তাহলে নিজেকে কুকুরটির তুলনায় উত্তম বলতে পারি। আর যদি না পাই, তাহলে জানবো, সেটি আমার চেয়ে অনেক বেশি উত্তম।

এক নিন্দুক হযরত হাসান (রঃ)-এর কুৎসা রটিয়ে বেড়াচ্ছিল। তিনি যখন তা জানতে পারলেন, তখন এক ঝুড়ি ভালো জাতের খেজুরসহ নিন্দাকারীর বাড়িতে গিয়ে হাজির হলেন।

তারপর তাকে বিনীতভাবে বললেন, শুনতে পেলাম, আপনি নাকি আপনার নিজের আমলনামার নেকীগুলো আমার আমলনামায় স্থানান্তরিত করেছেন। এর বিনিময়ে আপনাকেও কিছু মূল্যবান পুরস্কার দেওয়া দরকার। কিন্তু আমি অক্ষম বলে এই সামান্য সওগাত আপানার জন্য এনেছি গ্রহণ করে বাধিত করুন।

তাঁর এই উক্তি বা ব্যবহারের মধ্যে পরচর্চার মতো নিন্দনীয় বিষয়টির সুস্পষ্ট ইঙ্গিত ফুটে উঠেছে।

তিনি বললেন, চার জন লোকের কাছে আমি যেমন অপ্রস্তুত হয়েছি, তেমনি কিছু শিক্ষাও পেয়েছি। এদের মধ্যে একজন নপুংসক। একজন মাতাল। তৃতীয় জন একটি বালক। আর চতুর্থ জন এক মহিলা।

হযরত হাসান বসরী (রঃ) – ১৬তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।