হযরত হারূন (আঃ)-এর ইহলোক ত্যাগ

আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, বনী ইসরাইল পবিত্র ভূমিতে প্রবেশ করতে অস্বীকার করলে আল্লাহ তাআলা হযরত মূসা (আঃ)-এর মাধ্যমে তাদেরকে জানিয়ে দিলেন যে, চল্লিশ বছর পর্যন্ত তোমাদেরকে এ ময়দানে নজরবন্দি হয়ে থাকতে হবে। তাদের সঙ্গে হযরত মূসা (আঃ) এবং হযরত হারূন (আঃ)-কেও থাকার নির্দেশ দিলেন, কেননা তাঁরা দুজনই বনী ইসরাইলের এবং বর্তমান বনী ইসরাইল ও তাদের পরবর্তী প্রজন্মের হিদায়েতের উসিলা ছিলেন।

সুতরাং তাঁদেরকে সেখানে থাকতেই হলো। বনী ইসরাইল তিহি ময়দানে ঘুরে বেড়াতে থাকে। এমনকি ঘুরতে ঘুরতে তারা শেষ পর্যন্ত এক পাহাড়ের নিকট উপনীত হয়। সেই পাহাড়ের নাম ছিল হুর পাহাড়। তারা যখন পাহাড়ের চূড়ায় উঠছিল, তখন হযরত হারূন (আঃ) ইহধাম ত্যাগ করেন। আল্লাহর হুকুমে হযরত মূসা (আঃ) পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে সক্ষম হন। সেখানে তিনি কয়েক দিন আল্লাহর ইবাদতে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন।

হযরত হারূন (আঃ)-এর কাফন ও দাফন সম্পন্ন করে হযরত মূসা (আঃ) নিচে নেমে আসেন এবং বনী ইসরাইলকে তাঁর ইন্তিকালের সংবাদ জানান। কিন্তু বনী ইসরাইলীরা হযরত হারূন (আঃ)-এর স্বাভাবিক মৃত্যুকে মেনে নিতে পারেনি। বরং তারা মৃত্যুর ব্যাপারে হযরত মূসা (আঃ)-কে দায়ী করতে থাকে। তারা হযরত মূসা (আঃ)-কে বলল, “আপনিই হযরত হারূন (আঃ)-কে হত্যা করেছেন। তিনি আমাদের কাছে আপনার চেয়ে বেশি কোমল ও দয়ালু ছিলেন।”

এতে হযরত মূসা (আঃ) অত্যন্ত দুঃখ পেলেন। তিনি তাদের এই অপবাদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন।

আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের নির্দেশ দিলেন—তারা যেন হযরত হারূন (আঃ)-এর মৃতদেহ বনী ইসরাইলের সামনে উপস্থিত করে। ফেরেশতারা আল্লাহর আদেশ পালন করল। তারা হযরত হারূন (আঃ)-এর লাশ বনী ইসরাইলের সামনে উপস্থিত করল। তখন সবাই দেখল, তাঁর লাশ মাটি থেকে কিছুটা উপরে শূন্যে ঝুলে আছে, এবং তাতে কোনো আঘাত বা হত্যার চিহ্ন নেই।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!