হযরত শামভীল (আঃ)
হযরত মূসা (আঃ)-এর ওফাতের পরই বনী ইসরাইলীদের বন্দী জীবনের অবসান হয়। এর পর হযরত ইউশা বিন নূন (আঃ) বনী ইসরাইলীদের নিয়ে ফিলিস্তিনে প্রবেশ করেছিলেন। আল্লাহ পাকের নির্দেশে তিনি ফিলিস্তিনকে তাদের মাঝে ভাগ করে দিলেন যাতে তারা শাস্তি ও নিরাপত্তার সাথে জীবনযাপন করতে পারে এবং দ্বীনে হকের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে জীবন পরিচালনা করতে পারে। হযরত ইউশা বিন নূন (আঃ)-এর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তাদের ঈমান ও আমলের সংশোধনের এবং এক্ষেত্রে তাদের উন্নতির জন্য সাধনা চালিয়েছেন।
তাদের পরস্পরের মধ্যে যে কলহ বিবাদ বা ঝগড়া ফাসাদের উদ্ভব হত তা ফয়সালার জন্য বিচারক নিয়োগ করেছেন। তিনি এসব বিষয় তাদেরকে প্রত্যক্ষ শিক্ষা দান করেছেন যাতে পরবর্তীকালেও অনুরূপ ব্যবস্থার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয়।
হযরত মূসা (আঃ)-এর ইন্তিকালের পর প্রায় সাড়ে তিনশ বছর হযরত ইউশা বিন নূনের গৃহীত ব্যবস্থা অনুসারেই চলতে থাকে। তাদের প্রত্যেক গোত্র প্রধান তাদেরকে শাসন করতে থাকে। এবং তাদের মধ্যের ঝগড়া-ফাসাদ বিচারক দ্বারা ফয়সালা করতে থাকে। আর নবী তাদের সমগ্র বিষয়ের দেখাশুনার সাথে সাথে দ্বীনের দাওয়াত এবং প্রচার প্রসারের দায়িত্ব দাওয়াত এবং প্রচার প্রসারের দায়িত্বও পালন করতে থাকেন। অনেক সময় বিচারকরা নবীর দায়িত্বও পালন করতেন।
এ দীর্ঘ সময়ের মধ্যে বনী ইসরাইলদের মধ্যে না ছিল কোন বাদশাহ আর ছিল সমগ্র গোত্রের জন্য একক কোন শাসক। এজন্যই আশে পাশের বিভিন্ন গোত্রের লোকেরা মাঝে মাঝে তাদের উপর আক্রমণ করত। এভাবে বনী ইসরাইলীরা বিভিন্ন গোত্রের আক্রমণের নিশানায় পরিণত হয়েছিল। অনেক সময় আমালিকা সম্প্রদায়ের লোকেরা আক্রমণ করে বসত।
কখনও বা ফিলিস্তিনীরা আবার কখনও মাদইয়ানীরা। অবশ্য অনেক সময় আক্রমণকারীরাও পরাজিত হয়ে পলায়ন করত। আবার কিছু দিন পর অতর্কিত আক্রমণ করে লুটতরাজ করত। এভাবে বিভিন্ন গোত্র দ্বারা বনী ইসরাইলীরা পুনঃ পুনঃ আক্রান্ত হত। কখনও বিজয়ী হত আবার কখনও বা পরাজিত হয়ে পালিয়ে যেত।