হযরত সুলাইমান (আঃ)-এর ইন্তিকাল

হযরত দাউদ (আঃ) বায়তুল মুকাদ্দাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং এর নির্মাণ কার্য শুরু করেন। কিন্তু তিনি তা সম্পন্ন করে যেতে পারেন নি বিধায় তদ্বীয় পুত্র হযরত সুলাইমান (আঃ) অবশিষ্ট কার্য সমাপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি জ্বীন জাতিকে নির্মাণ কার্যে নিয়োগ করলেন। মোটামুটি নির্মাণ কার্য শেষ হয়ে যাওয়ার পর তিনি শুকরিয়া স্বরূপ মানুষকে দাওয়াতে দিয়ে খাওয়ালেন।

তিনি বার হাজার গরু, আর বিশ হাজার ছাগল যবেহ করলেন। দাওয়াতের খাওয়া-দাওয়া শেষ হওয়ার পর তিনি আল্লাহ পাকের কাছে দোয়া করলেন যে- হে আল্লাহ! অদ্য বায়তুল মুকাদ্দাসের নির্মাণ কার্য মোটামুটি সম্পন্ন হয়েছে। আর একাজ আমার শক্তিতে হয়নি। কাজের জন্য আপনি শক্তি দান করেছেন। এর নির্মাণের উপকরণও আপনিই দিয়েছেন। হে আল্লাহ! এ নির্মাণ কার্য শেষ করার জন্য আপনার শুকরিয়া আদায় করার তৌফিক আপনিই আমাকে দান করেছেন। আমাকে এমনভাবে মৃত্যু দেন যেন আমি আপনার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকতে পারি। আমাকে আপনি হিদায়াত প্রদান করেছেন। হিদায়াত প্রদানের পর অন্তরে বক্রতা দিবেন না। হে আমার রব! যে ব্যক্তি এ মসজিদে প্রবেশ করে তার জন্য আপনার কাছে পাঁচটি জিনিস কামনা করছি।

প্রথমঃ কোন গুনাহগার ব্যক্তি তাওবার উদ্দেশ্যে এ মসজিদে প্রবেশ করলে এবং আপনার কাছে তাওবা করলে আপনি তার তাওবা কবুল করে তার গুনাহ মাফ করে দিবেন। দ্বিতীয়ঃ কোন ব্যক্তি বিপদাপদ হতে তাকে হিফাজত করুন। তৃতীয়ঃ কোন রুগ্ন ব্যক্তি এতে প্রবেশ করলে তাকে রোগমুক্ত করুন। চতুর্থঃ কোন সম্পদহীন কেউ এতে প্রবেশ করলে আপনি তাকে সম্পদশালী করে দিন। পঞ্চমঃ কোন ব্যক্তি এ ঘরে অবস্থান করা পর্যন্ত আপনি তার প্রতি অনুগ্রহ ও রহমতের দৃষ্টি রাখুন। তবে যারা জুলুম করে বা কোন বদদ্বীনি কার্যে লিপ্ত হয় তাদের ছাড়া।

"আলোর পথ"-এ প্রকাশিত গল্পসমূহ ও লেখনী মূলত পাঠক, শুভাকাংখী এবং সম্মানিত আবেদনকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এই কনটেন্টগুলোর উপর আমরা কোনো মেধাসত্ত্ব (copyright) দাবি করি না। যদি কোনো গল্প, ছবি বা তথ্যের কপিরাইট সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রশ্ন, সংশয় বা আপত্তি থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের যোগাযোগ পৃষ্ঠায় যোগাযোগ করুন। আমরা যথাযথ আইনানুগ পদ্ধতিতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

দুঃখিত!