হযরত হাসান বসরী (রঃ) – পর্ব ১

আর একজন ভাগ্যবান পুরুষ হলেন হযরত হাসান বসরী (রঃ)। ভাগ্যবান এই অর্থে যে, তিনিও সেই সোনালী যুগের সন্তান। নবীর শহর মদীনাতে তার জন্ম। তার মা ছিলেন উম্মুল মুমেনীন উম্মে সালমা (রাঃ)-এর একজন পরিচারিকা। তাঁর সৌভাগ্য এই যে, শিশু অবস্থায় তিনি উম্মে সালামার (রাঃ) ও হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর স্তন্য পান করেছেন। মা কাজে ব্যস্ত।

শিশু হাসান হয়ত ক্ষুধার কারণে কান্না শুরু করেছেন, তখন হযরত সালামা (রাঃ) নিজের স্তন তাঁর মুখে পুরে দিতেন। আর সেই স্তণ্য পান করে তিনি শান্ত হতেন। হযরত আয়েশা (রাঃ) নিজে নিঃসন্তান ছিলেন। কিন্তু তিনিও মাঝে মাঝে ক্রন্দনরত শিশুকে পরম আদরে তুলে নিয়ে বুকের দুধ পান করাতেন।

নিঃসন্তান হওয়া সত্ত্বেও তাঁর স্তন থেকে দুধ বের হতো। সবই আল্লাহ্‌র অপার মহিমা। এর চেয়ে ভাগ্যবান কে আছে! আর মুসলিম দুনিয়ার দুই জননী, দুই নবী পত্নীকে তিনি জননী হিসেবে পেয়েছেন। তাঁদের বুকের পীযুষধারা পান করে পরিতৃপ্ত হয়েছেন।

শুধু তাই নয়, পেয়েছেন মহানবীর সানুরাগ সংস্পর্শ। একদিন তো স্বয়ং রাসূলে কারীমের পানির পেয়ালার পানি পান করে ফেললেন শিশু হাসান। পেয়ালায় পানির পরিমান পানির পরিমান কম দেখে রাসূলিল্লাহ (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, পানি পান করল কে?

উম্মে সালামা (রাঃ) বললেন, হাসান।

নবীজী বললেন, আমার পানির পেয়ালা থেকে যে পরিমাণ পানি সে পান করেছে, আল্লাহ্‌ তাঁকে সেই পরিমাণ দ্বীনী এলম দান করবেন। এক হাদীসে দেখা যাচ্ছে, একদিন হযরত যখন উম্মে সালামা (রাঃ)-এর ঘরে এলেন, তখন তিনি হাসানকে রাসূলুল্লাহর কোলে তুলে দিলেন।

যরত হাসান বসরী (রঃ) – পর্ব ২ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

আরো পড়তে পারেন...

অপু ও ফলচুরি রহস্য

মহানগরের কোলাহলের মাঝে, ব্যস্ত জনপথের কিছুটা দূরে একফালি সবুজ ল্যান্ডস্কেপ । সদ্য গড়ে ওঠা আবাসন…

ভালুক ও কাঠবিড়ালী

কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘খুকি ও কাঠবিড়ালী’ কবিতাটি কম-বেশি সবাই পড়েছে। এ কবিতাটির কারণেই ছোট্ট…

গাজা দিবস

শিশু-কিশোর বন্ধুরা, কেমন আছো তোমরা? আশা করি যে যেখানে আছো ভাল ও সুস্থ আছো। তোমরা…

হযরত হাসান বসরী (রঃ) – পর্ব ১

আর একজন ভাগ্যবান পুরুষ হলেন হযরত হাসান বসরী (রঃ)। ভাগ্যবান এই অর্থে যে, তিনিও সেই সোনালী যুগের সন্তান। নবীর শহর মদীনাতে তার জন্ম। তার মা ছিলেন উম্মুল মুমেনীন উম্মে সালমা (রাঃ)-এর একজন পরিচারিকা। তাঁর সৌভাগ্য এই যে, শিশু অবস্থায় তিনি উম্মে সালামার (রাঃ) ও হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর স্তন্য পান করেছেন। মা কাজে ব্যস্ত।

শিশু হাসান হয়ত ক্ষুধার কারণে কান্না শুরু করেছেন, তখন হযরত সালামা (রাঃ) নিজের স্তন তাঁর মুখে পুরে দিতেন। আর সেই স্তণ্য পান করে তিনি শান্ত হতেন। হযরত আয়েশা (রাঃ) নিজে নিঃসন্তান ছিলেন। কিন্তু তিনিও মাঝে মাঝে ক্রন্দনরত শিশুকে পরম আদরে তুলে নিয়ে বুকের দুধ পান করাতেন।

নিঃসন্তান হওয়া সত্ত্বেও তাঁর স্তন থেকে দুধ বের হতো। সবই আল্লাহ্‌র অপার মহিমা। এর চেয়ে ভাগ্যবান কে আছে! আর মুসলিম দুনিয়ার দুই জননী, দুই নবী পত্নীকে তিনি জননী হিসেবে পেয়েছেন। তাঁদের বুকের পীযুষধারা পান করে পরিতৃপ্ত হয়েছেন।

শুধু তাই নয়, পেয়েছেন মহানবীর সানুরাগ সংস্পর্শ। একদিন তো স্বয়ং রাসূলে কারীমের পানির পেয়ালার পানি পান করে ফেললেন শিশু হাসান। পেয়ালায় পানির পরিমান পানির পরিমান কম দেখে রাসূলিল্লাহ (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, পানি পান করল কে?

উম্মে সালামা (রাঃ) বললেন, হাসান।

নবীজী বললেন, আমার পানির পেয়ালা থেকে যে পরিমাণ পানি সে পান করেছে, আল্লাহ্‌ তাঁকে সেই পরিমাণ দ্বীনী এলম দান করবেন। এক হাদীসে দেখা যাচ্ছে, একদিন হযরত যখন উম্মে সালামা (রাঃ)-এর ঘরে এলেন, তখন তিনি হাসানকে রাসূলুল্লাহর কোলে তুলে দিলেন।

যরত হাসান বসরী (রঃ) – পর্ব ২ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া